Monday , 31 March 2025 | [bangla_date]

ঝিঁনুক কুড়িয়ে জীবিকা নির্বাহ

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি\এক দল নারী পুরুষ নদীর পানিতে নেমে কেউ ডুব দিচ্ছেন, কেউ আবার মাথা উচু করে পানিতে দুইহাত দিয়ে কি যেন খুঁজে চলেছেন। মাঝে মধ্যে শীতে কাঁপতে কাঁপতে ওপর উঠে রোদে গাঁ শুকিয়ে আবারও পানিতে নামছেন ।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার খয়েরবাড়ী ইউনিয়নে ছোট যমুনা নদীর পাশ দিয়ে যেতে এমন দৃশ্যের দেখা মেলে। কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করতেই জানাযায়, নদীতে ঝিনুক খুঁজছেন তারা। এখন নদীর পানি কমে গেছে অল্প পানিতে প্রচুর ঝিঁনুক পাওয়া যাচ্ছে। তা কুঁড়িয়েই ভালো আয় হচ্ছে তাদের। তারা সকলে উপজেলার আলাদীপুর ইউনিয়নের (সুর্যপাড়া) আদীবাসি গ্রামের বাসিন্দা।
এসময় কথা হয় এডওয়ার্ড কিসকু নামে (আদীবাসী সাঁওতাল) বৃদ্ধের সাথে। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঝিনুক গুলো কুঁড়িয়ে নিয়ে গিয়ে বাড়ীর পাশে শ্যাতশ্যাতে জায়গায় রেখে দেই, এতে এক সপ্তাহ পর্যন্ত তাজা রাখা যায়। এরপর ঝিঁনুক ভেঙে ভিতরের নরম অংশ টুকু রান্না করে খাই। খোলস গুলো ১০টাকা কেজি এবং ৪০ টাকা ডালি হিসেবে বিক্রি করি। এতে খাবারের চাহিদা পুরন হচ্ছে এবং বেশ আয়ও হচ্ছে। প্রতিদিন অন্তত ৭০/৮০ কেজি ঝিনুক পাই। তবে অনেক সময় ঝিনুকের খোলসে হাত-পা কেটে আহত হই।
বসে নেই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী নারীরাও। তারাও দরিদ্র সংসারে খাবারের পাশাপাশি বাড়তি আয়ের জন্য নদী থেকে ঝিনুক তুলছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে প্রথমে লজ্জায় কথা বলতে চায়নি, পরে একে একে কথা হয়।
ক্রিসটিনা টুডু নামে এক নারী বলেন, এলাকার সকলে মিলে ঝিনুক কুঁড়াচ্ছেন। ‘আমাদের কুঁড়ানো ঝিনুক থেকে খাবার পাচ্ছি এবং খোলস গুলো ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছি। এতে করে ভালো আয় হচ্ছে।
একই কথা বলেন মিলতি স্বরেণ, লিনা হেমরম ও শান্তি মুরমু। তারা বলেন, বছরে তিন মাস নদী নালা খাল বীলে পানি কমে যায়। তখন ঝিঁনুক তুলতে সুবিধা হয়। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পরিশ্রম করে ৬-৭ শত টাকাও আয় করছেন তারা। যে যেমন তুলতে পারছেন তার আয় তেমন হচ্ছে।
জানা যায়, বিরামপুর উপজেলার কয়েকজন ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে শামুক ও ঝিনুক ক্রয় করে আসছেন। এসব শামুক-ঝিনুক কুঁড়িয়ে সেখানে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন অনেক পরিবার।
ব্যবসায়ী জানান, তারা ৩৫০ টাকা মণ কিনছেন। এটা দিয়ে চুন তৈরি করে বাজারে বিক্রি করছেন। তবে বিস্তারিত কোনো তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।
ফুলবাড়ী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রাশেদা বেগম বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় শামুক-ঝিনুক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। এরা যেসব জলাশয়ে থাকে সেখান থেকে ময়লা-আবর্জনা খেয়ে পানি দূষণমুক্ত রাখতে সহায়তা করে। এজন্য এদেরকে প্রকৃতির ফিল্টার বলা হয়।
তিনি আরও বলেন, বণ্যপ্রাণী নিধন আইনে প্রাকৃতিক উৎস্য থেকে শামুক-ঝিনুক আহরণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। অবৈধভাবে এ ব্যবসা করলে কিংবা প্রাকৃতিক উৎস্য থেকে আহরণ করলে আইন অনুযায়ী এর শাস্তির বিধান রয়েছে।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

জুলাই বিজয়ে গণমিছিলে মূখরিত রানীশংকৈল শহর

হরিপুরে ইউপি সদস্য প্রার্থী ভোটের দুইদিন আগে নিখোঁজ-সন্ধান চেয়ে থানায় জিডি

বীরগঞ্জে বলরামপুর দাখিল মাদ্রাসার নব নির্মিত চারতলা একাডেমি ভবনের উদ্বোধন

রাণীশংকৈলে ন্যাশনাল ব্যাংকের উদ্বোধন

হাবিপ্রবিতে ২য় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কাপ আন্তঃঅনুষদীয় ফুটবল প্রতিযোগিতার উদ্বোধন

অনুমোদন পেল দেশে উদ্ভাবিত কোভিড টেস্ট কিট

বিরলের কামদেবপুর এলাকা আদর্শ এলাকা প্রতিষ্ঠিত করতে মাদক ও সামাজিক অসংগতি বিরোধী পদযাত্রা ও জনসভা

দিনাজপুর গার্লস ক্লাবের পণ্য প্রদর্শনী ও উদ্যোক্তা পুণর্মিলনীতে উদ্যোক্তাদের সম্মননা প্রদান, স্টলে উপচে পড়া ভীড়

পীরগঞ্জ পৌরসভার ২ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের শুন্য পদে নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা

ঠাকুরগাঁওয়ে কুখ্যাত মটরসাইকেল চোর রাজ্জাক গ্রেপ্তার