Thursday , 18 May 2023 | [bangla_date]

তেঁতুলিয়ায় গ্রীস্মে পানির স্তর নিচে, মিলছে না নলকূপে পানি

তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি:
গ্রীস্ম মৌসুমে মাটির গভীর নি¤œস্তরে নেমে গেছে পানি। এতে করে উত্তরের তেঁতুলিয়া উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় হস্তচালিত নলকূপগুলোতে মিলছে না পর্যাপ্ত পানি। তাতে খাবার পানিসহ দৈনন্দিন পানির সংকট দেখা দিয়েছে।

বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, এ অঞ্চলের নদীগুলোতে পানি নেই। শুকিয়ে গেছে পুকুরের পানিও। বিশেষ করে এ অঞ্চলটি উচু এলাকা হওয়ায় গ্রীস্ম মৌসুমে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যায়। এতে করে অচল হয়ে পড়ে হস্তচালিত নলকূপ। সংকট দেখা দেয় খাবারসহ পারিবারিক ব্যবহৃত পানির। কয়েক বছর ধরেই এ সংকট বৃদ্ধি পাচ্ছে। নি¤œবিত্ত ও অসহায় মানুষদের মধ্যে পানির জন্য হাহাকার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তারা তাদের টিউবওয়েলে পর্যাপ্ত পানি পাচ্ছেন না। পানির জন্য ছুটতে হচ্ছে পাশের বাড়িতে।

দর্জিপাড়া ও সিদ্দিকনগর এলাকার গুলজান বেগম, নুরজাহান খাতুনসহ কয়েকজন জানান, দুই মাস ধরে ঠিকমত টিউবওয়েলের পানি উঠছে না। পাম্প বসিয়েও পানি মিলছে না। যারা বডিং করে পাম্প বসিয়েছেন, তারা কিছুটা পানি পাচ্ছেন। তাদের বাড়ি থেকে পানি আনতে গেলেও বিপাকে পড়তে হচ্ছে। বিদ্যুত খরচ বেড়ে যাওয়ায় তারা পানি দিতে চাচ্ছেন না। বাড়িতে ব্যবহৃত কাপড়, থালাবাসন ধোয়া ও রান্নাবান্না করতে যে পানি দরকার তা মিলছে না।

কৃষকরা বলছেন, পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার কারণে অনেক স্থানে অগভীর নলকূপ (শ্যালো মেশিন) দিয়ে পানি উঠছে না। টানা অনাবৃষ্টি ও খরার কারণে পুকুর-ঘাট, খাল-বিল ও নদ-নদীতে পানি শুকিয়ে গেছে। চৌচির হয়ে ফেটে যাচ্ছে ফসলের ক্ষেত। ৮-১০ ফুট গর্ত খুঁড়ে শ্যালো মেশিন গুলো সেখানে বসানো হচ্ছে। ইঞ্জিন গর্তে বসানোর পরেও পানি উত্তোলনের পরিমাণ বাড়ছে না। কম পানি উঠছে। বেড়েছে সেচ খরচ। এখন এক বিঘা ক্ষেতে সেচ দিতে ৭-৮ লিটার ডিজেল লাগছে। আগে এক বিঘা জমিতে একবার সেচ দিতে সেচযন্ত্রের মালিকরা ৮শ’ টাকা নিত। এখন ১২শ’ টাকা নিচ্ছে।

নলকূপ মিস্ত্রি ওয়াজেদ আলী বলেন, পঞ্চগড় জেলার মধ্যে তেঁতুলিয়ায় এ সময়টাতে টিউবওয়েল তথা নলকূপগুলোতে পানি থাকে না। আমরা সর্বোচ্চ এখানে ৭০-৮০ ফুট পর্যন্ত পাইপ বসিয়ে নলকূপ স্থাপন করে থাকি। তারপরেও জানুয়ারি থেকেই পানির লেয়ার নামতে শুরু করে। ৫০ ফুট পর্যন্ত লেয়ার নেমে গেছে। এ কারণে এখানকার টিউবওয়েলগুলোয় পানি উঠছে না। যাদের অর্থ আছে, তারা সাবমারসিবল বসাচ্ছেন। এখন কাজের চাপও অনেক বেশি। প্রতিদিন চার-পাঁচটি করে সাবমারসিবল পাম্প বসানোর কাজ করছি।

তেঁতুলিয়া উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী মিঠুন কুমার রায় বলেন, এ সময়ে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নেমে গেছে। গত বছর আমরা সিদ্দিকনগর এলাকায় সার্ভে করেছিলাম তখন পানির প্রথম লেয়ার ৩২ ফিট নিচে নেমে যেতে দেখেছিলাম। বিশেষ করে বরেন্দ্রসহ অনেক গভীর নলকুপ স্থাপন হওয়ায় সাধারণ হস্তচালিত নলকূপে পানি উঠে না। এখন পানির স্তর ৩০-৩৫ ফুট নিচে নেমে গেছে। এতে খাবার পানির সংকট সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন। আমরা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি। #

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

পঞ্চগড় অস্ত্রসহ ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণ শুরু

বীরগঞ্জে বেলুন ফুলানোর সময় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরনে দুই ভাইয়ের মৃত্যু মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপির শোক প্রকাশ

হরিপুরে আ’লীগের ৭২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

খানসামায় আরাফাত রহমান কোকো  ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল

খানসামায় আরাফাত রহমান কোকো ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল

রাস্তার ধারে পতিত জমিতে কৃষকের পেঁপে চাষ

শান্তি-স¤প্রীতি চিরিরবন্দর’ গড়ে তোলার লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা

বীরগঞ্জে ট্রাক্টরের ধাক্কায় কিশোর নিহত

ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর উপলক্ষে দিনাজপুরে বিএনপির আলোচনা ও রক্তদান কর্মসূচী পালন

ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা

বীরগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে ৯ নং ওয়ার্ডে আবু মুঈদ রুবেল ব্ল্যাকবোর্ডের পক্ষে ব্যাপক গণসংযোগ