আনোয়ার হোসেন আকাশ রাণীশংকৈল থেকে..
রাণীশংকৈল পুরাতন জেলখানাটি অযন্ত অবহেলায় এখন যেন ভূতুরে বাড়িতে পরিণত হয়েছে। এটি পরিত্যক্ত হওয়ার পর প্রতিদিন সন্ধ্যার পরে চলে বখাটে নেশাখোর ছেলেদের আড্ডা। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে অনেকেই এখন জেলখানাটি ভুতের বাড়ি নামেই চেনে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে
সাবেক প্রেসিডেন্ট মরহুম এইচ এম এরশাদ বিগত ৩০ বছর আগে রানীশংকৈল উপজেলায় ২০০ শত জন কয়েদির ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন মিনি সাব জেলখানা নির্মিত করেন। এরশাদের আমলে এ জেলখানাটি ব্যবহৃত হলেও পরবর্তী বিএনপি সরকারের আমলে জেলখানাটি পুরোপুরিভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
এলাকাবাসী অনেকে অাভিযোগ করে জানান,
সন্ধ্যার পরে বখাটে নেশাখোর ছেলেদের আড্ডা বসে জেলখানার সামনে। সন্ধ্যার পরে জেলখানার আশেপাশে কেউ যায়না। এ ব্যাপারে প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেছেন এবং জেলখানাটি পুনরায় সংস্করণ করার দাবি জানান তারা।
এবিষয়ে জানতে গেলে তহশিলদার জহিরুল ইসলাম বলেন, জেলখানাটি ২একর জমির উপর রয়েছে, এটি দীর্ঘদিনেও কোন রক্ষনাবেক্ষন করা হয়নি। এটি তদারকি করে সরকারী কাজে ব্যবহৃত করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
এব্যাপারে যুবলীগ নেতা শাশীমউদ্দীন বলেন
এই জেলখানার জমিটি ফেলে না রেখে সংস্কার করে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন।
রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল সুলতান জুলকার নাইন স্টিভ জানান জেলখানার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের একটি অধিদপ্তরে জানানো হয়েছে। বর্তমানে ওই অধিদপ্তরে কর্মকর্তা ছুটি রয়েছেন। জেলখানা ছাড়াও রাণীশংকৈলের সবগুলো ঐতিহ্য নিয়েই কাজ করার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।

















