Thursday , 16 November 2023 | [bangla_date]

একই জমিতে বিভিন্ন ফল বাগান করে বছরে আয় তিন লাখ টাকা

ফলের বাগানে প্রবেশ করে দেখা যাবে কোন গাছে মাল্টা, কোন গাছে কমলা, কোন গাছে লেবু না হয় অন্য ফল।
দিনাজপুরে একই জমিতে বিভিন্ন ফলের চাষ করে ব্যাপক লাভবান হয়ে সাড়া ফেলেছে এক যুবক। পড়ালেখা শেষ করে চাকুরির পিছনে না ছুটে এই ব্যতিক্রমী ফলের বাগান করে ব্যাপক লাভবান হয়েছেন তিনি। এই মিশ্র ফল বাগান করার পরে তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বাগান হতে তিনি এখন বছরে আয় করছেন ৩ লাখ টাকা।
আবার এখানে কয়েকজনের কর্মসংস্থানও হয়েছে। এখন তাকে অনুকরন করে অনেকেই এইসব ফলের চাষে এগিয়ে আসছে।
দিনাজপুরের বীরগঞ্জের মোহনপুর ইউপির ছিটভগীর পাড়া গ্রামের শিক্ষিত তরুণ যুবক আব্দুল্লাহ আল মামুন নিজ এলাকায় এক ব্যতিক্রমী ফল বাগান করে সবাইতে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। পড়ালেখা শেষ করে চাকরির পিছনে না ছুটে ২০২০সালের মে মাসে ৪২ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে ৬৭ শতক জমিতে চাষ শুরু করেন মালটা, কমলা, আপেল কুল, লেবু সুপারি চাষ। বর্তমানে তার এই মিশ্র ফল বাগানে বারি-১ জাতের মালটা ১৪০টি, দার্জিলিং মেন্ডারিং কমলা ১০৬টি, বলসুন্দরী ও কাশমেরী আপেল কুল ১০০টি, সুপারি ৮৭টি, লেবু ১৫০টি গাছ রয়েছে।
যুবক আল মামুন জানান, বাগানটি ২০২০সালের শুরু করি। বাগান করার ১৫ মাস পরেই এই বাগানের ফল বিক্রি করে ২ লাখ টাকা আয় করি। ২০২২সালের ভুল কীটনাশক স্প্রে আপেল কুলের ক্ষতি হয় কিন্তু অন্যান্য মালটা, কমলা, লেবু, সুপারি হতে কিছু আয় করি। কিন্তু ২০২৩ শুরুর দিকে এই বাগান থেকে শুধু মালটা বিক্রি করি এক লাখ পঁচিশ হাজার, লেবু চল্লিশ হাজার, বর্তমানে কমলা ও আপেল কুল আছে যা দাম ও বাজার ভালো থাকলে দুই লাখ টাকারও বেশি বিক্রি করতে পারবো।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে এই বাগানে কম-বেশি তিনজন শ্রমিক প্রতিনিয়ত কাজ করে তাদের একটা কর্মসংস্থান করতে পেরেছি। এখান থেকে তারা বাড়তি আয় করছে। তবে আমার মিশ্র ফল বাগান করার উদ্দেশ্য হলো এই বাগান থেকে একেক সময় একেক ফল বিক্রি করা যায়। প্রায় সবসময় কোন না ফল বিক্রি করা যাচ্ছে।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও