দিনাজপুরে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কোনটিতেই ডুবুরি ইউনিট নেই। পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার ঘটনা সময় ডুবুরি আনতে হয় ৭৬ কিঃমিঃ রংপুর থেকে। ফায়ার স্টেশনে ডুবুরি দল না থাকার কারণে, স্থানীয় নদী-পুকুরে কোনো ডুবন্ত ব্যক্তিকে উদ্ধারের জন্য রংপুর থেকে ডুবুরি দল আনতে হয়। যা উদ্ধার তৎপরতাকে বিলম্বিত এবং এতে দুর্ঘটনায় জানমালের ক্ষয়ক্ষতি বেড়ে যায়।
তবে ডুবুরী ইউনিট চেয়ে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে চিঠি দেওয়ার কথা জানালেন দিনাজপুর ফায়ার ষ্টেশনের সহকারী পরিচালক।
দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলায় মোট ১৩টি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন রয়েছে। এর মধ্যে দিনাজপুর স্টেশনটি ‘এ’ শ্রেণিভুক্ত। ‘এ’ শ্রেণিভুক্ত স্টেশনটিতে আগুন নির্বাপক, পরিদর্শন এবং ফায়ার অ্যাম্বুলেন্সসহ মোট ছয়টি গাড়ি রয়েছে। কিন্তু ডুবুরি ইউনিট নেই। পানিতে ডুবে কেউ হারিয়ে যায় তখন ডুবুরির জন্য বসে থাকতে হয়। কারণ দিনাজপুর ফায়ার সার্ভিসে কোনও ডুবুরি নেই। চাহিদা অনুযায়ী ডুবুরি দেওয়ার দাবী জানান সাধারন মানুষ।
এ ব্যাপারে দিনাজপুর উন্নয়ন ফোরামের সদস্য মেহেরুল্লাহ বাদল বলেন, ফায়ার সার্ভিসের মত জরুরী একটি বিভাগে ডুবুরি না থাকায় দিনাজপুরের মানুষ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা দরকার সংশ্লিষ্টদের।
দিনাজপুর ফায়ার ষ্টেশনের সহকারী পরিচালক মোঃ আমিরুল ইসলাম সরকার সাংবাদিকদের জানান, দিনাজপুর স্টেশনটি ‘এ’ শ্রেণিভুক্ত। ‘এ’ শ্রেণিভুক্ত স্টেশনটিতে ডুবুরি ইউনিট থাকা অত্যাবশকীয়। ডুবুরি দলের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এটি বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের তথ্য মতে নদী এবং পুকুরে গত ৬ মাসে ২৭টি পানিতে শিশুসহ মানুষের ডুবে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।