Sunday , 23 May 2021 | [bangla_date]

১০০ বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দুই শতাধিক স্থাপনার উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন, যার মধ্যে একশ বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রও রয়েছে।

রোববার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে তিনি আরেকটি সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়েও সবাইকে সতর্ক করেন।

উদ্বোধন হওয়া স্থাপনাগুলোর মধ্যে ১০০টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়াও ৩০টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র, ৩০টি জেলা ত্রাণ গুদাম-কাম-দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্যকেন্দ্র এবং ৫টি মুজিব কিল্লা রয়েছে। এছাড়া আরও ৫০টি মুজিব কিল্লার ভিত্তিফলকও এ অনুষ্ঠানে উন্মোচন করা হয়।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবি তাজুল ইসলাম, মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীনসহ ঊর্ধতন কর্মকর্তারা ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর, গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুর ও বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলা থেকে স্থানীয় সংসদ সদস্য, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন।

পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে, যা ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়ে আগামী বুধবার নাগাদ উপকূলে পৌঁছাতে পারে বলে আবহাওয়াবিদদের ধারণা।

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে সম্ভাব্য এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সরকার।

প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান শনিবার এক সংবাদ সম্মলনে বলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা হতে মানুষের জানমাল রক্ষার্থে মাটির কিল্লা নির্মাণ করা হয়েছিল, যা সর্ব সাধারণের কাছে মুজিব কিল্লা নামে পরিচিত । তারই আধুনিক রূপে উপকূলীয় ও বন্যা উপদ্রুত ১৪৮টি উপজেলায় ৫৫০টি মুজিব কিল্লা নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান।

তিনি বলেন, উপকূলীয় দুর্গত জনগণ যেমন সেখানে আশ্রয় নিতে পারবে তেমনি তাদের প্রাণিসম্পদকে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারবে। এছাড়া জনসাধারণের খেলার মাঠ, সামাজিক অনুষ্ঠান ও হাট-বাজার হিসেবেও এগুলো ব্যবহার করা যাবে।

এনামুর রহমান বলেন, উপকূলীয় এলাকায় বয়স্ক, গর্ভবতী, শিশু ও প্রতিবন্ধীতাবান্ধব ৩২০টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় দুই লাখ ৫৬ হাজার বিপদাপন্ন মানুষ এবং প্রায় ৪৪ হাজার গবাদিপশুর জায়গা হবে।

এছাড়া বন্যাপ্রবণ ও নদীভাঙ্গন এলাকায় দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাসে বন্যাপীড়িত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য ২৩০টি দ্বিতল বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। তাতে প্রায় ৯২ হাজার মানুষ এবং ২৩ হাজার গবাদিপশুর আশ্রয়ের ব্যবস্থা হয়েছে বলে তথ্য দেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি জানান, ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ সাল মেয়াদে ৪২৩টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।

এছাড়া প্রতিটি জেলাতে ত্রাণ গুদাম বা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্যকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এসব স্থাপনায় দুর্যোগে তাৎক্ষণিক সাড়াদানের অংশ হিসেবে ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহের নিমিত্তে পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদকরণ করা হয় এবং দুর্যোগের অব্যবহিত পরে দুর্যোগে পড়া মানুষের মাঝে প্রাথমিক জরুরি খাদ্য সামগ্রী পৌঁছানো নিশ্চিত করা হয়ে থাকে।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

হাবিপ্রবিতে জাতীয় হাই স্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা

রাণীশংকৈলে নবাগত শিক্ষা কর্মকর্তার যোগদান

দিনাজপুরে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটর শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং

পল্লীশ্রীর দিনব্যপী ফ্রি (গাইনী ও মেডিসিন) স্বাস্থ্য ক্যাম্প

বোচাগঞ্জে আমন ধান ক্রয়ে উন্মুক্ত লটারির মাধ্যমে কৃষক নির্বাচন

আমেরিকার মাটিতে শেখ হাসিনার সত্য অকুতোভয় উচ্চারণ তার দৃঢ় নেতৃত্বের প্রকাশ -মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি

প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার উদ্বোধনকালে দিনাজপুর চেম্বার সভাপতি

বীরগঞ্জে চার্জ অব দ্যা ন্যাজারিন মিশন কতৃক দুঃস্থ শিশুদের আবাসিক কায্যক্রম শুরু

বালিয়াডাঙ্গীতে আগ্নেয়অস্ত্র ও মাদক সহ ৩ যুবক গ্রেফতার

পীরগঞ্জে কৃষকদের মাঝে জিংক ধানের বীজ বিতরণ