Monday , 24 February 2025 | [bangla_date]

বোচাগঞ্জ উপজেলায় বিলুপ্তির পথে শিমুল গাছ

‎বোচাগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃএকসময় রক্তলাল শিমুল ফুলের ছড়াছড়ি ছিলো বোচাগঞ্জ উপজেলা তথা পুরো বাংলাদেশেই। শীতের বিদায়লগ্নে শিমুল ফুলের পাঁপড়িতে রঙিন হয়ে উঠতো প্রকৃতি। জানান দিতো ঋতুরাজ বসন্তের আগমনের কথা।
গ্রাম বাংলার সে রূপটি যেনো ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতি থেকে। এখন দেশে অনেক ফুলের দেখা মিললেও চোখে পড়েনা সেই চোখ ধাঁধানো গাঢ় লাল রঙের শিমুল ফুল। বছর দশেক আগেও জেলার প্রত্যন্ত গ্রামের অধিকাংশ বাড়ির আনাচে কানাচে বা রাস্তার পাশে শিমুল গাছ দেখা যেতো। কিন্তু এখন তেমন একটা চোখে পড়ে না। কেটে ফেলা আর বীজ বপন না করায় শিমুল গাছের অস্তিত্বই এখন হুমকির মুখে। ব্যাপক হারে কমে গেছে এ গাছটি। বর্তমানে মানুষ এ গাছকে তুচ্ছ মনে করে কারণে-অকারণে কেটে ফেলছে। হয়তো বা আগামি ১০ বছরে নতুন প্রজন্ম গাছটিকে বাস্তবে একেবারেই হারাবে।
শিমুল গাছ উজাড় হওয়ার ফলে পরিবেশের উপরে পড়েছে নেতিবাচক প্রভাব। এ গাছ অনেক উঁচু হওয়ায় কাক, কোকিল, চিল, বকসহ বিভিন্ন ধরনের পাখি বাসা বেঁধে বসবাস করতো। এ গাছ উজাড় হওয়ার ফলে এসব পাখিরা আবাসস্থল হারিয়ে পড়েছে অস্তিত্ব সংকটে। গাছ না থাকায় আবাসস্থলের অভাবে ধীরে ধীরে এসব পাখিরাও হারিয়ে যাচ্ছে।
শীতের শেষে পাতা ঝরে পড়ে। বসন্তের শুরুতেই গাছে ফুল ফোটে। আর এ ফুল থেকেই হয় ফল। চৈত্র মাসের শেষের দিকে ফল পুষ্ট হয়। বৈশাখ মাসের দিকে ফলগুলো পেকে শুকিয়ে গিয়ে বাতাসে আপনা আপনিই ফল ফেটে প্রাকৃতিকভাবে তুলার সাথে উড়ে উড়ে দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে পড়া বীজ থেকেই এর জন্ম হয়। অন্যান্য গাছের মত এ গাছ কেউ শখ করে লাগায় না। নেওয়া হয়না কোন যতœ। অযতœ আর অনাদরে প্রাকৃতিকভাবেই গাছ বেড়ে ওঠে।
শিমুল গাছের রয়েছে নানা উপকারিতা ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব। প্রাকৃতিক ভাবে তুলা আহরণের অন্যতম অবলম্বন শিমুল গাছ। এ গাছের সব অংশেরই রয়েছে ভেষজগুণ। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা এখনো নানা রোগের চিকিৎসায় এ গাছের বিভিন্ন অংশ ব্যবহার করে।
বীজ ও কান্ডের মাধ্যমে এর বংশবিস্তার হয়। রোপণের ৫-৬ বছরের মধ্যে শিমুল গাছে ফুল ফোটে। ৬০ থেকে ৮০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। সেই তুলনায় বেশ মোটাও হয়। নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করে শিমুল গাছ একশত বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে।
উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে এবং বিভিন্ন লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানাযায় এক সময় এ উপজেলায় ব্যাপক হারে শিমুলগাছ দেখা যেতো। কিন্তু এখন আর তেমন একটা দেখা যায় না। অপরিকল্পিত ভাবে কেটে ফেলার কারণে শিমুল গাছের অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে। বসন্তের আগমনকে মনে করিয়ে দিত শিমুল গাছ। শিমুল গাছের ডালে ডালে লাল ফুল যেন প্রকৃতিকে সাজিয়ে তুলতো। কিন্তু শিমুল গাছ কেটে ফেলার কারণে প্রকৃতি যেনো তার রূপ হারিয়ে ফেলছে। প্রকৃতির সৌন্দর্য্যে যেন ভাটা পড়ছে। প্রকৃতিকে সাজিয়ে তুললে ব্যাপকভাবে আমাদের শিমুল গাছের চারা রোপণ করা উচিত।
বোচাগঞ্জ উপজেলা উপজেলার বন বিভাগের কর্মকর্তা নিরাঞ্জন রায় বলেন, শিমুল এমন একটি গাছ যা সাধারণ মানুষের কাছে চিত্তাকর্ষক রং-এর প্রতিক। শিমুল গাছে যখন ফুল ফোটে তখন চারদিক লালরঙে ছেয়ে যায়। শিমুল একটি ঔষধি বৃক্ষ। বিভিন্ন রোগে শিমুলের মূল ব্যবহার হয়ে থাকে।
তিনি বলেন, শিমুলের গাছ আপনা আপনি জন্ম নেয়। কিন্তু জায়গার প্রয়োজনে শিমুল গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। শিমুল গাছ না রোপণের ফলে আমরা বসন্তের সুষমা হারাচ্ছি। শিমুল গাছ রোপণ করা প্রয়োজন। এতে পরিবেশ বিশুদ্ধ হবে। প্রাকৃতিকভাবে আমরা শিমুল গাছ থেকে তুলা পেয়ে থাকি। কিন্তু গাছ না থাকার কারণে আমরা কৃত্রিম তুলা ব্যবহার করে থাকি। প্রকৃতিকে বাঁচাতে সকলের শিমুল গাছ রোপণ করা উচিত। এতে প্রকৃতির সৌন্দর্য্য বাঁচবে।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

বীরগঞ্জে মাতাল স্বামীর অত্যাচার সইতে না পেরে গৃহবধূর আত্নহত্যা

দিনাজপুরের হাসপাতালে বেড়েছে ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টের রোগী

বোচাগঞ্জ বে-সরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক মালিক সমিতির কমিটি গঠন মঞ্জুর হাবির তুষার সভাপতি শামিম সম্পাদক নির্বাচিত

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর উন্নয়নে সরকার কাজ করছে -মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি

পীরগঞ্জে পর্নোগ্রাফি সহ ওয়ারেন্টের ৮ আসামী গ্রেফতার

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালন উপলক্ষে দিনাজপুর ডায়াবেটিক এসোসিয়েশনের সংবাদ সম্মেলন, র‌্যালী ও আলোচনা সভা

ডায়ালাইসিস উপকরণ নেই দিনাজপুর মেডিকেলে, সর্বস্বান্ত কিডনি রোগীরা

ঠাকুরগাঁওয়ে কৃষকলীগের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল

পীরগঞ্জে গাঁজা সেবন করে মাতলামি করার অপরাধে যুবকের কারাদন্ড

দিনাজপুরে বিভাগীয় লেখক পরিষদের সাহিত্য সভায় কবি ও নাট্য কর্মীকে সংবর্ধনা প্রদান ও পাতা সাহিত্য বইয়ের মোড়ক উন্মোচন