Thursday , 25 April 2024 | [bangla_date]

প্রচন্ড গরমে বিভিন্ন হাসপাতালে রোগী বাড়ছে

দিনাজপুররের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ। প্রচন্ড অসহনীয় গরমে মানুষের নাভিশ্যাস হয়ে উঠছে।রোদের তীব্রতায় বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া ও কর্মজীবি মানুষ। এরপরেও বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় চলছে লোডশেডিং। এঅঞ্চলে তাপমাত্রা ৩৫-৪০ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। এই গরমের কারণে ডায়রিয়া, পেটের পীড়া,জ্বর-কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, পানিশূন্যতা রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এতে বয়স্ক ও শিশুরা বেশী আক্রান্ত হচ্ছে।
এই গরমে ক্লান্তি দুর করে একটু স্বস্থি পেতে ভীড় করছে বিভিন্ন স্থানে আখের রস , পানীয় দ্রব্য, লেবুর শরবত, বেল, তরমুজ, ডাব এর দোকানে।
এদিকে দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.তোফাজ্জল হোসেন জানান, বুধবার দুপুর ৩টায় দিনাজপুরে ৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের আদ্রতা ১৮শতাংশ এবং বাতাসেন গড় গতিবেগ ৮কিলোমিটার। এ অবস্থা থাকবে আরও কিছুদিন।
বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখা যায়, ফাঁকা নেই অনেক হাসপাতালের বেড। জরুরি বিভাগ এবং বহির্বিভাগে রোগীর চাপ। সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। রোগীর চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালে নির্ধারিত বেড ছাড়াও মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছে অনেকে। বিকালের পর থেকে অনেক হাসপাতালের মেঝে রোগী ভরে যায়। আবার সকালে রোগী সেবা নিয়ে চলে যায়। এসব রোগী তাপদাহে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছে। ঘোড়াঘাট, খানসামা, ফুলবাড়ী, বোচাগঞ্জসহ কয়েক হাসপাতালে বেড সংকুলান না হওয়ায় মেঝেতে রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বুধবার দুপুরে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে বিভিন্ন রোগে চিকিৎসা নিচ্ছে এখন প্রতিদিনই ৪৫০-৫০০জন রোগী। জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়েছে ৫০-৬৫জন। বুধবার দুপুর পর্যন্ত ভর্তি রোগী রয়েছে ৪২জন, এর মধ্যে ডায়রিয়ায় ভর্তি রয়েছে ৮জন রোগী।
খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা.মোঃ শামসুদ্দোহা মুকুল জানান,স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরীবিভাগে বিভিন্ন রোগে চিকিৎসা নিয়েছে ১৩২জন, আন্তঃবিভাগে রোগী ১০৩জন এবং ডয়রিয়ায় ভর্তি আছেন ১২জন। বেড সংকুলান না হওয়ায় মেঝেতে অনেক রোগী রয়েছে।
ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মশিউর রহমান জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে এখন প্রতিদিনই ৫০০-৫৫০জন রোগী। জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়েছে ৬০-৬৫জন। ভর্তি রোগী রয়েছে ৮৫জন, এর মধ্যে ডায়রিয়ায় ভর্তি রয়েছে ১৪জন রোগী। অনেক রোগীকে মেঝেতে থাকতে হচ্ছে।
বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. আফরোজ সুলতানা জানান, গরমে রোগীর সংখ্যা বাড়লেও এখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। গড়ে প্রতিদিন ১০-১২জন ডায়রিয়াসহ গরমজনিত রোগী আসছে এবং সেবা নিচ্ছে।
ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. শাহ মুহাম্মদ শরীফ জানান, গরমের কারণে হাসপাতালে ভর্তি রোগী বাড়ছে এমন কোন তথ্য আমাদের কাছে নেই। এই সময় ডায়রিয়া ও সিজনাল ফ্লু বা অন্যান্য কারনে দূটি উপজেলায় রোগী ভর্তির একটা উর্ধ্বগামী ট্রেন্ড দেখা যায়। এর সাথে গরমের সর্বাংশে সম্পর্ক রয়েছে এমন উপসংহার টানা যায় না।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

পীরগঞ্জে গ্রাম আদালত শক্তিশালী করণ বিষয়ক মতবিনিময় সভা

ঠাকুরগাঁওয়ে মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা ও প্রতিযোগিতা

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীর চৌরঙ্গীতে ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল

ঠাকুরগাঁওয়ে ভূমিদস্যু ইউপি সদস্যের শাস্তির দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

বীরগঞ্জে কুমোরপুর বাঁশতলী কালি মন্দিরের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন

রাণীশংকলৈে ঝড়ে ক্ষতগ্রিস্থদরে মাঝে নগদ র্অথ বতিরণ

বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে রাণীশংকৈলে পদবঞ্চিত আ’লীগ নেতাদের আনন্দ মিছিল

ঘোড়াঘাটে ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ ২ জন গ্রে-ফতার

রাণীশংকৈল সীমান্তে ঘাস কাটতে গিয়ে বিজিবি’র হাতে আটক-১

গণকবর সংরক্ষণের উদ্যোগসহ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত