পঞ্চগড় প্রতিনিধি\ গত বৃহস্পতিবার রাতে ভারতের শিলিগুড়ি থেকে আটক এক বাংলাদেশি তরুণীকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজিবির কাছে হস্তান্তরের পর রাতেই আরও ৯ নারী ও শিশুকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী-বিএসএফ। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া ও পঞ্চগড় সদর উপজেলার পৃথক দু’টি সীমান্ত দিয়ে তাদের পুশইন করে তারা। বিজিবি তাদের আটক করে পুলিশের জিম্মায় দিয়েছে।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা সীমান্তে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠকের মাধ্যমে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার পপি রায় নামের এক তরুণীকে বিজিবির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করে বিএসএফ। পপি গত এক বছর শিলিগুড়িতে স্বামীর সঙ্গে বসবাস করে স্থানীয় একটি মন্দিরে কাজ করছিলেন। সম্প্রতি তাকে আটক করে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে শিলিগুড়ি পুলিশ। পরিচয় নিশ্চিতের পর তাকে ফেরত পাঠানো হয়। একই রাতে একই সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ একটি পরিবারের ৪ সদস্যকে পুশইন করে বিএসএফ। বিজিবির দাবি, পরিবারটি দীর্ঘদিন মুম্বাইয়ে অবৈধভাবে বসবাস করছিল। আটক আছমার স্বামী সেলিম মোড়ল একজন ভারতীয় নাগরিক। মুম্বাই পুলিশ তাদের আটক করে বিমানে শিলিগুড়িতে পাঠায়। পরে বিএসএফ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশইন করে। পরে বিজিবি তাদের আটক করে।
একই রাতে পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ডাঙ্গীপুকুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে আরও ৫ নারীকে বাংলাদেশে পুশইন করা হয়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় বিজিবি তাদের আটক করে এবং পরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। সেখানে আটককৃতদের বাড়ি যশোর ও ময়মনসিংহ জেলায় বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে বিজিবি।
পঞ্চগড়-১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনিরুল ইসলাম এবং সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ হিল জামান পুশইনের তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, আটক ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে পরিচয় যাচাইয়ের কাজ চলছে। সংশ্লিষ্ট জেলায় পরিবার-পরিজনের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।