কাহারোল (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: মৌসুমের শুরুতে আলু রেখে এখন বড় লোকসানের মুখে পড়েছে কৃষক ও আলু ব্যবসায়ীরা। উপজেলার ২টি হিমাগারে দেখা গেছে হিমাগার পর্যায়ে জাত ভেদে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৩ টাকা। অথচ উৎপাদন থেকে শুরু করে হিমাগারে রাখা পর্যন্ত প্রতি কেজির খরচ পড়েছে ২৫ থেকে ২৬ টাকা। প্রতি কেজিতে লোকসান গুনতে হচ্ছে ১১ থেকে ১২ টাকা ব্যবসায়ীদের। আর বস্তাপ্রতি হিসাব করলে (৬০) কেজি লোকসান দাড়াচ্ছে ৬শত থেকে ৭শত টাকা। অনেকে এই কারনে অনেক কৃষক ও ব্যবসায়ীরা আলু হিমাগার থেকে তুলছে না।
কাহারোল উপজেলা হিমাগার সূত্রে জানা যায় রাহবার হিমাগারে আলুর ধারন ক্ষমতা ১৩হাজার ৫শত মে. টন ও শাহী হিমাগারে ১০ হাজার ৫শত মে. টন। কাহারোল উপজেলায় গত মৌসুমে আলু উৎপাদন হয়েছিল১ লক্ষ টনের বেশী। গতকাল পর্যন্ত শাহি হিমাগারে মজুদ রয়েছে ৫ হাজার ২শত ৫৫ মে. টন আলুর বীজ ও খাদ্যের জন্য মজুদ রয়েছে ১শত ৫৪ মে. টন। অপর দিকে রাহবার হিমাগারে বীজ হিসেবে মজুদ রয়েছে ৮ হাজার ৯শত ৮৮ মে. টন ও খাদ্য হিসেবে ২ হাজার ৭শত ৭২ মে. টন।
কাহারোল উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে আলুর লক্ষ মাত্র নির্ধারন করা হয় ৪ হাজার ১০ হেক্টের জমিতে।
আলু ব্যবসায়ী মোঃ হবিবর রহমান বলেন, ২শত বস্তা আলু রাখা হয়েছে হিমাগারে আলু ক্রয় থেকে শুরু করে হিমাগার ভাড়া পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রতি কেজি ২৫টাকা। বর্তমানে হিমাগারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১২ খেকে ১৩ টাকা। অপর ব্যবসায়ী আব্দুল হান্নান বলেন, এবার ৬শত বস্তা আলু হিমাগারে রাখা হয়েছে। দাম কম থাকার কারনে বিক্রি করলে অনেক টাকা লোকসান হচ্ছে। তিনি আরও জানান, আগামী ৩০ অক্টোবর এর মধ্যে আলু হিমাগার থেকে না তুললে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে।
এদিকে এক হিমাগার ম্যানেজার জানান, বাজারে আলু দাম কম থাকার কারনে ব্যবসায়ীরা হিমাগার থেকে আলু উঠাচ্ছেন না। কৃষক ও ব্যবসায়ীদের বার বার তাগাদা দিলেও আলু তুলছেন না। তার ভাষায় ভাড়া দেওয়ার ভয়ে কৃষক-ব্যবসায়ীদের অনেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।