Tuesday , 26 March 2024 | [bangla_date]

ইছামতি নদীতে ইরি-বোরো চাষ,সংস্কার করা না হলে হারিয়ে যাবে নদীটি

চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: এক সময়ের খরস্রোতা ইছামতি নদী নাব্য হারিয়ে ক্ষেতের জমিতে পরিণত হয়েছে। নদীটি এখন সমতল ভূমিতে পরিণত হয়েছে। এ নদীর বুকে এখন চাষ হচ্ছে ইরি-বোরোধান। অনেক স্থানে নদী ভরাট করে হয়েছে বেদখল। শুষ্ক মৌসুমের আগেই নদীটি শুকিয়ে যায়। নদীটি শুকিয়ে যাওয়ায় হারিয়ে গেছে অনেক দেশিয় প্রজাতির সুস্বাদু মাছ ও জলজ প্রাণি। এতে জেলেরা পেশা পরিবর্তন করে চলে যাচ্ছে অন্য ভিন্ন পেশায়। অথচ এক সময় এ নদীতে বড় বড় পালতোলা নৌকা চলতো। এসব নৌকায় মানুষসহ বিভিন্ন পণ্য আনা-নেয়া হতো। কিন্তু আজ আর নৌকা চালানোই সম্ভব নয়। এখন যে কেউ দেখলে এটা নদী তা বিশ্বাসই করতে চায় না। কারণ পানি না থাকায় নদীর বুকজুড়ে সমতল ভূমিতে চাষ হচ্ছে ইরি-বোরোধান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঐতিহ্যবাহী ইছামতি নদীটি দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ছাতিয়ানগড় বিল থেকে উৎপত্তি হয়ে চিরিরবন্দর উপজেলার ওপর দিয়ে ৬৫ কিলোমিটার এলাকা প্রবাহিত হয়েছে। নদীটি চিরিরবন্দরের বিন্যাকুড়িহাটে গিয়ে একটি ছোট যমুনা ও আরেকটি মরা নদী নামে দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছে।
নদীটি এখন অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। এ নদীর বুকজুড়ে এখন চলছে ইরি-বোরোধানের আবাদ। এক সময়ের খরস্রোতা এ নদীর পানি দিয়ে কৃষকরা চাষাবাদ করতেন। মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করত অনেক জেলে পরিবার। হারিয়ে গেছে নদীর সুস্বাদু বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। বর্তমানে বছরের অধিকাংশ সময় নদীটি থাকে পানিশুন্য। নদীটিতে পানি না থাকায় চাষাবাদের উপযুক্ত অবস্থায় থাকে। তাই নদীতে প্রায় সময় চলে চাষাবাদ। পানি না থাকায় বদলে গেছে স্থানীয় জেলেদের জীবনযাত্রা। নদীর কিছু জায়গায় জায়গায় স্বল্প পরিমাণ পানি থাকলেও বেশির ভাগ অংশই থাকে পানিশুন্য ও সমতল কৃষি জমি। নদীটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি ধারণ ক্ষমতা কমে গেছে। নদীটি সংস্কার না হওয়ার কারণে বর্ষা মৌসুমে অল্প বৃষ্টিতেই নদীর পাশের জমিগুলো পানিতে নিমজ্জিত হয়ে তলিয়ে যায়।
উপজেলার নশরতপুর, আলোকডিহি ও সাতনালা গ্রামের অনেকেই জানান, ইছামতি নদীতে বেশিরভাগ সময়েই পানি থাকে না। তাই বৃহত্তর রানীরবন্দর এলাকার জেলেরা তাদের পেশা পরিবর্তন করতে বাঁধ্য হয়েছেন। কেউ কেউ অন্য পেশায় চলে গেছেন। আবার কেউ অন্যত্র চলে গেছেন। নদীতে পানি না থাকায় হারিয়ে যাচ্ছে দেশিয় বিভিন্ন প্রজাতির সুস্বাদু মাছ। কৃষকরা শুষ্ক মৌসুমে ক্ষেতে পানি সেচ দিতে পারেন না। নদীকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে এখনই প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা নেয়া দরকার। নদীটি খনন ও জবরদখলকারীদের হাত উদ্ধার করা প্রয়োজন। তা না হলে একসময় নদীটি সমতল ভূমিতে ও মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে।
দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান জানান, জেলায় ছোট-বড় মিলে ২১টি নদী রয়েছে। পানি প্রবাহ ঠিক রাখতে ইতিমধ্যে পুর্ণভবাসহ ৬টি নদী খনন করা হয়েছে। ইছামতি ও ছোট যমুনা নদীতে খনন করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা নিয়ে বিএনপি নানা রকম মিথ্যাচার ছড়াচ্ছে -মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি

পল্লীশ্রী’র আয়োজনে বয়স্ক ভাতা প্রদানে সেবা প্রদানকারীদের সাথে জবাবদিহিতা বিষয়ক আলোচনা সভা

বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশের সকল মানুষের জন্য ভাত কাপড় ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করেছেন -হুইপ ইকবালুর রহিম

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে(হাবিপ্রবি) অন্যের আইডি ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সেজে অবস্থানে তোলপার

দিনাজপুরে নেসকো’র প্রি-পেইড মিটার বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

পীরগঞ্জে অভ্যুত্থানে শহিদদের স্মরণে সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

হরিপুরে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ ৩জনের বিরুদ্ধে ভ্রুণ হত্যা মামলা

পীরগঞ্জে বিকল্প সড়ক সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন।।

বেহেস্তের লোভ দেখানো উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখে দেওয়ার দায়িত্ব যুবসমাজের -মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি

বালিয়াডাঙ্গীতে ৪ জনের করোনা সনাক্ত, রির্পোটের অপেক্ষায় আরও ৫ জন