Friday , 9 July 2021 | [bangla_date]

রাণীশংকৈলে জেলা প্রশাসকের পরিদর্শন -প্রস্তুত হচ্ছে বাড়ী- অপেক্ষায় গৃহহীনরা

রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি ঃ ঠাকুরগাঁয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার বাচোর ইউনিয়নের বাজেবকসা রাণীদিঘী নামক পুকুরের পাড় জুড়ে তৈরী হচ্ছে সারি বদ্ধ ভাবে বাড়ী। শুক্রবার বিকালে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান পরিদর্শনে আসেন। এসময় জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলতে আনন্দে আত্বহারা ঘর পাওয়া ব্যক্তিরা।
পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা প্রীতম সাহা ( ভারপ্রাপ্ত) উপজেলা প্রক্ল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সামিয়েল মার্ডি, ইউনিয়ন ভূমি কর্তকর্তা রহমত আলী।
প্রত্যেক ঘরের পাশে প্রায় ৫ফিটের রাস্তা সামনে কিছু জায়গা রয়েছে আঙিনার। রঙ্গিন কালারের টেউটিনে মাথার ছাউনি করে পুকুর পাড়ের মাঝে সারি সারি বাড়ী এ যেন সৌর্ন্দযময় এলাকায় পরিণত হয়েছে। আর বাড়ীর কাজ মাঝে মাঝে এসে দেখে যাচ্ছেন স্থায়ী ভাবে জমিসহ বাড়ী পাওয়ার সুবিধাভোগীরা। জেলা প্রশাসকে দেখে বাড়ী পাওয়ার সুকোতারা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলছেন এবার একটা স্থায়ীভাবে মাথা গোজার ঠাঁই হলো। আর এ ঠাঁই পাওয়া এলাকাটি হলো ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলার বাচোর ইউনিয়নে রাণীদিঘী নাস্থানে । এছাড়াও হোসেনগাঁও নন্দুয়ার ইউপির মধ্যে বনগাঁও ছোট রাণী, এখানে প্রায় ৬৪টি বাড়ী হচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাণীদিঘী পাড়ে ১০০টি পরিবারের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে বাড়ী । প্রায় ২শতাংশ জায়গা নির্ধারণ করে দুইরুম বিশিষ্ট বারান্দাসহ রান্না ও বাথরুম মিলে প্রায় ২০ ফিট দৈর্ঘ্যর ও ২২ ফিট প্রস্থের বাড়ী নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে বাড়ীর টিন স্থাপন ও সৌর্ন্দয বর্ধন কালারের কাজ চলছে। এ সময় সুবিধাভোগী দিনেশ চন্দ্র এ প্রতিনিধিকে বলেন, অন্যের বাড়িতে কাজ করে পরিবার চলে। এক সময় আমি এ পাড়েই অস্থায়ীভাবে পরিবার নিয়ে বসবাস করছিলাম। এখন সরকার স্থায়ীভাবে বাড়ীসহ ২শতাংশ জমি আমার নামে দিচ্ছি ইতিমধ্যে তালিকা সম্প‚র্ণ হয়েছে। বাড়ীর কাজও প্রায় শেষের দিকে। কাজ শেষ হলেই আমরা স্থায়ীভাবে জমিসহ বাড়ী পাচ্ছি। এ যেন এক তৃপ্তিভরা আনন্দ। মরে গেলেও এখন শান্তি পাবো এ জন্য যে পরিবারকে একটি স্থায়ী বাড়ী দিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছি।
একইভাবে কথা হয় সু্বধিা ভোগী কেরকেরু রায়ের সাথে তিনি বলেন, আমার বাবা আমাকে বসতবাড়ীর কোন জায়গা দিতে পারে নি। কারণ তারই ছিলো না। বিয়ে সাধি করে বউ নিয়ে আমি এ পুকুর পাড়েই অস্থায়ীভাবে বসবাস করছিলাম। হঠাৎ ইউএনও অফিসের লোক এসে আমাদের বলে বাড়ী ভাঙতে হবে। এ কথা শুনে আমরা ভয় পেয়ে যায়। পড়ে তারা অভয় দিয়ে বলে এ অস্থায়ী ঘর গুলো ভেঙে আপনাদের স্থায়ীভাবে ঘর করে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই আমরা আপনাদের ঘর দেব সাথে জমিও দেব। পরে কথা অনুযায়ী ঘরের কাজ প্রায় এখন শেষ। এখন স্থায়ীভাবে ঘর পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি আমরা। একইভাবে উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের বড় রাণী পুকুর পাড়েও বাড়ী নির্মাণ হয়েছে। সেখানকার গৃহ ও ভুমিহীনরা ঘর পেয়ে চরম খুশিতে রয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সহকারি শাহনেওয়াজ জানায়, এবারের ২য়বরাদ্দে এ উপজেলায় মোট ২৯৬টি বাড়ী নির্মাণ হচ্ছে। যথানিয়মে বাড়ীগুলো নির্মাণ হচ্ছে। খুব শিগগির ঘরগুলো প্রস্তুত হয়ে পড়বে।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

রাণীশংকৈলে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণ উদ্বোধন

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানীর পাশাপাশি একদিনে নেপালে রপ্তানি করা হল ৫৯০ টন পাট ও ৮৪ টন আলু

রাণীশংকৈলে ডিবির অভিযানে ৭০ বোতল ফেন্সিডিলসহ ময়নুল গ্রেফতার !

বীরগঞ্জে কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালনায় স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি প্রশিক্ষণ কর্মশালা

বীরগঞ্জে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ

নিজের চাহিদা পুরণ করে উৎপাদিত ফসল বাইরে বিক্রি করতে হবে —-রাণীশংকৈলে কৃষি মেলায় ইন্দ্রজিত সাহা

ঠাকুরগাঁওয়ে ঐতিহ্যবাহী শিমুলগাছ বিলুপ্তির পথে

আটোয়ারীতে উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা

ঠাকুরগাঁওয়ে চাষিরা আলুর উৎপাদন খরচ তুলতে পারছেন না

রাণীশংকৈলে মন্দিরে গণশৌচাগার উদ্বোধন