Friday , 12 September 2025 | [bangla_date]

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় আলো ছড়াচ্ছে শিক্ষিকা হিরামনি

তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড় ) প্রতিনিধি :
আলোকিত মানুষ গড়ার লক্ষ্যে এবং সার্বিক সমাজ ব্যবস্থার উন্নতি সাধনের পূর্ব শর্তরূপে শিক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করেই এই স্বনামধন্য শিক্ষক ব্রতী হয়েছেন জ্ঞান বিতরণের মহৎ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
মানুষ গড়ার দক্ষ কারিগর শিক্ষক। অসংখ্য গুনী শিক্ষক হাজার হাজার শিশুর মাঝে নিজের সুখ বিসর্জন দিয়ে আলো ছড়িয়ে দিচ্ছেন। এমনি উদাহরন আমাদের এই দেশে বিদ্যমান। তেমনি একজন গুনী ও আদর্শ শিক্ষিকা হিরামনি। তিনি পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার Ļতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আমজুয়ানী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।
তিনি ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতার মহান পেশায় যোগদানের পর থেকেই আত্মনিয়োগ করেন নিষ্ঠার সাথে। তার নীতি, আদর্শ, নিষ্ঠা ও দক্ষতার কারণে তিনি হয়ে ওঠেন সহকর্মী ও শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রিয় শিক্ষক।
তার কর্মদক্ষতার কারনে চলতি বছরে এটুআই পরিচালিত শিক্ষক বাতায়ন কর্তৃক ওঈঞ৪ঊ জেলা অ্যাম্বাসেডর হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।
তিনি নিয়মিত শ্রেণিকক্ষ সাজানোর পাশাপাশি শিশুদের জন্য উদ্ভাবনী গল্প, কবিতা ও নাটিকা তৈরি করে থাকেন। শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে শেখানোর জন্য “প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ খাতা”, “খাদ্য রাজ্যে ক্ষুধুর অভিযান” এর মতো অভিনব শিক্ষণীয় কনটেন্ট শ্রেণিকক্ষে ব্যবহার করেছেন। এছাড়াও তিনি ডিজিটাল টুলস (চড়বিৎ চড়রহঃ, ঊীপবষ) অনলাইন ফর্ম ব্যবহার করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সহজে শেখানোর পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছেন।
হিরামনি শুধু শিক্ষার্থীদের নয়, শিক্ষকদের জন্যও আইসিটি বিষয়ক সহায়তা প্রদান করে থাকেন। তিনি ঐবষঢ়রহম চধমব ঙহ ব-গড়হরঃড়ৎরহম ফেসবুক পেজের মডারেটর হিসেবে সারাদেশের শিক্ষককে উপবৃত্তি এন্ট্রি, ই-মনিটরিংসহ নানা কাজে সহায়তা করে আসছেন।
প্রাথমিক শিক্ষা অদিদপ্তরের এইও, ডিপিইও ও এডমিন এর অনুপ্রেরণায় ঐবষঢ়রহম চধমব ঙহ ব-গড়হরঃড়ৎরহম তেঁতুলিয়া উপজেলার শিক্ষকদের ওচঊগওঝ, চঊঝচ, ঈজঠঝ বিভিন্ন আইসিটি বিষয়ক সমাধান দিয়ে থাকেন।

হিরামনি দ্বায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে গিয়ে বিসর্জন দিয়েছেন নিজের সব। স্কুলে ঘন্টা বাজার সাথে সাথেই ক্লাস রুমে প্রবেশ করেন। বিদ্যালয়েও আগমন করেন নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে।
দুর্বল ও অস্বচ্ছল গরীব শিক্ষার্থীদের প্রতি তার আলাদা সেন্টিমেন্ট কাজ করে। তাদের জন্য তিনি স্পেশাল ক্লাস বা শিখন পদ্ধতি ব্যবহার করেন। কোন শিক্ষার্থী কোন কারণে স্কুল না আসলে তার বাড়ীতে গিয়ে খোঁজ নেয় ।
শুধু তাই নয়, তিনি নিয়মিত বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সাথেও নিয়মিত যোগাযোগ ও শিক্ষার্থীর লেখাপড়ার খোঁজ খবর নেন। তার এমন উদ্যোগে খুশি অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও তার সহকর্মী বৃন্দ।
মৌসুমি নামের এক অভিভাবক বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছে ধীরে ধীরে হয়ে উঠেন মাতৃসমতুল্য একজন আদর্শ শিক্ষক।
মোঃ সফিকুল ইসলাম বলেন, আমার স্ত্রীর এমন মহতী উদ্যোগ আমার পরিবার তথা সমগ্র শিক্ষকের সম্মান বাড়ায় বিধায় আমি তাকে সহযোগীতা করি।
হিরামনি বলেন, আমি আমার পারিবারিক শিক্ষা থেকেই প্রধানত দ্বায়িত্ব পালনের ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছি। তিনি আরও বলেন,আমার প্রধান শিক্ষক সহ আমার সকল সহকর্মীবৃন্দ যদি এ ব্যাপারে আমাকে সহযোগীতা ও উৎসাহ না দিতেন তাহলে আমি আজ এতদূর এগুতে পারতামনা।
প্রধান শিক্ষিকা মোছা: তাহমিনা বেগম বলেন, বিদ্যালয়ে সকল শিক্ষক,কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের মাঝে একটা মেল বন্ধন রয়েছে। তার মধ্যে হিরামনি একটু ভিন্ন। তিনি বরাবরই একজন নিয়মিত ও মাতৃসুলভ আচরনের শিক্ষক। তার এই ধরনের কার্যকলাপে শিক্ষার্থীরা উৎসাহ পায় বিধায় আমিও ব্যক্তিগত ভাবে তার এমন কাজকে সমর্থন করি ও তাকে উৎসাহ দেই।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

অরবিন্দ শিশু হাসপাতালের উদ্যোগে বিশ্ব শিশু দিবস পালিত

ঠাকুরগাঁওয়ে এস.এস.সি ৯৩ ব্যাচের স্বেচ্ছাসেবী বন্ধু সংগঠন “৯৩ ফাউন্ডেশন ঠাকুরগাঁও” এর উদ্যোগে বৃক্ষরোপন কর্মসুচী পালিত হয়

হরিপুরে উপজেলা প্রশাসনের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

হাবিপ্রবির ভাইস-চ্যান্সেলর এর পিএইচডি ফেলো’র গবেষণা মাঠ পরিদর্শন

খানসামায় শিশু পার্কে পরিচ্ছন্নতা অভিযান

“মাদকের বিরুদ্ধে এসো দোড়াই আলোর পথে” শ্লোগানে দিনাজপুরে ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগীতা

ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশের প্রেস ব্রিফিং !

পঞ্চগড়ে তিন ফিলিং স্টেশনকে ৫৪ হাজার টাকা জরিমানা

বীরগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুনামেন্টের শুভ উদ্বোধন

ঠাকুরগাঁওয়ে দৈনিক ভোরের দর্পনের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত