জাতীয় প্রেসক্লাব সম্মুখে আন্দোলনরত শিক্ষকদের উপর
অমানবিক পুলিশী হামলার প্রতিবাদে
দিনাজপুরে শিক্ষক-কর্মচারীদের কর্মবিরতি
মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা, চিকিৎসা ভাতা দেড় হাজার টাকা করা এবং উৎসব ভাতা মূল বেতনের শতভাগ করা, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের কল্যাণ ও অবসর ভাতা ৬ মাসের মধ্যে পরিশোধের দাবীতে জাতীয় প্রেসক্লাব ঢাকায় আন্দোলনরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচীতে পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড ও জল কামান নিক্ষেপ করার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচীর আলোকে ১৩ অক্টোবর সোমবার হতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বাশিস) বড়বন্দর দিনাজপুর জেলা শাখার সকল শিক্ষক-কর্মচারীরা কর্মবিরতি কর্মসূচী পালন করছে।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বাশিস) টিচার্স টাওয়ার, ৬০-লহ্মীবাজার, ঢাকা কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তের আলোকে দীর্ঘ দিনের চাকুরী জাতীয়করণের দাবীতে উক্ত চলমান আন্দোলনের সাথে একাত্ততা ঘোষনা করেছে এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের উপর অমানবিক বর্বোরচিত হামলার সাথে জড়িতদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জনিয়েছে। কর্মবিরতি চলাকালীন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বাশিস) দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি মোঃ নেজামুল ইসলাম বলেন, আমাদের শিক্ষক-কর্মচারীরা কেন্দ্রীয় প্রেসক্লাবের সম্মুখে তাদের প্রাণের দাবী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিল, ঠিক সেই সময় পুলিশ অমানবিক বর্বোরচিত হামলা চালিয়েছে। আমরা উক্ত হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বাশিস সদস্য সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন বলেন, সারা দেশের ৩০ হাজার এমপিভুক্ত স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রজ্ঞাপন জারী না হওয়া পর্যন্ত লাগাদার কর্মবিরতি চলবে। শিক্ষকদের যেভাবে পেটানো হয়েছে এটা কোন সভ্য রাষ্ট্রীয় চরিত্র হতে পারে না। অবিলম্বে এই হিন কাজের জন্য তাদেরকে ক্ষমা চাইতে হবে এবং আন্দোলনরত শিক্ষকদের গ্রেফতার বা কোনপ্রকার হয়রানী করা যাবে না। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন বাশিস দিনাজপুর সদর উপজেলা শাখার সভাপতি মকসেদ আলী, উপজেলা সদস্য সচিব মোঃ আতিজুর রহমান (মিঠু), সাবেক উপজেলা সচিব মোঃ আব্দুল আজিজ, বাশিস সদস্য মোঃ দেলোয়ার হোসেন, সদস্য শাহ আলম, মোঃ রবিউল ইসলাম, মোঃ আক্তারুজ্জামান রাঙ্গাসহ বাশিস নেতৃবৃন্দ।