Wednesday , 17 August 2022 | [bangla_date]

পাথর খেকোদের করাল গ্রাসে ক্ষত বিক্ষত তেঁতুলিয়ার ডাহুক নদী বিনষ্ট হচ্ছে জীব বৈচিত্র, ধ্বংস হচ্ছে জমি-বাগান

পঞ্চগড় প্রতিনিধি\ পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়া উপজেলার বুক চিরে বহমান ডাহুক নদী। আন্তঃ সীমান্ত এই নদীটি ভারতের জলপাইগুড়ি জেলায় উৎপত্তি হয়ে তেঁতুলিয়ার রওশনপুর গ্রামের পাশ দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। ১৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই নদীটি বাংলাদেশ অংশে ১০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে মাঝিপাড়া বিজিবি ক্যাম্পের পাশ দিয়ে আবারও ভারতের উত্তর দিনাজপুর জেলায় প্রবেশ করেছে। নদীটির বাংলাদেশ অংশ এখন পাথর খেকোদের কড়াল গ্রাসে ক্ষত বিক্ষত। নদীর বিভিন্ন স্থানে গর্ত করে বিক্ষিপ্তভাবে ট্রাক্টর দিয়ে পাথর উত্তোলন করছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। ফলে নদী যেমন তার চিরচেনা রূপ হারাচ্ছে তেমনি হারাচ্ছে বৈচিত্র। নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। ধ্বংস হচ্ছে নদী সংলগ্ন ব্যক্তিগত জমি ও বাগান। ফলে দিন দিন নদী তার গতিপথ পাল্টে ভিন্ন দিকে ঘুরে যাচ্ছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তেতুঁলিয়া উপজেলার শালবাহান ইউনিয়ন ও বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের বালাবাড়ি-সরকার পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় ডাহুক নদীতে পাথর তোলার কাজের ব্যবহৃত জাকলায় (স্থানীয় ভাষায়) রশি লাগিয়ে ট্রাক্টর দিয়ে টেনে গভীর গর্ত করে পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। কোথাও কোথাও নদীর পানি প্রবাহ বাধাগস্থ করে একপাশে চলছে পাথর উত্তোলন। এতে করে নদীর বিশাল এলাকাজুড়ে ছোট বড় গর্তের সাথে বালু ফেলে তৈরী হয়েছে ঢিবি। এতে করে নদীর পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হয়ে নদীর চিরচেনা রূপ হারিয়ে বালুচরে পরিণত হয়েছে। নদীর প্রশস্ত বেড়ে কমেছে গভীরতা। নদীর দুই তীর ভেঙ্গে বিলীন হচ্ছে মানুষের জমি-বাগান।
তেঁতুলিয়া উপজেলার তিরনই হাট ইউনিয়নের নাজিরাগছ এলাকার আফরোজা বেগম। শালবাহান ইউনিয়নের বালাবাড়ি মৌজার ১৮১৯ দাগে ৮০ শতক ও ১৮২০ দাগে ৩৩ শতক জমি আছে তার। এর মধ্যে ডাহুক নদীর পাড় ভেঙ্গে অনেক জমি চলে গেছে তার। ইতোমধ্যে একটি মেহগনি গাছের বাগানের একটি অংশ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। যথেচ্ছভাবে পাথর উত্তোলন করায় নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে বর্তমানে তার জমির ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাথর খেকোরা নদী থেকে পাথর তুলে নদীর স্বাভাবিক গতিপ্রবাহে বাঁধা সৃষ্টি করছে। এ নিয়ে তেতুঁলিয়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। তারপরও থেমে নেই নদী থেকে পাথর উত্তোলন। অভিযোগ দায়ের করায় উল্টো তাকেই শাসাচ্ছে পাথর খেকোরা।
ভূক্তভোগী আফরোজা বেগম জানান, দুই দাগের ১১৩ শতক জমির খাজনা আমি প্রতিবছর সরকারকে দিয়ে আসছি। জমির রেকর্ডও হচ্ছে আমার নামে। এছাড়া নদীর পাশ^বর্তী এলাকায় আমার স্বামীর অনেক জমি রয়েছে। সেগুলোরও খাজনা দেয়া হয় নিয়মিত। কিন্তু প্রতিদিন ডাহুক নদীর বালাবাড়ি-সরকার পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় ট্রাক্টর দিয়ে নদী থেকে পাথর তোলা হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নের জলিল, হিমু, মস্তান, হাসানসহ ১৫ থেকে ২০ জন নদীর ওই অংশে পাথর উত্তোলন করছে। আমি তাদের পাথর উত্তোলন বন্ধ করতে বললে তারা আমাকে উল্টো শাসায়, হুমকি দেয়। এ নিয়ে আমি তেতুঁলিয়া সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। আদালত ওই জমির ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেয়। কিন্তু এতেও থেমে নেই তারা। আমি এই দুষ্কৃতিকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করছি।
তেতুঁলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী জানান, আমরা ঘটনাটি নিয়ে পর্যবেক্ষণ করছি। নদীর ওই অংশে যদি আবারো পাথর উত্তোলন করে স্থানীয় লোকজন। তাহলে আদালতের আদেশ না মানার কারণে ওই জমির মালিক যদি আদালতে ১৮৮ ধারায় একটি মামলা দায়ের করে তাহলে আদালত থেকে যে নির্দেশনা আসবে আমরা সেটা পালন করবো।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

দিনাজপুরে শিয়ালের কামড়ে আহত-৭, আতঙ্কে গ্রামবাসী

যতদিন ভূখন্ড থাকবে ততদিন পর্যন্ত জামায়াতকে রাজাকার, আল শামস খেতাব এই তিলক নিয়ে বাংলাদেশের মাটিতে বসবাস করতে হবে —বিএনপির নেতা ফরহাদ হোসেন আজাদ

বীরগঞ্জে খাবার খেয়ে একই পরিবারের ৫জন হাসপাতালে

পীরগঞ্জে আগুনে পুড়ল ৮টি ঘড়।। ছুটে গেলেন ইউএনও রমিজ আলম

হরিপুরে ভ্যানের নিচেপড়ে স্কুল ছাত্রেে মৃত্যু

হরিপুরে ভ্যানের নিচেপড়ে স্কুল ছাত্রেে মৃত্যু

বীরগঞ্জে প্রচেষ্টার ব্লাড ব্যাংকের উদ্যোগে ইফতার মহফিল অনুষ্ঠিত

দিনাজপুরে শান্তি সমাবেশে সাবেক মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি জনগন থেকে বিচ্ছিন্ন বিএনপি এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে

শিক্ষক বাতায়নে জেলা অ্যাম্বাসেডর হলেন বীরগঞ্জের সহকারী শিক্ষক মতিউল ইসলাম

দিনাজপুর জিয়া হার্ট ফাউন্ডেশনে বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে সেমিনার ও র‌্যালী

হতদরিদ্র, নির্যাতিত গর্ভবতীদের নিরাপদ প্রসবে সহযোগিতায় আর্থিক অনুদান প্রদান