Wednesday , 27 November 2024 | [bangla_date]

আলুবীজ-সারের কৃত্রিম সংকটে খরচ দ্বিগুণ, বিপাকে কৃষক

খানসামা প্রতিনিধি \বীজ, সার ও কীটনাশকের মূল্য বৃদ্ধি এবং পরিচর্যায় খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পেয়ে দ্বিগুণ হওয়ার আশঙ্কায় বিপাকে কৃষকরা। এতে লাভ নিয়ে দুশ্চিন্তায় কিষাণ-কৃষাণিরা। এবছর দ্বিগুণ দাম দিয়ে আলুবীজ ক্রয় করছে কৃষক। তারপরেও খানসামায় আলু রোপণ ও ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কিষাণ-কৃষাণি ও শ্রমিকরা। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ফসল নিয়ে লাভের স্বপ্ন বুনছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা।
ভাদ্র, আশ্বিন ও কার্তিক মাসে আগাম আউশ, আমন ধান কাটা-মাড়াই শেষে এখন সেই জমি প্রস্তুত করে আলু রোপণ করছেন। হিমাগার ও দোকান থেকে বীজ সংগ্রহ, জমি প্রস্তুত, সার প্রয়োগসহ বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত কৃষকেরা। খানসামার বালাপাড়া, ছাতিয়ানগড়, পাকেরহাটে দেখা যায়, জমি প্রস্তুত শেষে শ্রমিকেরা বিভিন্ন জাতের আলু রোপণ করছেন। আবার কোথাও জমিতে আগাম জাতের আলুর চারা গজিয়ে ওঠায় কৃষক-শ্রমিক সেচ, আগাছা পরিষ্কার, সার ও কীটনাশক স্প্রে করছেন। এসব কাজে পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও ব্যস্ত সময় পার করছেন। অন্যান্য ফসলের তুলনায় আলুচাষে সময় কম লাগে এবং লাভ বেশি হয়। মাত্র ৫৫-৬০ দিনের মধ্যে আলু উত্তোলন করে ভূট্টা, সরিষাসহ অন্যান্য ফসল চাষ করবেন বলে জানান স্থানীয় কৃষকেরা।
রফিকুলসহ কয়েকজন কৃষক জানান, চলতি রবি মৌসুমে শীতকালীন শাকসবজি, ভুট্টা, আলু, গম, সরিষা ও বোরো আবাদে সারের কৃত্রিম সংকটে দাম বেশি নিচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এবছর আলুর বীজের দাম প্রায় দ্বিগুণ। প্রতি কেজিতে ৩০-৫৫টাকা পর্যন্ত দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে প্রতিকেজি সেভেন জাতের আলু ১০০-১১০টাকা, দেশি ৯০টাকা, সার্পোমিরা ১২০টাকা, সানসাইন ৮৫টাকা, এস্টোরিক্স (কার্ডিনাল) ১১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
পাকেরহাটের আলুবীজ ব্যবসায়ী মো.আইনউদ্দিন জানান, আলু চাষে চাষিদের আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে। সে তুলনায় আলুবীজের জোগান অপ্রতুল্য। পাইকারি বাজারে পণ্য সংকট বলে এবার বীজের দাম তুলনামূলক বেশি।
বালাপাড়া গ্রামের কৃষক লিটন ইসলাম জানান, এবছর আলুবীজের দাম ও উৎপাদন খরচ অনেক বেশি। বিঘাপ্রতি অন্তত ৯-১০মণ আলুবীজ লাগে। এবছর প্রতিকেজি এস্টারিক্স (কার্ডিনাল) জাতের আলু ১১৫টাকা দরে ক্রয় করেছি। যা গত বছর ছিল প্রতিকেজি ৬৫ টাকা।
ওই এলাকার আরেক কৃষক সাবির হোসেন জানান, আলু চাষে ভালোই লাভ হয়। কিন্তু আলুবীজ ও উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত বছরের তুলনায় এবার বিঘাপ্রতি ৩০-৪০ হাজার টাকা বেড়েছে। এতে লাভের পরিমাণ কমে যাবে। তবে আবহাওয়া ও বাজারদর যদি ভালো পাওয়া যায় তাহলে আলু চাষে লাভের আশা করছি।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি মৌসুমে খানসামার ৬টি ইউনিয়নে ১ হাজার ৯৫৮ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আলু রোপণ করা হয়েছে।বর্তমানে দেশি, গ্রানুলা, সেভেন, সানসাইন, কুইন এ্যানি, এস্টোরিক্স, সার্পোমিরা, ক্যারেজ জাতের আলু রোপণ হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবারও আলু চাষে লাভবান হবেন চাষিরা আশা উপজেলা কৃষি বিভাগের।
খানসামা উপজেলা কৃষি অফিসার ইয়াসমিন আক্তার জানান, সারাবছরে বাজারে আলুর দাম বেশি থাকায় এবার আলু চাষে কৃষকের আগ্রহ বেশি। আলুর ভালো উৎপাদন ধরে রাখতে কৃষি বিভাগ মাঠে কাজ করছে।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

বীরগঞ্জে প্রাণিস্বাস্থ্য কর্মীদের মাঝে কিটবক্স ও সনদপত্র বিতরণ

ঠাকুরগাঁও জেলার শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক হরিপুরের ফয়েজ

বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন দিনাজপুর জেলা শাখার শিক্ষক সমাবেশ

কুমিল্লায় নিজ কার্যালয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে কাউন্সিলরসহ নিহত ২

পীরগঞ্জে বৃদ্ধার আত্মহত্যা

পীরগঞ্জে বৃদ্ধার আত্মহত্যা

ঠাকুরগাঁওয়ে ৭ দিন ব্যাপী সাঁতার প্রশিক্ষণ উদ্বোধন

হরিপুরে অক্সিজেনের উদ্দ্যোগে বাড়ি বাড়ি ফ্রী করোনা ভ্যাক্সিন রেজিষ্ট্রেশন

শিক্ষার্থীদের আদর্শবান ও আলোকিত মানুষ হতে হবে -মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি

সার সংকট হলে প্রয়োজনে ডিসি অফিস ঘেরাও করবেন- নিজ নির্বাচনী এলাকায় ফখরুল

পঞ্চগড়ে তিনটি মামলা দায়ের বিএনপি-জামায়াতের ১৫শত নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার ২৬জন