আলিফ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার প্রথম হাফেজা উম্মে সায়মাকে সংবর্ধনা সভায় বক্তারা
প্রচলিত সমাজকে সঠিক পথে নিতে হলে শিক্ষার্থীদের
নৈতিক তথা ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে
প্রচলিত ঘুনে ধরা সমাজকে সঠিক পথে নিতে হলে শিক্ষার্থীদের নৈতিক তথা ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। ইসলামী শিক্ষা ছাড়া কোনো শিক্ষার্থী ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠা প্রায় অসম্ভব। বর্তমানে অভিভাবকদের একটি বড় অংশ তাদের সন্তানদের ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত করতে উদ্বুদ্ধ হয়েছে। এটি নিঃসন্দেহে অনেক ভালো একটি দিক। অভিভাবকগণ ভালো মাদ্রাসা খুঁজে তাদের সন্তানদের ভর্তি করছে। মাদ্রাসায় পড়ালেখা করে শিক্ষার্থীরা দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বড় বড় বিশ^বিদ্যালয়সহ নানান প্রতিষ্ঠানে চান্স পাবার গৌরব অর্জন করছে। এই মাদ্রাসাগুলোই পবিত্র কুরআন মজীদের ৩০ পারা শিক্ষার্থীদের সিনার ভেতর স্থাপনের কাজ করছে। তাই যার যার অবস্থান থেকে মাদ্রাসা শিক্ষার ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশসহ এক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
গতকাল বিকালেআলিফ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার প্রথম হিফজ সম্পন্নকারী হাফেজা উম্মে সায়মাকে সংবর্ধনা ও সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তারা উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। শহরের ডায়াবেটিক মোড়স্থ মাদ্রাসার জাবালে রহমত শিশু মঞ্চে এই সংবর্ধনা সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন মাদ্রাসার পরিচালক কামরুল হাসান রাসেল।মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল অধ্যাপক সাদাকাত আলী খানের সভাপতিত্বে এতে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সাইদুর রহমান, মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য লায়লা হক, ফুলবন ফাজিল মাদ্রাসার প্রভাষক সাবিনা ইয়াসমিন, মাদ্রাসার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ কামারুজ্জামান, সমন্বয়ক মাহফুজুর রহমান, ভাইস প্রিন্সিপাল শামীম হোসেন, হিফজ বিভাগের শিক্ষক হাফেজ মাওলানা আব্দুল্লাহ শাহীন, হাফেজা নাজিফা তাবাসসুম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে হাফেজা উম্মে সায়মার জন্য বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন মাদ্রাসার আরবী বিভাগের ওস্তাদ হাফেজ মাওলানা মোঃ আরিফুল ইসলাম।অনুষ্ঠানের শুরুতে হিফজ সম্পন্ন করায় নিজের অনুভুতি প্রকাশ করেন হাফেজা উম্মে সায়মা ও তার বাবা মোঃ সেলিম মিয়া। এ সময় হাফেজা উম্মে সায়মার মাতা মোছাঃ মোরশেদা উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে ক্রেস্ট, হিজাব ও সনদপত্র প্রদানের মাধ্যমে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে আলিফ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার হিফজ বিভাগ চালুর পর বালক ও বালিকা শাখার মধ্যে মোছাঃ উম্মে সায়মাই প্রথম হিফজ সম্পন্ন করল।