Saturday , 2 March 2024 | [bangla_date]

আত্রাই নদীর জেগে ওঠা চরে খানসামা উপজেলায় স্বপ্ন বুনছেন কৃষক-কৃষাণী

খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: আত্রাই নদীর বুকে জেগে উঠা চরে শুধুই বালু আর বালুর মাঝে এ পলির আশাতীত পলি স্তরের কারণে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় স্বপ্ন বুনছেন কৃষক-কৃষাণীরা। এসব চরে বিভিন্ন ফসলের আবাদ অনায়াসে হচ্ছে। চরের এই চাষাবাদ শস্য প্রধান এই অঞ্চলের কৃষি অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ্য করেছে।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলার গোবিন্দপুর, বেলপুকুর ও কায়েমপুর এলাকার চর ঘুরে দেখা যায়, নদীর বুকে জেগে ওঠা চর পলিমাটি মিশ্রিত উর্বর আবাদি জমিতে পরিণত হয়েছে। সেখানে চাষাবাদে কর্মব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা। এসব চরে চাষ হচ্ছে ধান, পেঁয়াজ, গম, ভুট্টা, সরিষা, মিষ্টি কুমড়াসহ নানা ধরনের শাকসবজি।
জানা যায়, নদীতে চর জেগে ওঠার পর ঐ এলাকার কৃষকদের নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে চরে চাষাবাদ করে। স¤প্রতি পার্শ্ববর্তী বীরগঞ্জ উপজেলার কৃষকদের সাথে সীমনা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হলে পরে সেটি সমাধান করেন খানসামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাজ উদ্দিন ও ওসি মোজাহারুল ইসলাম।
খানসামা উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে আত্রাই নদীর চরে আলোকঝাড়ী, বাসুলী, গোবিন্দপুর, বেলপুকুর, কায়েমপুর, জোয়ার, শুড়িগাও, আগ্রা ও চাকিনিয়া এলাকায় মোট ৫৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। এরমধ্যে বোরো ধান ৪৫ হেক্টর, পেঁয়াজ ৩ হেক্টর, মিষ্টি কুমড়া ১ হেক্টর ভূট্টা ৪ হেক্টর ও সরিষা ২ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। কৃষি বিভাগের উৎসাহে গত মৌসুমের চেয়ে চাষাবাদ বৃদ্ধি হয়েছে।
উপজেলার গোবিন্দপুর চরের চাষি ভ্যানচালক ছমির উদ্দিন বলেন, নিজের কোন আবাদি জমি নেই। নদীতে চর পড়ায় ফসলের আবাদ শুরু করেছি। ধানের পাশাপাশি পিঁয়াজ ও বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজি চাষ করেছেন। এসব চাষ করে বাড়তি আয় হবে যেটি সংসারে কাজে লাগবে বলে তিনি জানান চরের আশপাশের সব কৃষক এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এনামুল ইসলাম নামে আরেক চাষী বলেন, চরে প্রায় বিঘা খানেক জমিতে ধান চাষ করেছি। অন্য আবাদি জমির চেয়ে চরের ধান চাষে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশী। সেই সাথে ভালো ফলনও পাওয়া যায়।
খামারপাড়া ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শ.ম. জাহেদুল ইসলাম বলেন, চরে ধান ও পেঁয়াজ আবাদ অনেক ভালো হয়। সেই সাথে চরে চাষাবাদ উপযোগী ফসলের ফলন বৃদ্ধিতে কৃষকদের সহায়তা ও পরামর্শ প্রদানে আমরা কাজ করছি।
ভারপ্রাপ্ত উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবা আক্তার বলেন, অন্য আবাদি জমির সাথে চরে চাষাবাদে যেমন কৃষকরা লাভবান হচ্ছে তেমন খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ধারাবাহিকতা ও সফলতা বজায় রাখতে উপজেলা কৃষি বিভাগ সর্বদা কৃষকের পাশে রয়েছে।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

পীরগঞ্জে বিদ্যালয়ে কম্বাইন্ড ওয়াশব্লক নির্মাণ কাজের উদ্বোধন

প্রশ্নফাঁসের কারণে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে এবার জীববিজ্ঞান ও উচ্চতর গণিতের প্রশ্ন বাতিল

গুড নেইবারস্ বাংলাদেশ বীরগঞ্জ সিডিপির উদ্যোগে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত

পীরগঞ্জে ট্রেন থেকে দ্রুত নামতে গিয়ে ২ পা হারালো যাত্রী

তালিকায় বাদ পড়া বিরলের বীর মুক্তিযোদ্ধা নরেশ চন্দ্র রায় জীবন সায়াহ্নে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন

হাবিপ্রবিতে অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা সংক্রান্ত এবং জিআরএস সফটওয়্যার বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

রাণীশংকৈলে নবাগত ইউএনও’র সাথে সাংবাদিকদের মত বিনিময়

বীরগঞ্জ মাকড়াই জাতীয় উদ্যান শালবনে বিভিন্ন গ্রæপে বিভক্ত হয়ে চলছে জুয়ার আসর

বীরগঞ্জে কমছে গমের আবাদ

ঘোড়াঘাটে ট্যাবলেট সহ একজন আটক