মানসম্মত হেলমেট ও নিরাপদ গতি কমবে জীবন ও সম্পদের ক্ষতি, এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দিনাজপুরে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত হয়েছে। র্যালী ও আলোচনা শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের মাঝে হেলমেট উপহার দেন।
বুধবার সকাল ১০টায় দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা প্রশাসন কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
পরে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন দিনাজপুর জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন, সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান আসাদ, এবং বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার এটি এম মাইনুল হাসান।এছাড়াও প্রশাসনের কর্মকর্তা, সড়ক নিরাপত্তা আন্দোলনের কর্মী ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম বলেন, দেশকে ভালোবাসা মানেই দেশের আইন মেনে চলা। সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা শুধু সরকারের কাজ নয়, প্রত্যেক চালক, পথচারী ও নাগরিকেরও দায়িত্ব।
তিনি আরও বলেন, প্রতিবছর দেশে হাজারো মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছে এবং অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পঙ্গুত্ববরণ করছে।বিশেষ করে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার উদ্বেগজনক।অনেক সময় পরিবারের প্রধান উপার্জনকারীই দুর্ঘটনায় মারা যান বা স্থায়ীভাবে অক্ষম হয়ে পড়েন, যার ফলে পুরো পরিবার চরম আর্থিক ও মানসিক সংকটে পড়ে।
জেলা প্রশাসক সকল চালক ও মোটরসাইকেল আরোহীদের উদ্দেশ্যে বলেন, নিজস্ব ড্রাইভিং লাইসেন্স,গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও মানসম্মত হেলমেট ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। নিয়ন্ত্রিত গতি ও নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই প্রকৃত দেশপ্রেমিকের পরিচয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, নিয়ম মেনে চললে দুর্ঘটনা রোধ সম্ভব। এ জন্য প্রত্যেক নাগরিককে সচেতন হতে হবে এবং সড়ক ব্যবহারে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।