Thursday , 11 August 2022 | [bangla_date]

বহুমুখী ব্যবহার ঠাকুরগাঁওয়ে পাটখড়ির কদর বেড়েছে !

মোঃ মজিবর রহমান শেখ,,
পাটখড়ি একসময় অবহেলার পন্য হলেও বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তির আশীর্বাদে বহু ক্ষেত্রে পাটখড়ি ব্যবহার বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়, জ্বালানি, চারকল, পার্টিকেল বোর্ড মিলে, হস্তশিল্প তৈরীতে । জেলার কৃষকেরা পাট বিক্রি করে যতটা লাভবান হচ্ছেন তার সাথে পাটখড়ি বিক্রি করেও কিছুটা পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এছাড়াও বেশিরভাগ বাড়িতে জ্বালানী হিসেবে বেশ নাম ডাক রয়েছে পাটখড়ির। বেশ কিছু মানুষকে পাটখড়ি শহরে বিক্রি করে জীবীকা নির্বাহ করতেও দেখা যায়। এরই ধারবাহিকতায় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সারি সারি পাটখড়ির আটি রোদে শুকাতে দিয়েছেন কৃষকেরা। ভালমত শুকিয়ে গেলে কৃষকদের বাড়ি থেকেই কিনে নিয়ে যায় ব্যবসায়িরা। তারা পাটখড়ি কৃষকদের কাছ থেকে মোটামুটি দামে কিনে ভ্যানে করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে থাকেন। এতে করে বাড়তি আয় করছেন অনেকেই। বাড়িঘরে, সবজি ক্ষেতের বেড়া, মাচা, পান বরজ, বিভিন্ন হস্তশিল্প পন্য তৈরীর কাজে পাটখড়ির আলাদা ব্যবহার লক্ষ্য করা যায় আগে থেকেই। কিন্তু বর্তমানে ব্যাপক হারে পার্টিকেল বোর্ড তৈরীতে ব্যবহার হচ্ছে পাটখড়ি এবং চারকলগুলোতে ব্যাপক হারে ব্যবহার হচ্ছে পাটখড়ি। অন্য দিকে পাটখড়ি পুড়িয়ে তার ছাই ব্যবহার হচ্ছে ফসলের ক্ষেতে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ভগতগাজী এলাকার কৃষক মুসা আলী জানান, ৩০ শতক জমির পাট থেকে যে পাটখড়ি পেয়েছি সুন্দরভাবে শুকিয়ে পরিস্কার করে বিক্রি করতে পারলে তা থেকে ৫-৭ হাজার টাকা আয় করা যায়। পাটখড়ি সরাসরি চারকল বা বোর্ড ফ্যাক্টরিতে দিতে পারলে আরো বেশি দামে বিক্রি করা যাবে। ঠাকুরগাঁও
সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের আরাজী ঝাড়গাঁও মোলানী গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, পাটকাঠির চাহিদা থাকায় ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে। পাটখড়ি বিক্রি করে কিছুটা লোকসান পুষিয়ে নেওয়া যাবে। পাটখড়ি আগে শুধু জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হলেও বর্তমানে নানামুখী কাজে ব্যবহারের ফলে কৃষকেরা বাড়তি লাভবান হচ্ছেন। অনেকেই বাড়ি থেকে পাটখড়ি কিনে তা শহরে বিক্রি করতে শুরু করেছেন। ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও জেলায় এ বছর ৭২৫ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। এতে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ হাজার ২৮০ হেক্টর জমি। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৬১ হাজার ১৫ মেট্রিক টন। যা গত বছরে আবাদ হয়েছিল ৬ হাজার ৮১৭ হেক্টর জমি। এতে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৬ হাজার ২৯২ হেক্টর জমি। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫৯ হাজার ৪২৫ মেট্রিক টন।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. আবু হোসেন বলেন, জেলার সব উপজেলাতে কম বেশি পাটের আবাদ হয়েছে। ঠাকুরগাঁও জেলায় পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ অঞ্চলের পাট রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন মিল-কারখানায় বিক্রি হয় বলে শোনা যায়। এর পাশাপাশি পাটখড়িও ইতিমদ্যে রপ্তানী হতে দেখা যায়। এতে করে কৃষকেরা বাড়তি মুনাফা অর্জন করতে পারছেন। ভবিষ্যতে পাটখড়িও দেশের বিভিন্ন পার্টিকেল বোর্ড মিল ও চারকল মিলে দিয়ে কৃষকেরা আর্থিক দিক দিয়ে আরও লাভবান হবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

রাণীশংকৈলে বেড়েছে চুরি – মসজিদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও রেহাই পাচ্ছে না

রানীশংকৈলে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুনামের্ন্টের উদ্বোধন

স্বাধীনতা পরবর্তী মহারাজা স্কুল মাইন ট্রাজেডী দিবস আজ শত শত বীর মুক্তিযোদ্ধার শাহাদত বরনের হৃদয় বিদারক ঘটনা আজও সবাইকে কাদাঁয়

পঞ্চগড়ে অসহায় দরিদ্র নারীদের মাঝে বিনামূল্যে গরু বিতরণ

কাহারোলে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে ভ্যান চালকের মৃত্যু

পীরগঞ্জে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ঘরবাড়ি নির্মাণ

ঠাকুরগাঁও সুগার মিলস্ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও নির্বাচন না হওয়ায় সদস্যদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা

ঠাকুরগাঁও সুগার মিলস্ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও নির্বাচন না হওয়ায় সদস্যদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা

পঞ্চগড়ে কাল্ব এর ১৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা

ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপির বর্ধিত ও প্রস্তুতি সভা ৪ ফ্রেব্রুয়ারি রংপুর বিভাগীয় সমাবেশ উপলক্ষে !

প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতায় দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ -মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি