Monday , 14 April 2025 | [bangla_date]

পিঠে ব’ড়শি গেঁ’থে শূ’ন্যে ঘুরছিলেন অরবিন্দ, নিচে হাজারো মানুষের ভি’ড়

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি\ চারদিকে হাজারো মানুষের ভিড়। সবার দৃষ্টি ৩০ ফুট উচ্চতার একটি কাঠের দÐের দিকে। সেখানে আড়াআড়ি করে বাঁশ বেঁধে তাতে ঝোলানো লোহার বড় দুটি বড়শি। সেই বড়শি পিঠের চামড়ায় গেঁথে শূন্যে ঘুরছিলেন অরবিন্দ চন্দ্র রায় (৪২)। পাশাপাশি তিনি ফুল-জল, আবির, কলা, বাতাসা, নকুলদানা ইত্যাদি ছিটিয়ে দিচ্ছেন ভক্ত-দর্শকের দিকে। এ সময় চলছিল উলুধ্বনি, শঙ্খধ্বনি। বাজছিল ঢাকঢোল।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌর এলাকার চাঁদপাড়া শ্মশান কালীমন্দির প্রাঙ্গণে গতকাল শনিবার শেষ বিকেলে গিয়ে দেখা গেল এই দৃশ্য। হিন্দু স¤প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব চড়কপূজা উপলক্ষে প্রতিবছর চৈত্র মাসের শেষ দিকে পিঠে বড়শি গেঁথে চড়কে ঘোরার উৎসব হয়, যা দেখতে বিভিন্ন স¤প্রদায়ের মানুষ সমবেত হয়।
চড়কে ঘুরতে থাকা অরবিন্দ ফুলবাড়ী পৌর এলাকার উত্তর কৃষ্ণপুরের মতিলালের ছেলে। তিনি জানান, এক যুগেরও বেশি সময় ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে এ কাজ করছেন তিনি। তাঁর পিঠে অগণিত ছিদ্র রয়েছে। প্রতিবার পিঠের ভিন্ন ভিন্ন স্থানে ছিদ্র করে লাগানো হয়। এটি করতে বেশ সাধনার প্রয়োজন।
আয়োজকদের সূত্রে জানা গেছে, বড়শিতে বিদ্ধ মানুষকে ঘোরানোর আগে সারা দিন ধরে নানা আচার-অনুষ্ঠান পালন করা হয়। মানুষ ঘোরানোর জন্য মাঠের মাঝখানে বসানো হয় একটি কাঠের দÐ। তার ওপর আড়াআড়িভাবে বাঁশ বেঁধে একপাশে ঝোলানো হয় দড়ি। অন্য পাশে বড়শিতে গেঁথে একজনকে ঝোলানো হয়। পরে একদল মানুষ দড়ি টেনে বাঁশটি নাড়িয়ে বড়শিতে গাঁথা লোকটিকে ঘোরাতে থাকেন। এটাই চড়কপূজার মূল আকর্ষণ।
শনিবারের উৎসব ঘিরে দুপুর থেকে মেলা বসেছিল। মেলা ঘিরে আশপাশের এলাকায় উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন ধর্মের মানুষ এখানে সমবেত হয়ে স্থানীয় সংস্কৃতির স্বাদ নেয়।
স্থানীয় দর্শক চন্দ্রনাথ বলেন, ‘প্রতি বছরের মতো এবারও চড়ক মেলা দেখতে এসেছি। আমাদের সনাতন ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে এমন আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ।’
উৎসবে আসা দীপালি ও শেফালি রানি জানান, এই চড়ক মেলা উপলক্ষে পুরো গ্রাম উৎসবে মেতে ওঠে। সবাই মেয়ে-জামাইসহ আত্মীয়স্বজনকে আমন্ত্রণ জানান। তাঁরাও মেলায় আসেন।
গাইবান্ধা থেকে আসা মাহাবুব নামের একজন বলেন, ‘এখানে আত্মীয়ের বাড়ি এসেছিলাম। শুনলাম পিঠ ফোঁড়া চড়ক মেলা হবে। আমাদের ওই দিকে এসব হয় না। তাই থেকে গেলাম মেলা দেখার জন্য। সত্যি এ এক অবাক করা ব্যাপার। কীভাবে একজন মানুষের পিঠে বড় বড় বড়শি বিঁধে ৩০-৩৫ ফুট উচ্চতায় ঝুলিয়ে ঘোরানো হচ্ছে!’
উৎসবের আয়োজন করা চাঁদপাড়া মন্দির কমিটির সভাপতি সুরজিত চন্দ্র রায় বলেন, চৈত্র মাসের শেষে চড়ক কালীপূজা বা নীল পূজার আয়োজন করা হয়। শত বছরের পুরোনো এই পূজা পূর্বপুরুষদের আমল থেকে হয়ে আসছে। পূজা ও চড়ক উৎসবকে কেন্দ্র করে দিনব্যাপী মেলা বসেছে। এতে কয়েকে হাজার ভক্ত ও দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

পঞ্চগড়ে উপজেলা বাল্যবিয়ে নিরোধ কমিটির সমন্বয় সভা

ঠাকুরগাঁওয়ে সমতলের ক্ষুদ্র  নৃতাত্তি¡ক জনগোষ্ঠির সাংস্কৃতিক উৎসব

ঠাকুরগাঁওয়ে সমতলের ক্ষুদ্র নৃতাত্তি¡ক জনগোষ্ঠির সাংস্কৃতিক উৎসব

বীরগঞ্জে মুজিব শতবর্ষে গৃহহীনদের মাঝে ৩৫০ টি গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন

বিরলে বৈরি আবহাওয়ায় উঠতি আমন ধানের ব্যপক ক্ষতি\ জনজীবন ব্যহত

বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা জেলা কমিটির অনুমোদন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে নবনির্বাচিত কমিটির শ্রদ্ধা

বোদায় বেড়াতে এসে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মৃত্যু

প্রথমবারের মতো উপজেলা পর্যায়ে ঘোড়াঘাটে সফলভাবে অর্থোপেডিক অপারেশন

ঠাকুরগাঁওয়ে পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ৩ গুরুতর আহত ২

রাণীশংকৈলে আজকের দর্পণ পত্রিকার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

৬ মাস পর এবার এলো হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ