Thursday , 22 May 2025 | [bangla_date]

বীরগঞ্জে ভোগডোমা আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর জবর দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত – ৬

বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বীরগঞ্জে আশ্রয়ণ প্রকল্পের সরকারি পাকা ঘর জবর দখল নিয়ে দু’গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ উভয় পক্ষের ৬ জন গুরুতর আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি রয়েছে।

২১ মে’২০২৫ সকাল ৮ টার দিকে পাল্টাপুর ইউনিয়নের পূর্ব ভোগডোমা আশ্রয়ন প্রকল্পে পুনঃনির্মিত পাকা ঘর দখলকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- ঘর ও জমির প্রকৃত মালিক দাবিদার মৃত আবুল কালামের কন্যা ও সুকুমুদ্দিনের স্ত্রী নাজমা বেগম (৪৫), মৃত আব্দুল মজিদের পুত্র সুকুমুদ্দিন (৫৫), তাদের ছেলে আলমগীর (২৫) এবং আলমগীরের স্ত্রী রুবিনা (২০)
এবং
বিরোধী জবর দখলকারী প্রতিপক্ষ মৃত আব্দুল মজিদের পূৃত্র তারা মিয়া (৩৫) ও মনু মিয়া (৪০)।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত নাজমা, আলমগীর ও সুুকুমুদ্দিন জানান, তারা উত্তরাধিকার সূত্রে প্রকৃত মালিক।

কেননা আহতরা মৃত আবুল কালাম আজাদের ওয়ারিশ এবং ওই আশ্রয়ন প্রকল্পের ১৮৩৯/১৮৭০ দাগে বাস্তু ৮ শতাংশ এবং আবাদি ৩৮ শতাংশ মোট ৪৬ শতাংশ জমি বিগত ১৬ এপ্রিল’২০০১ সালে সরকার কর্তৃক ৩৫৮৭ নম্বর দলিলে প্রাপ্ত হয়েছেন। দীর্ঘদিন যাবত ভোগ দখল করছেন।

কিন্তু সম্প্রতি ভূতপূর্ব ইউএনও ফজলে এলাহী টিনের ব্র্যাক গুলো ভেঙ্গে পাকা ঘর নির্মানকালে অতি সুক্ষ্ম কৌশলে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলামের দ্বারা আমাকে অন্যত্র সরিয়ে রেখে মজিদের পুত্র তারা মিয়া কে নতুন নির্মিত পাকা ঘরে ঘুষ বানিজ্যের মাধ্যমে ঢুকিয়ে দিকে বিশৃংখলা সৃষ্টি করেছে।

নাজমা বেগম জানান, ঘটনাটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং অফিসার ইনচার্জ বীরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগসহ সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে প্রচার করার পরেও আমাদেরকে হত্যার উদ্দেশে সন্ত্রাসী আক্রমন চালিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করেছে।

প্রতিপক্ষের আহতরা জানায় তারা কোন ঘর দখল করে নাই, আবুল কালাম মৃত্যুর পর পরিত্যাক্ত ছিল, উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বার তাকে সেখানে থাকতে বলেছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর আহমেদ এবং অফিসার ইনচার্জ বীরগঞ্জ থানা আব্দুল গফুরের সাথে কথা হলে তারা অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করেছেন আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন মর্মে জানান।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও