Tuesday , 20 April 2021 | [bangla_date]

হরিপুরে নির্মাণের দু’মাসেই আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে ফাটল আশ্রয় নেয়া মানুষগুলোর দিন কাটছে আতঙ্কে।

মিজানুর রহমান হরিপুর প্রতিনিধি:
সামান্য বাতাসে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। ফলে আশ্রয় নেয়া মানুষগুলোর দিন কাটছে আতঙ্কে। স্থানীয়দের অভিযোগ নি¤œমানের সামগ্রী দিয়ে ঘর নির্মাণ করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে প্রশাসন বলছেন ঘরগুলো দ্রুতই মেরামত করা হবে। মাত্র দু মাস আগে সরকারের আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর বুঝে পান উপজেলার ভুমিহীনরা। পাকা ঘর পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হলেও গত শুক্রবার রাতের সামান্য বাতাসের কবলে পরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বেশকয়েটি ঘরের দেয়াল ও মেঝে ফেটে যায়। ফলে আশ্রয় নেয়া মানুষগুলো এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।

এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে জেলার হরিপুর উপজেলার বজ্রমতলি (শান্তির নীড়) গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রথম দফায় গড়ে উঠা ১৩৩ টি ঘরের মধ্যে বেশ কয়েকটির। ঘর পাওয়া দরিদ্র মানুষগুলোর চোখে মুখে এখন দুঃশ্চিতার ভাজ। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ফাটল ধরা ঘরে থাকা যেন মরার উপর খড়ার ঘা হয়ে দাড়িয়েছে।
উপজেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, প্রথম দফায় প্রতিটি ঘরের জন্য এক লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয় ধরে বজ্রমতলি (শান্তির নীড়) গ্রামে ১৩৩টি ঘর নির্মাণ করা হয়। আর এসব ঘর ভুমিহীনদের মাঝে বুঝে দেয়া হয় গত ফেব্রুয়ারীতে।
স্থানীয়দের অভিযোগ অনেকটাই তরিঘরি করে ঘরগুলো নির্মাণ ও মানসম্মত উপকরণ ব্যবহার না করার কারনেই সামন্য দূর্যোগে ঘরের এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আর এসব ফাটল ধরা ঘর বসবাসের অনুপযোগী হওয়ায় ঘর ছেড়ে অনত্র বসবাস করছে অনেকে। অন্যদিকে পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় সামন্য বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা।
সরকারের ঘর পাওয়া রফিকুল ইসলাম, সাবেরা খাতুন, দুলাল, সেলিমসহ অনেকে জানান, সামান্য বাতাসে বেশকয়েকটি ঘর ফেটে গেছে একটি কারনে তা হলো ঘর নির্মাণে নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। এখন ছেলে মেয়ে নিয়ে এসব ফাটল ধরা ঘরে থাকতে ভয় লাগছে। অনেকে ঘর ছেড়ে বাইরে থাকছে। আমরা ভুমিহীন গরিব মানুষ বলেই ঘর পেয়েছিলাম কিন্তু এমন ঘর পেলায় সে ঘরে থাকা এখন মুসকিল হয়ে দারিয়েছে। আমরা এ বিষয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সেই সাথে আমাদেরকে ভাল মানের ঘর তৈরি করে দেয়া হোক। আর যারা ঘর নির্মাণে অনিয়ম করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করছি।
ঘরগুলোতে ফাটল দেখা দিয়েছে স্বীকার করে হরিপুর উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান মুকুল জানান, সবকিছুই নির্বাহী অফিসার করেছেন বলে জানিয়ে ঘরগুলো টেকশই না হয় তাহলে তো ব্যর্থতাই বলা যায় বলে স্বীকার করেন তিনি।
হরিপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার আব্দুল করিম জানান, প্রথম ধাপের কাজ ছিল বলেই তারাহুরা করতে হয়েছে বলে সব অনিয়ম অস্বীকার করে ফাটল ঘরগুলো দ্রুতই মেরামত করে বসবাসের উপযোগী করে তোলা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

পঞ্চগড়ে অবৈধ চারটি ইটভাটা গুড়িয়ে দিলো প্রশাসন

বীরগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় বৃদ্ধের নিহত

ঐতিহ্যবাহী নবরূপীর মাসিক শ্রোতার আসর ও ঈদ পূনর্মিলনী

ঠাকুরগাঁওয়ে নেসকোর শুভেচ্ছা উপহার বিতরণ

ভ্যান গাড়িকে সাইড দিতে গিয়ে সাংসদের গাড়ি খাদে

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরও ডোপ টেস্টের আওতায় আনা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

রাস্তার পাশে ধানক্ষেত থেকে হাত-পা বাঁধা ভ্যান চালকের মরদেহ উদ্ধার

ঠাকুরগাঁওয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে পুলিশ নামলেও কাজ করে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা !

বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি কামনায় তাঁতীদলের দোয়া মাহফিল

৭ম মৃত্যুবার্ষিকীতে হাজারো মানুষের ঢল ঃ দিনব্যাপী কর্মসূচী পালন প্রয়াত জননেতা এম. আব্দুর রহিমকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ সর্বস্তরের জনতার