দিনাজপুরের আলোচিত ধর্ষণ ও হত্যার শিকার কিশোরী ইয়াসমিনের মা শরিফা বেগম মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে ৭২বছর বয়সে তিনি মারা যান।
দিনাজপুর শহরের গোলাপবাগ লেবুরমোড় এলাকায় দ্বিতীয় স্বামী মো. ডাবলু রহমান, সন্তান সোহানসহ বসবাস করতেন কিশোরী ইয়াসমিনের মা শরিফা বেগম।
মো. ডাবলু রহমান জানান, শুক্রবার সকাল থেকে কয়েকবার পাতলা পায়খানা ও বমি হয়েছে। দুপুরে ওষুধ আনার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন স্ত্রী শরিফা বেগম।
এদিকে লাশ গোসল করানোর পরও মাথা দিয়ে রক্ত পড়ায় এলাকাবাসীর মনে সন্দেহ জাগে। শরিফা বেগমের লাশ গোসল করানোর কাজে অংশ নেয়া হামিদা বেগম জানান, তার মাথার পেছন দিক দিয়ে আঘাতজনিত কারণে রক্তক্ষরণ হচ্ছিলো। অনেক চেষ্টা করেও তা বন্ধ করা সম্ভব হয়নি।
হামিদা বলেন, মরহুম শরিফার স্বামী তাকে জানান- বাথরুমে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়েছে, তাই রক্তক্ষরণ হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালের ২৪ আগস্ট ঢাকা থেকে দিনাজপুরে মায়ের কাছে আসার পথে কয়েকজন পুলিশ সদস্যের দ্বারা ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয় কিশোরী ইয়াসমিন।এই ঘটনায় বিক্ষোভে ফেটে পড়ে দিনাজপুরবাসী। বিক্ষোভের এক পর্যায়ের ২৭ আগস্ট পুলিশের গুলিতে কাদের, সামু, সিরাজসহ ৭জন নিহত হয়। বিষয়টি সারা দেশে আলোচিত হয়। পরবর্তীতে কিশোরী ইয়াসমিন ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দিনাজপুর কোতোয়ালি পুলিশের তৎকালীন এএসআই ময়নুল ইসলাম, কনস্টেবল আব্দুস সাত্তার ও চালক অমৃত লালের ফাঁসি কার্যকর হয়।
১৯৯৫সালের কিশোরী ইয়াসমিন ধর্ষণ ও হত্যা ঘটনার পর থেকে প্রতিবছর ২৪ আগস্ট সারা দেশে ‘নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে বিভিন্ন নারী সংগঠন।