Thursday , 22 December 2022 | [bangla_date]

শীতে কাঁপছে উত্তরের তেঁতুলিয়া দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড ১০.৪

তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি
দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় তেঁতুলিয়ায় জেঁকে বসেছে পৌষের তীব্র শীত। বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। তাপমাত্রা কমে আসায় শীতে নাকাল উত্তরের জনপদ। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে মানুষ।

প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস জানায়, বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল বুধবার রেকর্ড করা হয়েছিল ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত বছর এই দিনে রেকর্ড করা হয়েছিল ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৫-২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রেকর্ড হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, কদিন ধরেই প্রচন্ড ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। তাপমাত্রা অনেক নিচে নেমে এসেছে। এ অঞ্চল হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘার কাছাকাছি থাকায় শীতের মাত্রাও একটু বেশি হয়। সন্ধ্যার পর থেকে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীত নেমে আসে। মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত শীত অনুভূত হয়। দিনেও আগের মতো গরম নেই। বিকেল গড়ালেই ঠান্ডা লাগতে শুরু করে।

এতে করে হাড়কাঁপানো শীত পড়ায় বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন শ্রেণির খেটে খাওয়া মানুষ। ভোর ৬টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কনকনে শীতের কারণে কাজে যেতে পারছেন না অনেকেই। তবে পেটের তাগিদে কাউকে নদীতে পাথর তুলতে, কাউকে চা-বাগানে আবার কাউকে দিনমজুরের কাজ করতে যেতে দেখা গেছে।

চা-শ্রমিক বাদল, বাবু ও হায়াত জানান, কয়েকদিন ধরে কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। সকালে চা-বাগানের পাতা তুলতে গিয়ে হাত-পাতা অবশ হয়ে আসে। তারপরও কাজ করতে হচ্ছে।

পাথর শ্রমিক জমিরন, তাসলিমা ও রমিনাসহ কয়েকজন নারী শ্রমজীবি নারী জানান, আমরা আজানের পর পরই ঘুম থেকে উঠি। কদিন ধরে খুব ঠান্ডা। ঘরের মেঝে, আসবাবপত্র সব বরফের মতো লাগে এবং হাতপা অবশ হয়ে আসে। তারপরও কাজ শেষ করে পেটের দায়ে পাথরের কাজে যেতে হচ্ছে।

এদিকে দিন-রাতে তাপমাত্রা দুই রকম থাকায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগ। জ্বর, সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা। উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু।

চিকিৎসকরা বলছেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোগীর চাপ বেড়েছে। এমনিতে শীত মৌসুমে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়। শীতজনিত রোগ হিসেবে সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট বেশি হয়ে থাকে। আর শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। তাই এ সময়টাতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলে কিছুটা হলেও সুরক্ষা মিলবে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, তাপমাত্রা অনেকটা কমেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হিসেবে ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। সামনে তাপমাত্রা আরও নিচের দিকে নামতে পারে বলে তিনি জানান।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত
হাকিমপুরের ট্রোনে কাটা  পড়ে স্কুল ছাত্রের মৃত্যু

হাকিমপুরের ট্রোনে কাটা পড়ে স্কুল ছাত্রের মৃত্যু

বীরগঞ্জ ফয়সাল অটো রাইস মিল শুভ উদ্বধন

আচরণবিধি লঙ্ঘন অভিযোগে নৌকার প্রার্থী  ইকবালুর রহিমকে শোকজ

আচরণবিধি লঙ্ঘন অভিযোগে নৌকার প্রার্থী ইকবালুর রহিমকে শোকজ

ঠাকুরগাঁওয়ে আমরাই কিংবদন্তী’র পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ

আসন্ন শারদীয় দূর্গোৎসব উপলক্ষ্যে দিনাজপুর মহিলা পরিষদের মানববনন্ধন

আটোয়ারীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

বীরগঞ্জে সেলাই মেশিন বিতরণ

আ.লীগের মনোনয়ন পাওয়ায় সুজনকে ফুলেল শুভেচ্ছা

রোপা আমনের পাতায় উঁকি দিচ্ছে স্বপ্ন; খানসামায় পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক-কৃষাণী

শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ: প্রতিবাদে মানববন্ধন