পঞ্চগড় প্রতিনিধি\পঞ্চগড়ের টুনিরহাট বাজারের নিরাপত্তা প্রহরী রফিকুল ইসলাম (ডুবু) খুনের প্রায় একমাস পর প্রধান আসামী আরমান ইসলাম আমজাদকে (২৬) আটক করেছে পুলিশ। গত সোমবার বিকেলে তাকে সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের সাহেববাজার এলাকার শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আমজাদ পঞ্চগড় সদর উপজেলার টুনিরহাট প্রধানপাড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে। পরে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে আমজাদ। জুয়া খেলার দ্ব›েদ্বর জেরেই বৃদ্ধ ডুবুকে খুন করে আমজাদ এমনটাই দাবি করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সী।
পুলিশ সুপার জানান, হত্যার শিকার নিরাপত্তা প্রহরী বৃদ্ধ রফিকুল ইসলাম ডুবু (৭০) দীর্ঘদিন ধরে টুনিরহাট বাজারের মাহবুব আলম প্রধানের খড়ি ঘরে থাকতেন। বাজারের কাছেই তার বাড়ি। বৃদ্ধ বয়সেও জুয়া খেলা ছিলো তার নেশা। ৪ আগস্ট দিবাগত গভীর রাতে টুনিরহাট বাজারেই হত্যাকারী আরমানের সাথে তাস খেলতে শুরু করেন তিনি। ৪শ করে টাকা তারা বোর্ডে রাখেন। খেলার এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে চাল নিয়ে বাক বিতন্ডা শুরু হয়। আরমান টাকা নিয়ে চলে যেতে চাইলে বৃদ্ধ রফিকুল সুপারি কাটার জন্য ব্যবহৃত চাকু দিয়ে আমজাদের পিঠে আঘাত করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আমজাদ ওই চাকু কেড়ে নিয়ে রফিকুলকে গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করে। পরদিন তার গলা কাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় ওই দিনই নিহতের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন অজ্ঞাতনামা আসামী করে পঞ্চগড় সদর থানায় মামলা করেন।
পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সী বলেন, সম্প্রতি যে কয়েকটি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে তার বেশিরভাগই রহস্য উন্মোচনসহ আমরা আসামীদের গ্রেপ্তার করেছি। শিগগিরই আরও দুটি হত্যাকান্ডের আসামীদেরও গ্রেপ্তার করা হবে। ওই বৃদ্ধকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় আমরা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামীকে শনাক্ত করি। এরপর তার উপর নজরদারি করা হয়। গ্রেপ্তারের দিন তার ঢাকায় পালিয়ে যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু পুলিশ ঠিক সময়েই তাকে গ্রেপ্তার করেছে। এমনকি সে আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।