Wednesday , 30 December 2020 | [bangla_date]

নতুন বছরে আসছে পুরুষদের জন্মবিরতিকরণ পিল?

গর্ভনিরোধক তথা জন্মবিরতিকরণ পিল বলতে আমরা সাধারণত নারীদের সেবন উপযোগী পিলই বুঝে থাকি। তবে এবার এ ধারণার পরিবর্তন হতে যাচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, ২০২১ সালের মধ্যে পুরুষদের জন্যও জন্মবিরতিকরণ পিল বাজারে আসবে।
অবশ্য, পুরুষদের এই পিলের ধারণা নতুন নয়।
আজ থেকে ৬০ বছর আগেই ব্রিটেনে উত্থাপন করা হয়েছিল এটি। গত ২৫ বছর যাবৎ বিজ্ঞানীরাও অবিরাম বলে চলেছেন, এটি প্রস্তুত। তবু এখনও শেষটা কেউ দেখে উঠতে পারেনি। নতুন করে আবারও আশায় বুক বাঁধা হচ্ছে ২০২১ এর জন্য।
সর্বশেষ গবেষণা অনুযায়ী, পুরুষরা তাদের জন্য প্রতিরোধমূলক পণ্যগুলো শিগগিরই গ্রহণ করতে সক্ষম হবে- জেল, পিল, মাসিক ইনজেকশান এমনকি প্রতিবর্তনযোগ্য বন্ধ্যাকরণ অস্ত্রোপচার- সবকিছুই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলেছে।

সাধারণ চোখে মনে হয়, পুরুষদের প্রজননতন্ত্র নিয়ন্ত্রণ অপেক্ষাকৃত সহজ। নারীদের চাইতেও এখানে জটিলতা কম।
অথচ সত্যিটা পুরোই উল্টো।
একজন পুরুষের জৈবিক উদ্দেশ্য হল তার জিনগুলোকে ছড়িয়ে দেওয়া, বংশবিস্তার করা। সারাদিনজুড়ে একজন প্রজননে সক্ষম পুরুষ প্রতি সেকেন্ডে এক হাজার শুক্রাণু উৎপাদন করে, জৈবিক ক্রিয়ার সময় নির্গত করেন ২৫০ মিলিয়ন শুক্রাণু-এই বিপুল পরিমাণ শুক্রাণুর কৃত্রিমভাবে নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করা কার্যকরভাবেই কঠিন। অন্যদিকে প্রাকৃতিকভাবে একজন নারী প্রতি মাসে মাত্র একটি অথবা দুটি ডিম্বাণু নিঃসরণ করেন।
১৯৫০ সালে বিজ্ঞানীরা সর্বপ্রথম পুরুষদের জন্য পিল তৈরির চেষ্টা করেন। তারই অংশ হিসেবে মার্কিন কোম্পানী স্টার্লিং ড্রাগ একটি পরজীবি- বিরোধী চিকিৎসার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের সময় এক অনাকাঙ্ক্ষিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখতে পান; এটি পুরুষ ইঁদুরদের অস্থায়ীভাবে উৎপাদনে অক্ষম করে তোলে।

তারা কারাগারের পুরুষ বন্দীদের ওপরও যৌগটি প্রয়োগ করেন এবং দেখতে পান যে, তাদের শুক্রাণুর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু বন্দীরা যখন চোরাইপথে চালানকৃত হুইস্কি পান করে তখন তারা ভয়াবহ পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার শিকার হন। তাদের প্রচন্ড বমি হয় এবং হৃদস্পন্দন বেড়ে যায় অনেকগুণ। ফলশ্রুতিতে স্টার্লিং সেবার তাদের সেই ঔষধের প্রয়োগ বন্ধ করে দেয়।

বর্তমানে পুরুষদের কাছে জন্ম নিয়ন্ত্রণের দুটি বিকল্প রয়েছে- কনডমের ব্যবহার এবং স্থায়ী বন্ধ্যাকরণ অস্ত্রোপচার- সেখানে সার্জন শুক্রাণু বহন করা টিউবটি কেটে ফেলেন বা বন্ধ করে দেন। তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানের জোয়ার নয়া মোড় নিচ্ছে এখন। নতুন এক ধরণের গর্ভনিরোধক জেল এখন আবারও আশা দেখাচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই জেলটি ব্রিটেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের কিছু দম্পতির মাঝে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে।

জেলটি পুরুষ হরমোন টেস্টোস্টেরন এবং সেজেস্টেরোন এসিটেটের সংমিশ্রণ (যার বাণিজ্যিক নাম নেস্টোরন)।

নেস্টোরন টেস্টিসে শুক্রাণুর উৎপাদন এমন প্রক্রিয়াতে কমিয়ে ফেলে যে তা পুরুষের লিবিডোকে (যৌনক্রিয়া) প্রভাবিত না করেই শুক্রাণুর উৎপাদন কার্যকরভাবে প্রতিহত করে।

পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অংশ হিসেবে, পুরুষেরা এই জেল তাদের কাঁধে এবং উপরের বাহুতে প্রতিদিন মাখবেন। হরমোন তাদের ত্বকের নিচে শোষিত হবে এবং পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় আস্তে আস্তে তা রক্তস্রোতে মিশে যেতে থাকবে। ব্রিটেনে এটি এডিনবরা ইউনিভার্সিটি এবং ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটি এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট কর্তৃক।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

কনকনে শীতে খানসামায় বাড়ছে ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টের রোগী

ফুলবাড়ীতে ফেন্সিডিল সহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

ঠাকুরগাওয়ে নির্যাতিতদের সমর্থনে আন্তর্জাতিক সংহতি দিবস পালিত

আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার গত ১৭ বছর জনগণের উপর অনেক নির্যাতন নিপীড়ণ চালিয়েছে —বিএনপি নেতা আনম বজলুর রশিদ কালু

বীরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষকের মৃত্যু

কিশোরী মেয়েদের মাঝে ন্যাপকিন বিতরণ অনুষ্ঠানে উপ-পরিচালক প্রতিটি কিশোরীকে ঋতুকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করতে হবে

বীরগঞ্জে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের  বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত 

বীরগঞ্জে আন্তঃ জেলার কুখ্যাত গরু চোর জামাল গ্রেফতার

বীরগঞ্জে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত -১

পঞ্চগড়ে ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন প্রকল্পের ক্ষতিগ্রস্থ জমি মালিকদের মাঝে দেড় কোটি টাকার চেক হস্তান্তর