Monday , 4 March 2024 | [bangla_date]

ঐতিহাসিক রামসাগর জাতীয় উদ্যানে নতুন অতিথি নিয়ে মায়াবী চিত্রা হরিন দলের ছুটোছুটি

হালকা শীতের মাঝে মিষ্টি রোদের আলোয় নতুন অতিথিদের নিয়ে ছুটোছুটি মায়াবী চিত্রা হরিন দলের। প্রাকৃতিক অপরূপ নয়নাভিরাম দিনাজপুরের ঐতিহাসিক রামসাগরের মিনি চিড়িয়াখানায় মায়াবী চিত্রা হরিনের সংসারে আরও ৭টি নতুন অতিথি এসেছে। যা দর্শানার্থীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা পর্যটকদের দৃষ্টি কেড়েছে। ভিড় বেড়েছে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা দর্শনার্থীদেরও।
সাগর নয় তবুও নাম তার রামসাগর। মধ্যযুগের বিখ্যাত সামন্ত রাজার অমর কীর্তি দিনাজপুরের রামসাগর যা সারা বাংলার এক সৌন্দর্য মন্ডিত ঐতিহাসিক দীঘি। প্রাকৃতিক অপরূপ নয়নাভিরাম দীঘিটি পর্যটকদের মনকে ছুয়ে যায় ভাল লাগার পরশে। এখানে সবার দৃষ্টি কাড়ে রামসাগর জাতীয় উদ্যানের মিনি চিড়িয়াখানার মায়াবী চিত্রা হরিনগুলো। নতুন হরিন শাবকের জন্ম নেওয়ার সাথে সাথে সাতটি নতুন অতিথি এসেছে মায়াবী চিত্রা হরিনের সংসারে।
ঐতিহাসিক রামসাগর জাতীয় উদ্যানের মিনি চিড়িয়াখানায় এখন নতুন অতিথি নিয়ে ৯২টি চিত্রা হরিণ পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষন বাড়িয়েছে। মুক্ত পরিবেশে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মায়াবী চিত্রা হরিনের পাল। এছাড়াও মিনি চিড়িয়াখানায় রয়েছে অজগড় সাপ, ৮টি বানর, পাখিসহ আরও কিছু বন্যপ্রাণী। মিনি চিড়িয়াখানার এসব প্রাণী দেখভাল করেন বনবিভাগের বাবুল। তিনি জানান,চিত্রা হরিন ছিল ৮৫টি এবং এ শীতে ৭টি হরিন শাবক জন্ম নিয়েছে।
চিড়িয়াখানার মায়াবী চিত্রা হরিনের সংসারে চলতি শীত মওসুমে এসেছে ৭টি নতুন অতিথি। এখন মিনি চিড়িয়াখানায় নতুন অতিথিসহ মোট ৯২টি মায়াবী চিত্রা হরিন। দিন দিন সংখ্যা বাড়ছেই এসব হরিনের। আরও কিছু মা হরিন গর্ভধারন করেছে, যা মার্চের মধ্যে প্রসব করবে বলে জানান দিনাজপুর বন বিভাগের বিট কর্মকর্তা ও রামসাগর জাতীয় উদ্যানের তত্ত¡াবধায়ক মো. আব্দুল মান্নান।
দিনাজপুর বন বিভাগের বিট কর্মকর্তা মো. আব্দুল মান্নান জানান, চিত্রা হরিনগুলোর খাদ্যের জন্য খাদ্য বাজেট আসে। বাজেটের জন্য টেন্ডার হয়। ঠিকাদার নিয়োগের মাধ্যমে খাদ্য সরবরাহ করা হয়। তবে বছরে চিড়িয়াখানায় পশুপাখির সংখ্যা বাড়লে একটু সমস্যা হয়, যা স্থানীয়ভাবে ব্যবস্থা করা হয়। চিত্রা হরিনগুলোকে ছোলা, নেপিয়ার ঘাস, গমের ভূসি, ভূট্টা ভাঙ্গা, চক্কর, লতাপাতা ইত্যাদি খাবার দেয়া হয়।
বনবিভাগের কয়েকজন জানায়, চিত্রা হরিণের প্রিয় খাবার শাপলা পাতা। রামসাগর দিঘিতে শাপলা চাষ করতে পারলে হরিণের খাদ্য চাহিদা কিছুটা মেটানো সম্ভব হতো। কিন্তু গত কয়েকবছর ধরে রামসাগর দিঘিতে মাছ শিকার, ইঞ্জিন নৌকা চালানোর কারণে শাপলা চাষ বন্ধ হয়ে যায়। আবার রামসাগরের জলরাশির দেখভাল করে জেলা প্রশাসন।
উল্লেখ্য, রামসাগর জাতীয় উদ্যানের চিড়িয়াখানায় সরকারিভাবে প্রথম ৬টি চিত্রা হরিণ আনা হয়। হরিণগুলো দ্রæত বংশবিস্তারে বাড়তে বাড়তে এদের সংখ্যা এখন বাচ্চাসহ ৯২টি।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

দিনাজপুরে নেসকো’র প্রি-পেইড মিটার বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

বীরগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ

হরিপুরে চলছে রমরমা আইপিএল খেলা

চিকিৎসা ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার -মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি

ঠাকুরগাঁওয়ে তৃণমূলে আ.লীগ নেতাদের নিয়ে মতবিনিময়

ঠাকুরগাঁওয়ে ‘দ্যা রয়েল লাউঞ্জ’ নামে নতুন চাইনিজ উদ্বোধন

রাণীশংকৈল পৌর সভায় টিকাদান কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন

সেতাবগঞ্জ মহিলা সমিতির নির্বাচনে নারগিস-কামনা প্যানেল বিজয়ী

ঠাকুরগাঁও হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা

ভোট বর্জন করে লাভ নেই আমরা নির্বাচন করবো — হাফিজ উদ্দীন আহম্মেদ এম,পি