কাহারোল (দিনাজপুর) প্রতিনিধি ঃ কাহারোলে ইরি-বোরো ধান কাটা ও মাড়াই শুরু করেছেন ধানচাষী কৃষকরা। ভালো ফলনের আশা করছেন ধানচাষী কৃষক ও স্থানীয় কৃষিবিভাগ। বর্তমান সময়ে দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে ধান চাষীদের ধানের ক্ষেতে এখন হাওয়ায় দুলছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন। অত্র উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এই উপজেলার মাঠে-মাঠে চলছে আগাম জাতের ইরি-বোরো ধান কাটা মাড়াইয়ের উৎসব। ধান চাষী কৃষকরা সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত তাদের জমিতে রোপনকৃত ধান কাটা শ্রমিক নিয়ে ধান কাটছেন এবং মাড়াইও করতে দেখা যাচ্ছে। বর্তমান বাজারে ধানের দাম ভালো থাকায় ইরি-বোরো ধান চাষীরা ধানের দাম ভালো পেয়ে অনেক খুশি। তবে এ বছর আবহাওয়া ভালো থাকায় ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজে স্বস্তি পাচ্ছেন ধান চাষীরা। উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে এবছর উপজেলায় ইরি-বোরো ধানের চাষাবাদ করা হয়েছে ৫,৫৭০ হেক্টর জমিতে। আগাম জাতের ২৮, ৫৮, ৮৮ ও বগুড়া কাঠারি জাতের ধান এখন কাটা মাড়াই চলছে । গতকাল শনিবার দিন (১০এপ্রিল’২৫) কাহারোল বাজারে প্রতি মণ ধান প্রকারভেদে বিক্রি হয়েছে ১১ শত টাকা থেকে ১১ শত ৫০টাকা পর্যন্ত। অপরদিক গত শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ইরি-বোরো ধানের ক্ষেত ঘুরে দেখা যায় গেছে, মাঠে-মাঠে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সোনালী রং এর পাকা ধান। ধানচাষী ও শ্রমিকরা ধান কাটছেন মনের আনন্দে । ধান কাটা কৃষি শ্রমিক মোঃ রবিউল ইসলাম জানান, এক বিঘা জমিতে ধান কাটতে ৩হাজার ৫শত টাকা চুক্তি হয়েছে। বাজারে ধানের দাম ভালো থাকায় ধান উৎপাদনে মনোযোগী হয়েছেন উপজেলার ধান চাষীরা। উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের ইশ^ানপুর গ্রামের ধানচাষী কৃষক মোঃ মফিজ উদ্দিন বলেন, এবার তিনি ৭ একর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষাবাদ করেছেন এবং তার ভাই তিনিও প্রায় ৭ একরের অধিক জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষ করেছেন। এলাকায় আরও ঘুরে দেখা গেছে, যে ধান বেশী পেকেছে সেই ধান কাটছেন কৃষকেরা আগে ভাগে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মল্লিকা রানী সেহানবীশ জানায়, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে এই উপজেলায় ইরি-বোরো ধান চাষাবাদের লক্ষমাত্রা অতিক্রম করেছেন। মাঠে ইরি-বোরো ধানের ফলন এখন পর্যন্ত ভালোই রয়েছে। এছাড়াও উন্নত জাতের বীজ থেকে প্রতি শতকে এক মণ হারে কৃষকেরা ধান পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আবহাওয়া ভালো থাকলে কৃষকের অতি কষ্টের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবেন। ইরি-বোরো ধান চাষাবাদের ক্ষেত্রে কৃষকদের সার্বিক সহযোগীতা করা হচ্ছে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে। আশা করা যাচ্ছে, ধানচাষী কৃষকরা এবার ইরি-বোরো চাষাবাদের ক্ষেত্রে লাভবান হবেন।