Wednesday , 11 December 2024 | [bangla_date]

কাহারোলে বাঁশ শিল্পের বাজার ধস, আজ প্লাস্টিক সামগ্রীর কারণে

কাহারোল (দিনাজপুর) প্রতিনিধি ঃ দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় দেশের অন্য স্থানের ন্যায় প্লাস্টিক সামগ্রী সহজলভ্য ও প্রয়োজনীয় পুঁজির অভাব বাঁশ শিল্পের সাথে জড়িত শ্রমিকের মজুরী সহ উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি এবং উৎপাদিত মূল্যের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় বাঁশ শিল্পের বাজার আজ ধ্বংসের মুখে পড়েছে। প্লাস্টিকের এসব জিনিস পত্রের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে টিকতে না পেরে মুখ থুবরে পড়েছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য এই কুটির শিল্পটি। ফলে এই শিল্পের উপর নির্ভরশীল অনেকেই বেকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। জানা যায়, এক সময়ে আবহমান গ্রাম বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্য ছিল বাঁশ শিল্প। আর এই শিল্পকে কেন্দ্র করে কাহারোল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠে কুটির শিল্প। এই শিল্পের সাথে এখনও জড়িত রয়েছে উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ জন। উপজেলার রামচন্দ্রপুর, উচিৎপুর, মহেশপুর,ভবানীপুর,ভেলয়া সহ বিভিন্ন গ্রামের দাস সম্প্রদায়ের লোকেরা পূর্ব কাল থেকে আজ পযর্ন্ত এ পেশায় সাথে জড়িত রয়েছে নিবিড় ভাবে। এক সময়ে ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দাস সম্প্রদায়ের লোকজন রাস্তার ধারে ও বাড়ির আঙ্গিনায় বসে বাঁশের চট দিয়ে চাটাই, কুলা, ডালা, চাংগারী, ডালী, টোপা, মাছ ধরার খোলসানী, মোড়া, মুরগীর খাঁচা ও বিভিন্ন জিনিস পত্র তৈরীর কাজ করত। পুরুষের পাশা-পাশি নারীরাও রান্নাবান্নার কাজ শেষে এসব জিনিস তৈরীর কাজে পুরুষদের সহযোগিতা করে আসছে। বাঁশের তৈরী এই সব জিনিস পত্র গ্রাম গুলোতে ফেরী করে এবং এলাকার হাট-বাজারে বেচা-বিক্রি করে তারা জীবিকা নির্বাহ করত এবং কি বিভিন্ন মেলায় এসকল সামগ্রী পড়সা সাজিয়েও বিক্রি করা হত। এলাকাবাসীর চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ করা হত পার্শ্ববর্তী উপজেলা ও জেলা শহর গুলোতে। উপজেলার ডাবোর ইউনিয়নের শংকরপুর গ্রামের ফলিন বৈষ্য মিঠুন দাশ,স্বপ্না রানী বৈষ্য সহ অনেকেই এ প্রতিনিধিকে জানান, এক সময় গ্রামগঞ্জের ঘরে ঘরে বাঁশের তৈরী এসব সামগ্রী খুব কদর ছিল। বর্তমানে সময়ে সেই স্থান গুলো দখল করে নিয়েছে প্লাস্টিকের তৈরী সস্তা দরের রং বে-রঙ্গের নানা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সমূহ। এখন বাজারে বাঁশের দাম ও মজুরী বেশি হওয়ার কারণে বাঁশের তৈরী জিনিস পত্র তেমন আর বিক্রি হয় না। তবে এখনও অনেকেই পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত এই পেশা বা ব্যবসাকে আকঁড়ে ধরে রেখেছেন। এখনও এক শ্রেনির সৌখিন মানুষ আছে যারা আজও তাদের এসব জিনিসপত্র ক্রয় করতে চায় কিন্তু দাম বেশি হওয়ার ফলে অনেকেই পিছিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে । রামচন্দ্রপুর গ্রামের ক্ষীর মোহন দাস বলেন, এই শিল্পকে ৫০ বছর ধরে পার করেছি। এখনও রোজ সকালে বাঁশের তৈরী নানা ধরনের সামগ্রী তৈরী করে কাঁধে ঝুঁলিয়ে গ্রাম থেকে গ্রাম পর্যন্ত ঘুরে হাক-ডাক দিয়ে ফেরী করে বেড়াই। বর্তমানে বাঁশের দাম বেড়ে যাওয়ায় আগের মত এ কাজে তেমন একটা ভালো লাভ পাওয়া যায় না। বয়স হয়েছে অন্য কাজ করতে পারি না, তাই এ কাজই ধরে আছি পূর্বে থেকেই এখন পর্যন্ত। এলাকায় বাঁশ ঝাঁড় কেটে ফসলি জমি তৈরী করায় দিন দিন বাঁশ ঝাঁড় কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে দ্বিগুন হারে। এক সময় প্রতিটি বাড়িতে বাঁশের তৈরী এসব জিনিস পত্রের ব্যবহার ছিল পর্যাপ্ত এখন তা চোখে পড়ছে না সেই সব জিনিস পত্র। হাট-বাজার গুলোতে বিক্রিও হত প্রচুর পরিমানে। এই পেশাকে টিকিয়ে রাখতে কুটির শিল্পের লোকজনেরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাই সংশ্লিষ্টরা মনে করেন,আবহমান গ্রাম বাংলার হাজার বছরের বাঁশ শিল্পের এই ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে বাঁশ উৎপাদনে জনগণকে উৎসাহিত করতে সরকারের পৃষ্ঠপোশকতা জরুরী প্রয়োজন হয়ে দাড়িয়েছে।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

জেলা অ্যাম্বাসেডর হলেন সহকারী শিক্ষিকা হিরামনি

পীরগঞ্জে সাওতাল বিদ্রোহ দিবস উপলক্ষ্যে র‌্যালী ও আলোচনা সভা

বীরগঞ্জে ‘আমাদের ক্লিনিক’ নামীয় প্রতিষ্ঠান কে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা

বীরগঞ্জে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায়ী সংবর্ধনা

ঠাকুরগাঁওয়ে নগর সমন্বয় কমিটির সভা

বোচাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নার্স ও উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা

খানসামার প্রতিবন্ধী জাহানুরকে এইড আ্যপিল অস্ট্রেলিয়ার দোকান উপহার

পীরগঞ্জে বঙ্গবন্ধু’র জন্মশত বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন

আপনাদের নিয়ে সুন্দর পরিচ্ছন্ন ও নন্দিত পৌরসভা গঠন করবো ————দায়িত্বভার গ্রহণের সময় রাণীশংকৈলে মেয়র মোস্তাক

মাইকের উচ্চ শব্দে অতিষ্ঠ বীরগঞ্জ পৌরবাসী