বিকাশ ঘোষ বীরগঞ্জ(দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলায় সপ্তাহের ব্যবধানে ভোজ্য তেলের বাজার দর আরো চড়েছে। আগের বাড়তি দামের সঙ্গে চলতি সপ্তাহে যোগ হয়েছে প্রতি লিটার কিংবা কেজিতে তিন থেকে ছয় টাকা পর্যন্ত। এ নিয়ে চলতি মাসে দ্বিতীয় দফা এবং গত তিন মাসে ষষ্ঠবারের মতো দাম বাড়ল। খোলা সয়াবিনের দাম বেড়েছে কেজিতে তিন থেকে পাঁচ টাকা। আর বোতলজাত সয়াবিনের দাম বেড়েছে লিটারে পাঁচ থেকে ছয় টাকা। খোলা পাম তেলের দামও বেড়েছে কেজিতে ছয় থেকে সাত টাকা। এর আগে চলতি সপ্তাহের মাঝামাঝিতে মিলমালিকরা ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানোর কথা জানিয়ে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনে চিঠি দেন বলে জানা গেছে। ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা বলেছেন,করোনার কারণে সয়াবিন ও পামের খামারগুলোতে শ্রমিক সংকট দেখা দেওয়ায় কাঁচামালের সরবরাহ কম। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে দেশের বাজারেও দাম বাড়ানো হয়েছে। গতকাল সোমবার বীরগঞ্জ পৌরসভা দৈনিক বাজারসহ উপজেলার শিবামপপুর,পলাশবাড়ী, শতগ্রাম,পাল্টাপুর, সুজাপুর, নিজপাড়া,মোহাম্মদপুর,ভোগনগর, সাতোর, মোহনপুর ও মরিচা ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা যায়, বড় দোকানগুলোতে খোলা সয়াবিন বিক্রয় হচ্ছে ১০৮ থেকে ১১০ টাকা লিটার দরে ও স্থান ভেদে দোকানগুলোতে দর রাখা হচ্ছে ১১৫ টাকা পর্যন্ত। গত সপ্তাহে যা ১০৫ থেকে ১১০ টাকার মধ্যে ছিল। নিম্ন আয়ের মানুষ ও বিভিন্ন হোটেলে যে পাম তেল সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে, তার দামও কেজিতে পাঁচ থেকে ছয় টাকা বেড়ে এখন ১০০থেকে ১০২ টাকা লিটার। ভোক্তারা জানান,করোনা পরিস্থিতিতে চাল, শাক-সবজিসহ যাবতীয় কাঁচা তরি তরকারির দাম নিয়ন্ত্রণ হতে না হতেই বেড়ে যাচ্ছে ভোজ্য তেলর দাম।এব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে নিয়মিত বাজার মনিটরিং প্রয়োজন বলে মনে করেন স্থানীয় ভোক্তাদের অনেকেই।















