দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলার মামলায় জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন ও তার ছেলেসহ ১০ জনকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দিনাজপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. আলমগীর কবীর তাদের জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, তার ছেলে মো. নিশান, নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. জিয়াউর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ছানোয়ার হোসেন মÐল, নবাবগঞ্জ উপজেলার জয়পুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. আইনুল হক, মো. আজিজুল হক, মো. জামিনুর রহমান, মো. মোমিনুল ইসলাম, মো. আজিজার রহমান, মো. সাজেদুর রহমান সবুজ।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট দুপুর ২টায় ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে নবাবগঞ্জ উপজেলার তপনঘাট নামকস্থানে আওয়ামী লীগ অফিসে গোপন মিটিং করে। পরে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ধারালো অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ছাত্র-জনতার বৈষম্য বিরোধী মিছিলে সাবেক এমপি শিবলী সাদিক ও তার চাচা দেলোয়ার হোসেনের নির্দেশে ককটেল নিয়ে এবং হাতে ধারালো হাঁসুয়া, লোহার রড, চায়নিজ কুড়াল ও দেশ বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করেন।
এ ঘটনায় চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি নবাবগঞ্জ উপজেলার তর্পণঘাট গ্রামের বাসিন্দা ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী নজরুল ইসলাম (৪০) বাদী হয়ে নবাবগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় গত ১৮ মে আসামিরা হাইকোর্টে জামিনের প্রার্থনা করলে হাইকোর্টের বিচারক তাদের নি¤œ আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। পরে তারা দিনাজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হলে পাঁচ হাজার টাকা বন্ডে গণ্যমান্য ব্যক্তির জিম্মায় ৮ সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করেন।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ৮ সপ্তাহ জামিনের শেষ দিনে আসামিরা পুনরায় জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
দিনাজপুরের কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম জানান, দুপুরে কড়া পুলিশ প্রহরায় প্রিজন ভ্যানে করে ১০জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।