ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি\‘জুলাই বিপ্লবের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ এই ¯েøাগানকে সামনে রেখে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের দাবিতে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার (৩০ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় ফুলবাড়ী কিন্ডারগার্টেন ঐক্য পরিষদের আয়োজনে পৌর শহরের নিমতলা মোড়ে সড়কের পাশে ব্যানার ফেষ্টন হাতে দাড়ীয়ে ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন করেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ। এতে উপজেলার ৩৯টি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক,অভিভাবক ও পরিচালক অংশ গ্রহন করেন। মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.ইসাহাক আলীর মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশে বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত প্রায় ৫০ হাজার কিন্ডারগার্টেন ও সমমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা বছরের পর বছর নিরলসভাবে প্রাথমিক শিক্ষার বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। অথচ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ১৭ জুলাই জারিকৃত পরিপত্র অনুযায়ী এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সরকারি বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না, যা চরম বৈষম্য ও অসংবেদনশীল সিদ্ধান্ত।
ফুলবাড়ী কিন্ডারগার্টেন ঐক্য পরিষদের সভাপতি আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম হেলাল এর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের উপদেষ্টা আলতাফ হোসেন,সাইফুল ইসলাম, এসএম আব্দুল্লাহ আখতারুজ্জামান, সহসভাপতি গনেষ চন্দ্র সাহা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলী, কোষাধ্যক্ষ সাজেদুর রহমান, শিক্ষক বাঁধন কুমার দাসসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থীরা।
বক্তারা বলেন, শিক্ষা হলো মৌলিক অধিকার। কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ থেকে বঞ্চিত করা মানে, হাজার হাজার মেধাবী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের স্বপ্নে আঘাত হানা। তারা এই বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত দ্রæত বাতিল করে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের পূর্বের নিয়মে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।
বক্তারা আরও বলেন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে জুলাই আন্দোলনে শতশত মানুষ রক্ত দিয়েছেন। অথচ আজও শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য বিরাজ করছে। কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত রাখা ন্যায়সংগত নয়। তারাও এদেশের নাগরীক, তবে তাদের জন্য আলাদা নিয়ম কেন? আমরা মেধার ভিত্তিতে বৃত্তি পরিক্ষায় সকল শিক্ষার্থীর সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য প্রধান উপদেষ্টার কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি ।