সম্প্রতি বিরলের জীবনমহল পার্ক ও জীবনিয়া দরবারে উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতির ব্যাখ্যা দিয়ে তৌহিদী জনতার ব্যানারে সংবাদ সম্মেলনে ৮ দফা দাবী তুলে ধরা হয়েছে।
রোববার বেলা ১১টায় দিনাজপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তৌহিদী জনতার আহŸায়ক মতিউর রহমান কাসেমী বলেন, দিনাজপুরের বিরল উপজেলার কাঞ্চন মোড়ে অবস্থিত জীবনমহল পার্ক ও ও জীবনিয়া দরবারে দীর্ঘদিন যাবৎ অসামাজিক কার্যকলাপ ও জীবননিয়া দরবারে আধ্যাত্মিক চিকিৎসার নামে ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপের মাধ্যমে সাধারণ মুসলমান নারী ও পুরুষদের প্রতারনা করে আসছিল। অর্থের লোভ ও চাকরি দেওয়ার নাম করে অনৈতিক কাজ করানো হতো। সেখানে কটেজ করে যুবক যুবতীদের অবৈধ মেলামেশার সুযোগ করে দেওয়া হতো।
এর সত্যতা গত ১৬ আগষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের অভিযানে মহিলা পুরুষকে অনৈতিক অবস্থায় পুলিশ গ্রেফতার এবং জড়িতদের কারাদন্ড এবং একলাখ টাকা জরিমানা করে। অবৈধ কার্যকলাপ প্রমাণিত হওয়ার পর ইসলাম প্রিয় তৌহিদী জনতা ও সর্বস্তরের লোকজন ফুসে ওঠে। তারই ধারাবাহিকতা গত ১৭আগষ্ট রোববার তৌহিদী জনতা প্রথম প্রতিবাদ মিছিল করে এবং গত ২৮ আগষ্ট তৌহিদি জনতা প্রশাসনের অনুমতিক্রমে একটি শান্তি পূর্ণ সমাবেশের আয়োজন করে বিরল কাঞ্চন মোড়ে। এসময় তৌহিদী জনতার উপরে তার ভাড়াটিয়া গুন্ডাবাহিনী অতর্কিত হামলা করে বসে। এক পর্যায়ে তৌহিদী জনতা প্রতিরোধ গড়ে তুললে তার সন্ত্রাসী বাহিনী পলায়ন করতে বাধ্য হয়।
এই পুঞ্জীভূত ক্ষোভের কারণে প্রতিশোধ স্বরূপ ভাংচুর লুটপাট অগ্নিসংযোগ করে। উক্ত লুটপার্টের ভাংচুর অগ্নি সংযোগের সাথে ইসলাম প্রিয় তৌহিদী জনতার সম্পর্ক নাই। কিন্তু কিছু কিছু অনলাইন অফলাইন মিডিয়া উক্ত লুটপাট ভাঙচুরকে কেন্দ্র করে শান্তি প্রিয় জনতার উপরে জঙ্গি তকমা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করার আহŸান জানাই।
সংবাদ সম্মেলনে দরবারের নামে আত্মশুদ্ধির বা আধ্যাত্মিক চিকিৎসার নামে ধোঁকাবাজি চিরতরে বন্ধ করা এবং আনোয়ার হোসেন জীবন চৌধুরীকে গ্রেফতারসহ ৮ দফা দাবী তুলে ধরা হয়।
এসময় তৌহিদী জনতার সদস্য মাওলানা সোহরাব হোসাইন, মাওলানা শোয়াইব রহমান, মাওলানা মুহাম্মদ রেদওয়ানু কারীম রাবিদ, মুফতী খাইরুজ্জামান, এনসিপি সদর উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ আরিফ রেজা ও ছাত্র প্রতিনিধি মেশকাত আরেফিন (শাকিল) উপস্থিত ছিলেন।