Saturday , 20 September 2025 | [bangla_date]

বোদায় সেলাইয়ের কাজ করে ময়না এখন স্বাবলম্বী

বোদা.পঞ্চগড় প্রতিনিধি\ এক যুগ আগে ময়না বেগম কে দারিদ্রতা কুড়ে কুড়ে খেতো। সেলাই প্রশিক্ষণ নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করে ময়না বেগম আজ দারিদ্রতাকে জয় করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। অভাব-অনাটনের সংসারে,সাংসারিক কাজের ফাঁকে ফাঁকে দর্জির কাজ করে তিনি প্রতি মাসে আয় করছেন ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা। পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার চন্দনবাড়ি ইউনিয়নের সরকার পাড়া গ্রামের বাসিন্দা রাজমিস্ত্রি জফিরুল ইসলামের স্ত্রী সংগ্রামী ময়না বেগমের কঠোর পরিশ্রমের পর স্বাবলম্বী হওয়ার কথা বলছিলাম। ময়না বেগমের স্বামী জফিরুল ইসলাম রাজমিস্ত্রির কাজ করে,প্রতিদিন কাজ থাকেনা। স্বল্প আয়ে স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে অভাব-অনাটনের মধ্য দিয়ে দারুন কষ্টে সংসার চালাতে হতো তাকে। সংসার চালাতে তাকে মানুষের বাড়িতেও কাজে সন্ধানে যেতে হতো। এরই মাঝে তার মনে দর্জির কাজ করার ইচ্ছা জাগে। কিন্তু তার এ বিষয়ে অভিজ্ঞতা নেই। সেলাইয়ের কাজ শেখার জন্য তিনি বিভিন্ন দর্জির দোকানে যোগাযোগ করে,কিন্তু কেউ তাকে এই সুযোগ করে দেয়নি। এক পর্যায়ে তিনি জানতে পারেন বোদা উপজেলা সদরে পল্লী সাহিত্য সংস্থা নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন (এনজিও) দরিদ্র মহিলাদের স্বাবলম্বী করতে বিনামুল্যে সেলাই প্রশিক্ষণ প্রদান করে,বিনামুল্যে সেলাই মেশিনও প্রদান করছেন। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক হারুন অর রশিদের সাথে কথা বলে তিনি সেলাই প্রশিক্ষণের জন্য আবেদন জমা করেন।সংস্থাটি যাচাই-বাছাই ও সরেজমিন তদন্ত করে দরিদ্র ময়না বেগমকে ৫ মাসের সেলাই প্রশিক্ষনের সুযোগ প্রদান করেন। ৫ মাসের প্রশিক্ষণে সে সেলাইতে প্রশিক্ষিত হয়ে উঠেন। ৫ মাস প্রশিক্ষণ প্রদানের পর বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের সহায়তায়,পল্লী সাহিত্য সংস্থা তাকে বিক্রি না করার শর্তে ২০১৩ সালে বিনামুল্যে একটি সেলাই মেশিন প্রদান করেন এবং দীর্ঘ দিন তদ্বারকি করেন। দর্জি প্রশিক্ষণ গ্রহন করে বিনামুল্যে সেলাই মেশিন পাওয়ার পর সে বাড়িতেই সংসারের কাজের ফাঁকে ফাঁকে দর্জির কাজ শুরু করেন। তার কোজের মান ভাল হওয়ায় দিন দিন বাড়তে থাকে কাজের পরিধি। এলাকার সব মানুষ তার কাছেই পোশাক তৈরী করে। ঈদ-পুঁজা এলেই কাজের ভীড় বেড়ে যায়। ময়না বেগমকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। সেলাই প্রশিক্ষণেই তাকে স্বাবলম্বী করেছে। এখন স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে বেশ সুখে আছেন। দর্জির কাজ করে দীর্ঘ ১২ বছরে তিনি কুড়ে ঘর থেকে তিনি ইট-সিমেন্টের গাঁথুনি দিয়ে পাকা ঘর নির্মাণ করেছেন। লেখা-পড়া শিখিয়ে ভাল ছেলের সাথে মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। ছেলেও লেখা পড়া করছে। এখন আর তার সংসারে কোন অভাব নেই। বাড়ির পাশে একটু জমিও কিনেছেন।ময়না বেগম বলেন,পল্লী সাহিত্য সংস্থার প্রশিক্ষণ ও বিনামুল্যে সেলাই মেশিন প্রাপ্তী তার জীবন বদলে দিয়েছে,তাকে স্বাবলম্বী হওয়ার পথ দেখিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের সহায়তায়,পল্লী সাহিত্য সংস্থা এই এলাকার ময়নার মত অনেক গ্রামীণ দরিদ্র মহিলাদের সেলাই প্রশিক্ষণ প্রদান করে বিনামুল্যে সেলাই মেশিন প্রদান করে স্বাবলম্বী হওয়ার পথ দেখিয়েছে। পল্লী সাহিত্য সংস্থার নির্বাহী পরিচালক হারুন অর রশিদ বলেন, গ্রামীণ দরিদ্র মহিলাদের আয়ের পথ দেখাতে ও তাদের স্বাবলম্বী করতে বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন দীর্ঘ দিন ধরে পল্লী সাহিত্য সংস্থা কে আর্থিক ভাবে সহায়তা করে আসছে। বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের এই দর্জি প্রশিক্ষণ কর্মসুচিতে এলাকার দরিদ্র মহিলারা উপকৃত হচ্ছেন।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

আটোয়ারীতে পাটচাষী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

ঠাকুরগাঁওয়ের আঞ্চলিক ভাষায় কবিতা    -এসএম মশিউর রহমান সরকার

ঠাকুরগাঁওয়ের আঞ্চলিক ভাষায় কবিতা -এসএম মশিউর রহমান সরকার

স্বপ্ন ব্লাড ফাউন্ডেশনের ইফতার মাহফিল

বোচাগঞ্জে ৬টি গুরুত্বপুর্ণ ভবনসহ ১৪ উন্নয়ন মূলক প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন নৌ প্রতিমন্ত্রী

একটি প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা ব্যবস্থাকে গলা টিপে হত্যা করার জন্য যা যা দরকার ছিল তা করেছে স্বৈরাচার সরকার —-পঞ্চগড়ে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান

দিনাজপুরের ১৬৩৭ বিদ্যালয়ে প্রজেক্টর বিতরনের আট মাস পর ফেরত

পিঠে সিলিন্ডার বেঁধে মাকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটছেন ছেলে, ছবি ভাইরাল

বিদেশে যাওয়ার পর রাণীশংকৈলে প্রবাসী’র বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলার

খানসামা থানা পরিদর্শনে পুলিশ সুপার

বোচাগঞ্জে নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ক প্রশিক্ষন

বোচাগঞ্জে নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ক প্রশিক্ষন