অজ্ঞাত কারনে ছিনতাই ঘটনার দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও দিনাজপুর পার্বতীপুর মডেল থানা কর্তৃপক্ষ অভিযোগটি এজাহার হিসেবে রুজ্জু করছেনা। ফলে বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে আসামীরা ও অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য অভিযুক্ত অপরাধিরা মামলার বাদিকে প্রকাশ্যে নানান ধরনের হুমকি ধমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।
সোমবার সকালে দিনাজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপরোক্ত অভিযোগ করে প্রশাসনের কাছে ছিনতাই হওয়া ২ লাখ ৫৫ হাজার ১৬০ টাকা উদ্ধারসহ ন্যায় বিচার প্্রার্থনা করেন পার্বতীপুর উপজেলার হাবড়া ইউনিয়ানের দক্ষিণ মরণাই (তালপাড়া) গ্রামের মৃত: ওসমান মন্ডলের পুত্র মো: মেহেদুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে দাবী করা হয় গত ১৪ জুন সন্ধ্যা ৭টার দিকে আমবাড়ি হাট থেকে গরু বিক্রির ২ লাখ ৫৫হাজার ১৬০টাকাসহ নিজ বাড়ি যাওয়ার পথে শেয়ালকোট বাজারের কাজী মার্কেটের সামনে র্পূব থেকে ওতপেতে থাকা ছিনতাকারী মো: গোলাম রাব্বানী,মো: আব্দুর রাজ্জাক, মো: আনোয়ার হোসেন,মো: দেলোয়ার হোসেন, মো: সানোয়ার হোসেন সজিব, মো: রাকিব, হৃদয় ও সোহাগ দেশীও অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সম্মিলিতভাবে আমাদের উপর আক্রমন চালায় ্এবং নির্দয়ভাবে পিটিয়ে গুরুত্বতর আহত করে। হামলাকারীদের নির্বিচার এলাপাতারী পিটুনীতে আমাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা স্থান ত্যাগ করে। তবে তারা যাওয়ার সময় আমাদের নিকট থাকা উল্লেখিত পরিমান টাকা জোরপূর্বক কেড়ে নিয়ে যায়। স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার ফুলবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেয়।
চিকিৎসা শেষে এব্যাপারে পার্বতীপুর মডেল থানা ছিনতাইকারীদের নাম উল্লেখসহ এজাহার করলে পুলিশ তদন্ত করলেও এখানো পর্যন্ত মামলা রুজ্জু কিংবা আসামী গ্রেফতার করেনি। আমরা মনে করছি পুলিশের সাথে আসামীদের যোগসুত্র রয়েছে, যে কারণে তারা মামলাটি গ্রহন করতে তালবাহানা ও গড়িমসি করছে ! আমরা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে ছিনতাই হওয়া টাকা উদ্ধার, অপরাধিদের গ্রেফাতার এবং কঠোর শাস্তির দাবী করছি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মো: আব্দুল হাই। সংবাদ সম্মেলনে মেহেদুলের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মো: হায়দার আলী।

















