Monday , 18 March 2024 | [bangla_date]

বিলুপ্তির পথে ইঁদারা বা কুয়ার দেখা মিলেছে প্রত্যন্ত গ্রামে

চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিরিধি: বিলুপ্তির পথে প্রাচীন ঐতিহ্যগুলোর মধ্যে একটি ইঁদারা বা ইন্দারা বা কুয়া। একসময় মানুষের পানের জন্য সুপেয় পানির উৎস ছিল বিলুপ্ত হওয়া এই ইঁদারা বা ইন্দারা বা কুয়া।
বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে বিকালে কিংবা সন্ধ্যায় গ্রামবাংলার মা-বোনেরা কলসি নিয়ে কুয়া থেকে পানি নিয়ে আসার চিত্র তেমন দেখা না গেলেও দিনাজপুরের চিরিরবন্দর, খানসামাসহ কিছু এলাকায় আজও দেখা গেছে।
ইঁদারা, ইন্দিরা, ইন্দ্রা, ক‚প ও পাতকুয়া-ই বিভিন্ন নামে পরিচিত ছিল গ্রামের মানুষের সুপেয় বা খাবার পানির সবচেয়ে ভালো মাধ্যম। ১০-১৫ ফুট গোল গর্ত করে অনন্ত ৫০-৬০ ফুট নিচ পর্যন্ত মাটি খুড়ে এসব ইঁদারা, ইন্দিরা, ইন্দ্রা, ক‚প ও পাতকুয়া তৈরি করা হতো। মাটির নিচের পানির স্তরই ছিল এসব ক‚পের পানির প্রধান উৎস। ইঁদারা নিচ থেকে উপর পর্যন্ত ইট বা রিং (সিমেন্ট-বালুর তৈরি গোলাকার কাঠামো) দিয়ে বাঁধাই করা হতো আর ক‚প বাঁধাই করা হতো না। নব্বইর দশক পর্যন্ত অনেক এলাকার মানুষ তাদের সুপেয় পানির চাহিদা পূরণ করতো গভীর ক‚প বা ইঁদারা থেকে। এসব কুয়া বা ইঁদারার পানি হতো স্বচ্ছ ও ঠান্ডা। সুপেয় পানি পানের অভাববোধ থেকেই মানুষ খনন করতো গভীর কুয়া বা ইঁদারা বা ইন্দারা। খাল-বিল, নদী-নালা, পুকুর থেকে সংগৃহিত পানি দিয়ে ঘর-গৃহস্থালির প্রয়োজনীয় কাজ করতো। গ্রামবাংলার প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী কুয়াগুলো কালের আবর্তে হারিয়ে গেছে। যা এখন শুধুই স্মৃতি। এখন আর বাড়ি বাড়ি কুয়া দেখতে পাওয়া যায় না। আধুনিকতার ছোঁয়ায় মানুষের জীবনমান উন্নত হচ্ছে, হারিয়ে গেছে প্রকৃতির সান্নিধ্য। পানি বিশুদ্ধ করার জন্য ব্যবহার করছি কত রকমের নামি-দামি কোম্পানির ফিল্টার কিংবা পানি বিশুদ্ধ করছি ফুটিয়ে। অথচ নব্বই দশক পর্যন্ত কুয়ার বা চুয়ার পানিরর ব্যবহার ছিল সবর্ত্রই।
কালের স্বাক্ষী বিলুপ্ত প্রায় ইন্দারা বা ইদারা বা কুয়ার সন্ধান মিলে চিরিরবন্দরের ইসবপুর ইউপির দক্ষিণ নওখৈর গ্রামে। যার নিচে চতুর্দিকে প্লাস্টার করা। যা আজও ব্যবহার হচ্ছে। এলাকার মানুষের সুপেয় পানির চাহিদা মেটাতে তৎকালীন পাকিস্তান শাসনামলে নির্মাণ করেন মরহুম ছমিরউদ্দিন শাহ্। এখনো এই ইঁদারা বা ইন্দারার পানি বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
স্থানীয় তোজাম্মেল হোসেন (৬০)বলেন, বোধগম্য হওয়ার পর থেকেই আমি এ ইঁদারাটি দেখে আসছি। এর গভীরতা অনেক। এর পানি বেশ ঠান্ডা ও স্বচ্ছ। এক সময় এলাকার সবাই এ ইঁদারার পানি পান করতাম। এ ইঁদারার পানি সহজেই পাওয়া যায়। আগে পানির স্তর ভূগর্ভের নিচে নেমে গেলে এ ইঁদারার ওপরই নির্ভর করতে হতো।
মহচনা বেগম (৫৫) জানান, এ এলাকায় বিয়ে হওয়ার পর থেকেই আমি ইঁদারাটি দেখে আসছি। আগে এর পানি সকলেই খাইতাম। এখন আর খাই (পান করি) না। ছেলেদের বাড়িতে টিবল-মর্টার (টিউবওয়েল) আছে সেগুলা দিয়া পানি উঠিয়া (তুলে) খাই।
ফুলমতি বেগম (৩৭) ও হাফেজা বেগম (৩৫)জানান, এই ইঁন্দিরার পানি সারাবছরই ব্যবহার করা যায়।এ পানি দিয়ে অনেকেই ওযু ছাড়াও অনেকে পরিবারের কাপড়-বিছানাপত্র, থালা-বাসন ধোঁয়াসহ গোসল করেন।
মমিনুল ইসলাম (৩৬) বলেন, আমাদের অভ্যাস হয়ে গেছে। ইঁদারা থেকে পানি তুলতে কোনো কষ্ট হয় না। প্রতিদিন আমরা এর পানি দিয়ে গাঁও (গোসল) ও ধাত-মুখ ধুই। বাপ-দাদার আমল থেকে আমরা এভাবে দড়ি-বালতি দিয়া পানি তুলি।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

হরিপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন সভাপতি কবির, সাধারণ সম্পাদক মিজান

কাহারোলে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত

দিনাজপুরে ফিজিয়িান স্যাম্পল ও মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রি করায় দুটি ফামের্সিকে জরিমানা

ঠাকুরগাঁওয়ে আবার বন্ধ রেশম কারখানা

জেলা আইনজীবী সমিতি আয়োজিত নবীন আইনজীবীগণের ৩য় দিন ও সমাপনী ওরিয়েন্টেশন

ঠাকুরগাঁওয়ে গরমের তীব্রতা বৃদ্ধিতে বেড়েছে তালশাঁসের বিক্রি

কিডনি রোগে আক্রান্ত পত্রিকা বিক্রেতা ইদ্রিস আলী বাঁচতে চায়

বগুড়া জেলা সমিতির দিনাজপুরের ইফতার ও দোয়া মাহফিল

ঠাকুরগাঁওয়ে নির্বাচনি প্রতীক বরাদ্দ !

বীরগঞ্জে স¤প্রীতি মানব কল্যাণ সংস্থা উদ্যোগে শীত বস্ত্র বিতরণ