হাবিপ্রবি প্রতিনিধি\ হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ছাত্র সংসদ গঠনের লক্ষ্যে আট সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
২৮ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড.মো. আবু হাসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
কমিটিতে আহŸায়ক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল সুপার কাউন্সিলের আহŸায়ক অধ্যাপক ড.মো.আবু সাঈদ মন্ডল। সদস্য সচিব হিসেবে আছেন ছাত্র-পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. এস.এম. এমদাদুল হাসান।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান, অ্যাগ্রিকালচার এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, অধ্যাপক ড. মো. শোয়াইবুর রহমান, হল সুপার, শহীদ আবরার ফাহাদ হল, অধ্যাপক ড.মো. শামসুজ্জোহা, প্রক্টর,অধ্যাপক ড. মো. নিজাম উদ্দীন, সহকারী পরিচালক, ছাত্র পরামর্শ নির্দেশনা বিভাগ, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন ভুঞা, বেগম রোকেয়া হল, অধ্যাপক মো. মামুনার রশীদ, একাউন্টিং বিভাগ।
এর আগে ২৭জুলাই সকাল থেকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (হাকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ এবং অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন গঠনের দাবিতে অনশন বসেন ২ শিক্ষার্থী অ্যাগ্রিকালচার অনুষদের ২২ব্যাচের শিক্ষার্থী এটিএম সিফাতুল্লাহ ও ফিন্যান্স বিভাগের ২২ ব্যাচের শিক্ষার্থী মুহিত আহমেদ। সময় বাড়ার সাথে সাথেই তাদের সাথে যুক্ত হতে থাকেন আরো শিক্ষার্থীরা। দাবির মুখে রাত ৯টার দিকে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনশনস্থলে পৌঁছান এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর অনশনরত শিক্ষার্থীদের উপাচার্য বাসভবনে নেওয়া হলে উপাচার্য এসে তাদের সাথে কথা বলেন এবং পরদিনই কমিটি গঠনের বিষয়ে আশ্বস্ত করে অনশন ভাঙান।
প্রসঙ্গত, হাবিপ্রবি প্রতিষ্ঠার প্রায় ২৫ বছর পূর্ণ হলেও এখনো পর্যন্ত এখানে কোনো ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। ফলে শিক্ষার্থীদের স্বার্থরক্ষা, অ্যাকাডেমিক সমস্যার সমাধান, আবাসন সংকট, খাবারের মান নিয়ন্ত্রণ, পরিবহন সমস্যা ও যৌক্তিক দাবিদাওয়ার প্রাতিষ্ঠানিক কোনো প্রতিনিধিত্ব গড়ে ওঠেনি। একটি কার্যকর ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের কণ্ঠস্বর হিসেবে কাজ করে, প্রশাসনের সঙ্গে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি হিসেবে নীতিগত যেকোনো সিদ্ধান্তে গ্রহণে প্রশাসনের সামনে শিক্ষার্থীদের মতামত তুলে ধরতে পারে।