Tuesday , 23 August 2022 | [bangla_date]

সারাদেশে আলোড়িত সেই ইয়াসমিন ট্রাজেডি আজ ২৪ আগস্ট

সারাদেশে আলোড়িত দিনাজপুরের সেই ইয়ানমিন ট্রাজেডী ঘটনা যা আজও শিহরিত করে।
ইয়াসমিন ট্রাজেডি’র আজ ২৪ আগস্ট ২৭তম বার্ষিকী। এ দিনে দেশব্যাপী পালিত হয় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস হিসাবে।
১৯৯৫ সালে পুলিশ কর্তৃক ধর্ষন ও হত্যাকান্ডের শিকার ইয়াসমিনের ধর্ষণ ও হত্যার বিচার হয়েছে। শেষ পর্যন্ত দোষী তিন পুলিশের ফাঁসী কার্যকর করা হয়েছে।
এই ঘটনা মানুষের মনে এখনো নাড়া দেয় দারুণ ভাবে। এখনো মানুষ প্রতিবাদী প্রতীক হিসাবে ইয়াসমিন ট্রাজেডি‘কে তুলে ধরে।
কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে, ২৪আগষ্ট দিনাজপুর শহরের প্রতিটি ভবন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাচ ধারণ ও শোক র‌্যালী। দিবসটি পালনে সম্মিলিত নারী সমাজ, মহিলা পরিষদসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পৃথক পৃথক কর্মসূচী গ্রহণ করেছে।
এছাড়াও নিহত ইয়াসমীনের স্মরণে আগামী ২৭ আগষ্ট বিকাল ১১টার পূর্বসাদীপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সর্বস্তরের জনতার আয়োজনে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
নিহত ইয়াসমিনের মা শরীফা বেগম ২৪ আগষ্ট তার বাড়িতে ফকির, মিসকিনদের মাঝে খাদ্য বিতরণ ও দোয়া খায়ের-এর আয়োজন করেছেন।
দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বরূপ বক্সী বাচ্চু বলেন, এটা বিশেষ কোন রাজনৈতিক দলের আন্দোলন ছিলনা। এ আন্দোলন সমগ্র দিনাজপুরবাসীর আন্দোলনে রুপ নেয়। যার কারণে তদানিন্তন সরকার বাধ্য হয়ে দাবী মেনে নিয়ে তৎকালীন সরকার প্রধানের বিশেষ প্রতিনিধি এসে সমঝোতা করতে বাধ্য হয়।প্রতি বছর দিনাজপুরে সর্বদলীয়ভাবে দিবসটিকে পালনের জন্য ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়।
উল্লেখ্য, আজ থেকে ২৭বছর পূর্বে ১৯৯৫সালের এ দিনে দিনাজপুরে একদল বিপথগামী পুলিশের হাতে তরুণী ইয়াসমিন নিমর্মভাবে ধর্ষন ও হত্যার শিকার হয়। এ বর্বরোচিত ঘটনার প্রতিবাদে-বিক্ষোভে ফেটে পড়ে দিনাজপুরের মানুষ। প্রতিবাদী মানুষকে লক্ষ্য করে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ৭ জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শহরে ১৪৪ ধারা (কার্ফ্যূ) জারি করা হয়। শহরে নামানো হয় বিডিআর। এ ঘটনায় দেশ-বিদেশের কোটি কোটি মানুষের দৃষ্টি নিবন্ধ হয় দিনাজপুরের দিকে।
ইয়াসমিন ধর্ষন ও হত্যা ঘটনায় দায়েরকৃত মামলাটি ৩টি আদালতে ১শ’ ২৩ দিন বিচার কাজ শেষে ১৯৯৭ সালের ৩১ আগষ্ট রংপুরের জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল মতিন মামলার রায় ঘোষণা করেন। মামলার রায়ে আসামী পুলিশের এ,এস,আই মঈনুল, কনষ্টেবল আব্দুস সাত্তার ও পুলিশের পিকআপ ভ্যান চালক অমৃত লাল বর্ম্মনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ বিধান ‘৯৫-এর ৬ (৪) ধারায় ধর্ষন ও খুনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুর আদেশ দেন। আলামত নষ্ট, সত্য গোপন ও অসহযোগিতার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় এ,এম,আই মঈনুলকে আরো ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়। চাঞ্চল্যকর ইয়াসমিন ধর্ষন ও হত্যা মামলার দন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয় ৮ বছর পর অর্থাৎ ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

আটোয়ারী উপজেলা ফুটবল একাডেমির প্রশিক্ষনার্থীদের মাঝে জার্র্সি বিতরণ

বীরগঞ্জে কেরাত প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

আজলম ফাউন্ডশনের উদ্যোগে বীরগঞ্জে ১৮ অসহায়ের মাঝে হুইল চেয়ার ও নগদ অর্থ বিতরন

দিনাজপুর টাপেন্টাডল ও-মরফোন ট্যাবলেট সহ একজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৩

ঠাকুরগাঁওয়ে ১০ টাকা কেজির চাল বিতরণের সচ্ছল পরিবারকে সুবিধা দিতে গিয়ে তালিকা থেকে বাদ পড়েছে অনেক অসচ্ছল অসহায় পরিবার

ঠাকুরগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু পরিষদের শীতবস্ত্র বিতরণ

ঠাকুরগাঁওয়ে জাতীয় সরকারের দাবিতে জেএসডি’র সমাবেশ অনুষ্ঠিত

জমে উঠেছে কান্তজিউ মন্দিরের রাস মেলা

সাফে স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের

ঠাকুরগাঁওয়ে আমাদের সময় পত্রিকার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত