বিকাশ ঘোষ, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ একদিকে বৃষ্টি অন্যদিকে বৈশিক মহামারী করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত ৭ দিনের কঠোর লকডাউনের চতুর্থ দিনে ক্রেতা শূন্য ফুটপাতের মৌসুমি ফলের দোকানগুলিতে। উপজেলা প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের কারণে অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। এর ফলে ভোক্তার অভাব আর ফল পচনের কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছে বেশির ভাগ ফল ব্যবসায়ী। সরকারি আর্থিক সহয়তা না পেলে পথে বসতে হতে তাদের এমনটি জানিয়েছেন বেশির ভাগ মৌসুমি ফল বিক্রেতারা। পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের বলাকা মোড় মৌসুমি আম বিক্রেতা আইয়ুবুর ইসলাম জানান, কোন কাজ না থাকায় ১৫ শ টাকা দরে হারিভাঙা আম ক্রয় করে দীর্ঘসময় ধরে বসে আছি। কঠোর লকডাউনের কারণে ক্রেতা শূন্য থাকায় আম বিক্রি নেই। লকডাউনের ৪ দিনে অনেক আম পচন ধরেছে। তাই লাভের আশা ছেড়ে দিয়ে এখন আসল টাকা তুলতেই কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। একই কথা জানিয়ে ফল ব্যবসায়ী সাজু বলেন, অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চলে তার। বর্তমানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধগতিতে অটোরিকাশা চালিয়ে স্বল্প আয়ের সংসারে অভাব নিত্য সঙ্গী। তাই বাড়তি আয়ের আশায় এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ফুটপাতে আমের দোকান দিয়েছি। স্থানভাবে ৪০ টাকা কেজি দরে আম কিনে ৪০ টাকায় বিক্রির জন্য ক্রেতা খুঁজে পাওয়াটা কষ্টের। লকডাউনে ক্রেতা না থাকায় বাড়তি লাভ তো দূরের কথা এখন মূলধন নিয়ে টানাটানি। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল কাদের জানান,কঠোর লকডাউনে অসহায়দের পাশে থাকবে সরকার, এটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা। তাই কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর বিষয়টি আমাদের বিবেচনায় রয়েছে। তাদের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।


















