তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) সংবাদদাতা :
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় আমজুয়ানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোছা: হিরামনি এটুআই পরিচালিত শিক্ষক বাতায়ন কর্তৃক ICT4E জেলা অ্যাম্বাসেডর নিযুক্ত হয়েছেন ।
মোছা: হিরামনি ২০০৯ সালে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে যোগদান করেন। বর্তমানে
উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের আমজুয়ানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন। এই দীর্ঘ কর্মজীবনে প্রাথমিক শিক্ষার জন্য নিবেদিত প্রাণ হয়ে সাধ্যের শতভাগ দিয়ে কাজ করেছেন।
সহকারী শিক্ষিকা হিরামনি বলেন, ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের নিষ্পাপ ভালোবাসা, অভিভাবকদের শ্রদ্ধা, সহকর্মীদের ভালোবাসা এবং সহযোগিতা, কর্মকর্তাদের স্নেহধন্য হয়ে পেয়েছি দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শ এবং অনুপ্রেরণা। শিক্ষক বাতায়ন কর্তৃক ICT4E জেলা অ্যাম্বাসেডর নিযুক্ত হওয়ার পর শিক্ষার আলো ডট কমের সাথে একান্ত আলাপকালে মোছা: হিরামনি বলেন, শিক্ষকতা মহান পেশায় এক বড় প্রাপ্তি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের a2i কর্তৃক জেলা অ্যাম্বাসেডর নির্বাচিত হয়েছি। কৃতজ্ঞতা ও আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই a2i সংযুক্ত কর্মকর্তাদের। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি বাতায়নের সকল এডমিন ও প্যাডাগজি স্যারদের। a2i কর্তৃক জেলা অ্যাম্বাসেডর একটি সম্মান সূচক পদক। শিক্ষকতা জীবনে একটি সম্মানজনক অর্জন। স্বীকৃতি পেতে কার না ভালো লাগে? প্রত্যেক স্বীকৃতিই কাজের গতিকে বৃদ্ধি করে, সহযোগিতার মনোভাব বাড়িয়ে দেয়। আমার এই ক্ষুদ্র অর্জন ও স্বীকৃতি পেতে বিভিন্ন সময় উৎসাহ ও সহায়তা প্রদান করার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সম্মানিত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মহোদয় জনাব মো: জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মহোদয় জনাব সীমান্ত কুমার বশাক, উপজেলা ইনস্ট্রাক্টর মুখলেছুর রহমান স্যারদের প্রতি। এ ছাড়া যারা নানা ভাবে আমাকে সহযোগিতা করেছেন সকলের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
সহযোগী করেছেন আমজুয়ানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোছা: তাহমিনা বেগম। পারস্পারিক সহযোগিতার মাধ্যমে আইসিটি কে অন্তরে লালন করে উপজেলা, জেলা তথা দেশের উন্নয়নকল্পে প্রাথমিক শিক্ষক ও শিক্ষায় গুনগত মানোন্নয়নে কাজ করে যেতে চাই। দোয়া চাই সকলের কাছে। করোনাকালে অনলাইন পাঠদানে উদ্বুদ্ধ হয়েছি আমার অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্ব উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার স্যারের আন্তরিকতায়। অনলাইন কার্যক্রমে পেয়েছি দেশের আলোকিত কর্মকর্তা, সহযোদ্ধা ভাইবোনদের, নিজ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রান্তের অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের যাদের সহযোগিতা, সাহচর্য এবং প্রেরণা আমাকে পথ চলতে প্রেরণা দান করেছে। তিনি বলেন, অনেক তিক্ত ও মধুর অভিঙ্গতার মধ্য দিয়ে অনলাইন ক্লাস নিয়েছি। আমাদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণে বলা হয় যতটুকু সম্ভব শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের পূর্বে আনন্দময় পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। তা নাচ,গান, অভিনয়ের মাধ্যমে হতে পারে। আমিও সে অনুযায়ী চেষ্টা করেছি। এসব কারো কাছে রং ঢং হতে পারে। তবে এটা সত্য যে শিশুরা আনন্দময় পরিবেশে শিখতেই বেশি পছন্দ করে।এভাবেই আপনাদের সকলের ভালোবাসা আর প্রেরণা চাই আমৃত্যু। সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন বাকি দিনগুলো যেন ধৈর্য্য এবং মনোযোগের সাথে নিবেদিতপ্রাণ হয়ে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে এবং প্রাথমিক শিক্ষার জন্য কাজ করে যেতে পারি। প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারের জয় হোক।