বিকাশ ঘোষ, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বীরগঞ্জে পানির অভাবে কৃষক-কৃষাণীরা জমিতে রোপা আমনের চারা রোপন করতে পারছেন না। বর্ষাকালেও বৃষ্টির জন্য কৃষকদের মধ্যে হাহাকার চলছে। নির্ধারিত সময়ে আমন চাষে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা। আষাঢ়-শ্রাবণ মাস বর্ষাকাল। অথচ আষাঢ় পেরিয়ে শ্রাবণ মাসে বর্ষার ভরা মৌসুমেও বৃষ্টির দেখা নেই। তবে কখনও কখনও আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে যায়। কিন্তু হতাশার কালো মেঘে নেই কোন কান্নার ঢেউ। আবহাওয়ার এই বৈরীতার মাঝে বৃষ্টির অপেক্ষায় প্রহর গুনছে আমন চাষীরা। কাঙ্খিত বৃষ্টির অভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে তাদের আমন ধানের চারা রোপন। প্রকৃতির বৈরী আচরণে শ্যালো মেশিন এখন তাদের একমাত্র ভরসা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় মোট আবাদি জমির পরিমান ৩২ হাজার হেক্টর। এরমধ্যে ২৯ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষকদের
ফসলের রোগবালাই নানা বিষয়ে পরামর্শ দিতে কৃষি বিভাগের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। উপজেলায় আমন চাষের জন্য প্রয়োজনের তুলনায় তেমন বৃষ্টিপাত হয়নি। কিন্তু জুলাই মাসে এই উপজেলায় বৃষ্টিপাতের পরিমান মাত্র ২৫০ মিলি মিটার। আর এই বৈরী আবাহওয়ার কারণে বর্ষার ভরা মৌসুমে কাঙ্খিত বৃষ্টির অভাবে বিপাকে পড়েছে উপজেলার কৃষক-কৃষাণীরা। কোন উপায় না দেখে শ্যালো মেশিন বসিয়ে পানি সেচের মাধ্যমে বেশির ভাগ জমিতে আমনের চারা রোপণের কাজ শুর করেছে কৃষকেরা। এব্যাপারে সুজালপুর ইউনিয়নের বোয়ালমারী গ্রামের সতীশ চন্দ্র রায় আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, বৃষ্টি অভাবে আমন চারা রোপণ করতে পারছি না। কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি না হওয়ার কারণে জমিতে চারা রোপন করা সম্ভব হচ্ছে না। অন্যের শ্যালো মেশিন ভাড়া করে নিয়ে এসে পানি সেচ দিয়ে চারা রোপন করতে হয়েছে। এতে করে ধান বীজ, শ্রমিক এবং শ্যালো ভাড়া মিলে খরচ বেড়ে গেছে।















