রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় সরকারি খাস জমি রেখে ব্যাক্তি মালিকানা জমিতে রাস্তা পাকা করণের অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও উপজেলা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে দেখা গিয়ে দেখা যায়, নেকমরদ ইউনিয়নের করনাইট কুমারগঞ্জ গ্রাম ভায়া হয়ে ঘনস্যামপুরে গেটার দিনাজপুর প্রকল্পের অধিনে ১২ শত ৫০ মিটার রাস্তা পাকা করণের কাজটি ঠাকুরগাঁও লাবীব তনীর প্রাইম (তাহিরুল ইসলাম) নামে এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ১১ জুন ২৫ সালে ১ কোটি ৪৫ লক্ষ ৪১ হাজার ৯৯৮ টাকা ব্যায়ে ৭ এপ্রিল ২৬ সালে চুক্তি বদ্ধ হন।
এনিয়ে ঐ এলাকার বাসিন্দা মোস্তাকুজ্জামান সুইট উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা বরাবরে একটি অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগে জানাযায়, যেহেতু সরকারি ভাবে রাস্তা পাকা করণ হচ্ছে এতে সরকারি জমি ব্যাবহার হবে। কিন্তু তা না করে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার আমার ব্যাক্তি মালিকানা জমিতে রাস্তা নির্মাণ করছে। বিষয়টি ঠিকাদার এবং প্রকৌশলী অফিসে অভিযোগ করেও কোন সুরাহা পায়নি বলে সুইট জানান। রাস্তা নির্মাণ কাজের করনাট মোড়ে ডামডিলের বাড়ির সাথে বাঁকা হওয়ায় উত্তর সাইডে সরকারি খাস জমি রয়েছে এবং সরকারি জায়গায় টিনের চালা রহিয়াছে। সরকারি জমিতে রাস্তা নির্মাণ না করে দক্ষিণ পাশে আমার ব্যাক্তি মালিকানা জমিতে ২ ফিট চাপিয়ে দিয়ে রাস্তা করছে। বাংলাদেশে যে হারে জনসংখ্যা প্রতি বছর বৃদ্ধি পাচ্ছে পরবর্তীতে রাস্তা প্রশস্থ করা হয় তাহলে আমি আরো ক্ষতিগ্রস্ত হবো।
এদিকে সরকারি খাস জমি ছেড়ে মালিকানা জমিতে চেপে রাস্তা করা প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ঠ ঠিকাদার তাহিরুল ইসলাম বলেন, এক পাশে একজন গরীব মানুষ বসবাস করছে তাকে সরিয়ে দিয়ে কি রাস্তা করা ঠিক হবে। তাছাড়া সুইটের জমিতেতো আমরা রাস্তা করছিনা।
এবিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আনিসুর রহমান বলেন, ঘটনা স্থলে আমি নিজে গিয়ে দেখেছি কোন সমস্যা নেই। তাছাড়া প‚র্বের রাস্তা যে দিকে থাকবে আমরা সে দিক দিয়ে রাস্তা পাকা করবো। আমরা তো আর সার্ভেয়ার দিয়ে মাপ যোগ করে রাস্তা করবো না।