Tuesday , 11 January 2022 | [bangla_date]

ঠাকুরগাঁওয়ে শীতে বোরোর বীজতলা রক্ষায় পরামর্শ দিলেন –কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ

মোঃ মজিবর রহমান শেখ,,
সপ্তাহজুড়ে তীব্র শীত ও কুয়াশার কারণে ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলায় চলতি মৌসুমের বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশংকা করছেন কৃষকরা। চলমান তীব্র শীত ও কুয়াশায় বোরো ধানের বীজতলা রক্ষায় পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখাসহ কৃষকদের করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ এই পরামর্শ দিয়েছেন। দেশের অন্যান্য স্থানের তুলনায় ঠাকুরগাঁও জেলায় শীতের তীব্রতা, কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহ বেশি হয়ে থাকে। এই পরিস্থিতি থেকে বোরো বীজতলা ও রোপণ করা চারা রক্ষা করার জন্য পরামর্শগুলো এসেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সুূত্র জানায়, শীত ও কুয়াশার কারণে বোরো ধানের চারা ক্রমশ হলদে হয়ে একপর্যায়ে মারা যায়। এই সময়ে যাতে বীজতলা ও চারা ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এ জন্য স্বচ্ছ ও পাতলা পলিথিন দিয়ে বীজতলা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢেকে রাখতে হবে। বীজতলায় তিন থেকে পাঁচ সেন্টিমিটার পানি ধরে রাখতে বলা হয়েছে। প্রতিদিন সকালে আগের পানি বের করে নতুন পানি দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে গভীর নলকূপের পানি ব্যবহার করা ভালো। শীত ও কুয়াশায় চারা হলুদ হলে প্রতি শতক জমিতে ২৮০ গ্রাম ইউরিয়া সার ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইউরিয়া সার দিয়েও যদি চারা সবুজ না হয় তাহলে প্রতি শতকে ৪০০ গ্রাম জিপসাম সার প্রয়োগ করতে হবে। আর পোড়া বা ঝলসানো রোগ দেখা দিলে পানিতে এজোক্সিস্ট্রোবিন বা পাইরাক্লোস্ট্রোবিন জাতীয় ছত্রাকনাশক মিশিয়ে দুপুরের পর ছিটিয়ে দিতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া ৩৫ থেকে ৪৫ দিন বয়সের চারা রোপণ করার পরামর্শ দিয়ে বলা হয়,বেশি বয়সের চারা রোপণ করলে শীত ও কুয়াশায় মারা যাওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। চারা রোপণের পর ৫ থেকে ৭ সেন্টিমিটার পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। চারা রোপণের সময় শীত ও কুয়াশা বেশি হলে একটু দেরি করে রোপণ করলেও ক্ষতি হবে না। প্রতিদিন সকালে চারায় জমে থাকা কুয়াশা ঝরিয়ে দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। রানীশংকৈল
উপজেলার ধর্মগড় ইউনিয়নের মন্ডলপারা গ্রামের কৃষক মুন্জর হোসেন বলেন, ‘তীব্র শীত ও কুয়াশায় বীজতলার চারাগুলো হলুদ রং ধারণ করেছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে বীজতলা পরিচর্যা করছি, কিন্তু চারা সেভাবে বড় হচ্ছে না।’রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ জানান, কৃষি বিভাগ থেকে ইতিমধ্যে কৃষকদের বিভিন্ন তথ্য প্রদানসহ সহযোগিতা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত শীতের কারণে কোল্ড ইনজুরিতে বোরো বীজতলার তেমন একটা ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। কৃষি বিভাগের পরামর্শে পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখাসহ বিভিন্ন পরিচর্যার পদ্ধতি অনুসরণ করায় কৃষকদের প্রশংসা করেন তিনি।
শৈত্যপ্রবাহের কারণে বোরো ধানের বীজতলার চারা হলদে হয়ে গেলে প্রতি শতক জমিতে ২৮০ গ্রাম হারে ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কৃষকদের। এ ছাড়া ১০ লিটার পানিতে ৬০ গ্রাম পটাশ ও ৬০ গ্রাম জিপসাম সার মিশিয়ে বীজতলায় স্প্রে করতে বলা হয়েছে। তিনি আরো জানান, অতিরিক্ত শীতে বীজতলার চারার গোড়া বা পাতা পচা রোগ দেখা গেলে ব্যাভিস্টিন বা মেনকোজেব গ্রুপের যেকোনো একটি ছত্রাকনাশক প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। যত দিন শৈত্যপ্রবাহ থাকে, তত দিন এ পদ্ধতি প্রয়োগ করলে আশানুরূপ ফল পাওয়া যাবে। উল্লেখ্য, এ বছর রাণীশংকৈল উপজেলার বোরো বীজতলার জন্য ৪ শত ৮’ হেক্টর জমির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এপর্যন্ত বীজতলা করা হয়েছে ২৫০ হেক্টর জমিতে। অন্যদিকে, বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৮ হাজার ১৬৮ হেক্টর জমিতে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৭ হাজার ৬৬৭মেট্রিক টন ধান ।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

সেন্ট যোসেফস্ স্কুলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা উদ্বোধন

বীরগঞ্জে বিএনপির উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

হরিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন পালন

পীরগঞ্জে সুবিধাবঞ্চিত ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের মাঝে চেক বিতরণ

তেঁতুলিয়ায় মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক নাটক ‘ভাষণ’ মঞ্চস্থ

সাপাহারে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ ফোরামের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

বিরলের লক্ষাধিক টাকার অবৈধ চায়না দুয়ারী জাল ধ্বংস

পঞ্চগড়ে এজলাসে জুতা নিক্ষেপকারী নারী ৭ ঘন্টা পর জামিনে মুক্ত

দিনাজপুরে বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যার পর মারধরে মারা গেলো যুবক

বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত তেঁতুলিয়া সীমান্তে