Wednesday , 28 July 2021 | [bangla_date]

বীরগঞ্জে বৃষ্টির অভাবে আমন চারা রোপণে বিলম্ব, বিপাকে কৃষক

বিকাশ ঘোষ, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি ॥ দিনাজপুরের বীরগঞ্জে পানির অভাবে কৃষক -কৃষাণীরা জমিতে রোপা আমনের চারা রোপণ করতে পারছেন না। বর্ষাকালেও বৃষ্টির জন্য কৃষকদের মধ্যে হাহাকার চলছে। নির্ধারিত সময়ে আমন চাষে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা। আষাঢ়-শ্রাবণ মাস বর্ষাকাল। অথচ আষাঢ় পেরিয়ে শ্রাবণ মাসে বর্ষার ভরা মৌসুমেও বৃষ্টির দেখা নেই। তবে কখনও কখনও আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে যায়। কিন্তু হতাশার কালো মেঘে নেই কোন কান্নার ঢেউ। আবহাওয়ার এই বৈরীতার মাঝে বৃষ্টির অপেক্ষায় প্রহর গুনছে আমন চাষীরা। কাঙ্খিত বৃষ্টির অভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে তাদের আমন ধানের চারা রোপন। প্রকৃতির বৈরী আচরণে শ্যালো মেশিন এখন তাদের একমাত্র ভরসা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় মোট আবাদি জমির পরিমান ৩২ হাজার হেক্টর। এরমধ্যে ২৯ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষকদের ফসলের রোগবালাই নানা বিষয়ে পরামর্শ দিতে কৃষি বিভাগের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। উপজেলায় আমন চাষের জন্য প্রয়োজন ৩৬০মিলি মিটার হতে ৪০০মিলি মিটার বৃষ্টিপাতের। কিন্তু জুলাই মাসে এই উপজেলায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ মাত্র ২৫০মিলি মিটার। আর এই বৈরী আবাহওয়ার কারণে বর্ষার ভরা মৌসুমে কাঙ্খিত বৃষ্টির অভাবে বিপাকে পড়েছে উপজেলার কৃষক- কৃষাণীরা। কোন উপায় না দেখে শ্যালোমেশিন বসিয়ে পানি সেচের মাধ্যমে বেশির ভাগ জমিতে আমনের চারা রোপণের কাজ শুরু করেছে কৃষকেরা।এব্যাপারে সুজালপুরইউনিয়নের বোয়ালমারী গ্রামের সতীশ চন্দ্র রায় আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, বৃষ্টি অভাবে আমন চারা রোপণ করতে পারছি না। কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি না হওয়ার কারণে জমিতে চারা রোপন করা সম্ভব হচ্ছে না। অন্যের শ্যালো মেশিন ভাড়া করে নিয়ে এসে পানি সেচ দিয়ে চারা রোপন করতে হয়েছে। এতে করে ধান বীজ, শ্রমিক এবং শ্যালো ভাড়া মিলে খরচ বেড়ে গেছে। পাল্টাপুর ইউনিয়নের পুলহাট গ্রামের জিল্লুর জানান, আমন চারা রোপণের জন্য বিঘা প্রতি ১০হাজার টাকায় ৭বিঘা জমি বর্গা নিয়েছি। কিন্তু বৃষ্টি দেখা নেই। তাই বাধ্য হয়ে লোকজন ভাড়া করে জমিতে আবার শ্যালো মেশিন বসাতে হয়েছে। প্রতিদিন মেশিন নিয়ে যাওয়া আর নিয়ে নিয়ে আসায় যেমন ঝামেলা তেমনি খরচ বেড়ে গেছে। যদি আবহাওয়া না বদলায় যদি প্রয়োজনীয় বৃষ্টি না হয়, তাহলে নানান মুখী সমস্যায় পড়বে আমন চাষরা। আর এতে ক্ষতিগ্রস্থ হবে কৃষক।উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আবু রেজা মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে আকাশে বৃষ্টির দেখা নেই। কৃষিতে এর প্রভাব পড়েছে। তবে বৃষ্টি শুরু হলে এ সমস্যা কেটে যাবে। আমরা মাঠে গিয়ে এই পরিস্থিতিতে কৃষকদের করনীয় বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করছি। তিনি আরও জানান, আমি আবহাওয়া অধিদপ্তরের খোঁজে নিয়ে জেনেছি, দেশে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর রোপা আমনের চারা লাগানোর জন্য আরও প্রায় ৩ সপ্তাহ সময় রয়েছে। এসময়ই আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হতে পারে।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

বীরগঞ্জ মরিচা ইউপি চেয়ারম্যানের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত

সেতাবগঞ্জ চিনিকলে আখ মাড়াই বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত

মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করাই হলো শেখ হাসিনার মুল লক্ষ্য —–দিনাজপুরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি

পঞ্চগড় মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার ভিডিও ভাইরাল আল্লাহ ও নবীকে দর্শনের দাবি

রাণীশংকৈলে সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দিতে অনীহা কৃষকদের

রাণীশংকৈলে সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দিতে অনীহা কৃষকদের

ভর্তির পরও সংকটে রাবি শিক্ষার্থী বীরগঞ্জের তুষার

দিনাজপুর লায়ন্স ক্লাবের বর্ণাঢ্য ৪৯তম অভিষেক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

দিনাজপুরের সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেন চিরনিদ্রায় শায়িত ঢাকা মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবি কবরস্থানে

বিরামপুরে বরযাত্রীর বাসের সাথে বাইকের  সংঘর্ষে পুলিশসদস্যসহ নিহত-২

বিরামপুরে বরযাত্রীর বাসের সাথে বাইকের সংঘর্ষে পুলিশসদস্যসহ নিহত-২

কাহারোলে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত