বোচাগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি।দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে সমতলে চা বাগান করে সাবলম্বি হয়েছেন ফজলে মুকিম। সখ ও বাণিজ্যিকভাবে সমতেল চা বাগান করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি।
দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার খনগাঁও গ্রামের ফজলে মুকিম পেশায় একজন সহকারি অধ্যাপক হলেও কৃষিকাজে তিনি বেশ মনোযোগী। ধান, গম, ভুট্রার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বাগান করা তার শখ। ২০১৯ সালে পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়ায় বন্ধুর চা বাগান দেখে উদ্বুদ্ধ হয়েই নিজ গ্রাম খনগাঁওয়ে তিন একর সমতল জমিতে চায়ের বাগান করার উদ্যোগ গ্রহন করেন। প্রথমে অনেকেই তার চা বাগান করার সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে না দেখলেও পরবর্তীতে মেধা ও শ্রমের কারনে ২০২০ সাল থেকেই চা পাতা বিক্রি শুরু করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় সকলের নজরে আসেন তিনি। বছরে ৪/৫ বার চা পাতা তুলে তা বিক্রি করা হয়। এঞ্চলের সমতল ভুমিতে ঝুঁকি নিয়ে চা বাগান করার চিন্তাকে তিনি একটি ব্যতিক্রমি উদ্যোগ বলে মনে করেন।
বন্ধুর চা বাগান দেখে অনুপ্রানিত হয়েই তার অদম্য ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে গত ৫ বছর ধরে চা বাগান থেকে উৎপাদিত চা বাজারজাত করছেন। বর্তমানে তার বাগানে প্রতিদিন ১০/১৫ জন শ্রমিক বাগান পরিচর্চায় ব্যক্ত থাকেন। এই অঞ্চলে চায়ের বাগানের কথা শুনে অনেক উৎসুক মানুষ প্রতিদিন তার চা বাগান দেখতে আসছেন। অনেকেই চা বাগান করার ইচ্ছা পোষন করে তার কাছ থেকে পরামর্শও নেন।
বোচাগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে ৭ কিঃ মিঃ দক্ষিনে সেতাবগঞ্জ-সুকদেরপুর পাকা সড়কের পাশে খনগাঁও গ্রামে বিস্তৃর্ন মাঠ জুড়ে রয়েছে ফজলে মুকিমের চা বাগান।
বাগান মালিক জানান, বাণিজ্যিক ও সখের বশতই চা বাগান করা। অনেকেই তার কাছে আসেন পরামর্শ নেন চা বাগান করার বিষয়ে। তবে তার মতে চা পাতা বাজারজাত করার সময় চা কোম্পানি গুলো যদি চা বাগানের মালিকদের কাছ থেকে সঠিক মুল্য দিয়ে ক্রয় করতেন তাহলে তারা আরো আর্থিকভাবে লাভবন হতেন। চা পাতা বাজারজাত করার সময় তাদের বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়। এজন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন।