Sunday , 12 October 2025 | [bangla_date]

দিনাজপুর শহরে এখনও এক টাকায় শিঙাড়া-নিমকি মিলছে

দিনাজপুর শহরে ৩০ বছর ধরে বিক্রি হচ্ছে এক টাকায় শিঙাড়া ও নিমকি। তৈরির উপকরণের দাম বাড়লেও শিঙাড়া ও নিমকির দাম বাড়াননি দোকানি। এতে দিনদিন জনপ্রিয়তা বাড়ছে। মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে খেতে আসছেন। মাত্র এক টাকায় পুরোপুরি নিরামিষ দিয়ে তৈরি এ মুখরোচক খাবারের স্বাদ নিয়ে উচ্ছ¡াস প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।
জেলা শহরের মালদহপট্টি সুধির বাবুর গলির সামনে মানিক জেসওয়াল নামে ফুটপাতের দোকানে বিক্রি হয় এই এক টাকার শিঙাড়া-নিমকি। দোকানের মালিক মিলন জসওয়াল জানান, শিঙাড়া ও নিমকি বিক্রি করে মাসে তিনি ৩৫-৪০ হাজার টাকা আয় করেন। তার এ ব্যবসায় ৯ জন নারী শ্রমিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে।
মিলন জসওয়াল বলেন, ‘আগে মালদহপট্টি ভেতরে চকবাজারে ১৯৯৫ সালে ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসে প্রথম সচিন ঘোষ বিশেষ আকারের ছোট শিঙাড়া ও নিমকি তৈরি করে এক টাকা পিস বিক্রি শুরু করেন। জনপ্রিয়তা দেখে ২০১০ সালে মানিক জেসওয়ালও এই দোকান দেন। আমি আমার বাবার কাছ থেকে শিখে ২০১৯ সালে বাবার দোকান চালাতে শুরু করি। এর মধ্যে সচিন ঘোষ কাকা ২০২২ সালে মারা যান। তার মৃত্যুর পর এক টাকার শিঙাড়া ও নিমকি বিক্রিতে এখনও পর্যন্ত তার মতো জনপ্রিয়তা কেউ অর্জন করতে পারেনি। যদিও শহরের বেশ কিছু স্থানে এখন এক টাকার শিঙাড়া বিক্রি হয়।
দোকানে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ মাইক্রোবাস, ইজিবাইক, সাইকেল রিকশা ও মোটরসাইকেলে দোকানে আসছেন। কেউ দোকানে বসে খাচ্ছেন কেউবা বাড়ির জন্য নিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া মার্কেটের দোকান মালিক ও কর্মচারীরা সকাল-বিকেল নাস্তা করার জন্য আসেন তার দোকানে। দোকানি মিলন জেসওয়াল জানান, হিন্দু-মুসলিম সবাই যেন খেতে পারে এজন্য তিনি এতে কোনো আমিষ ব্যবহার করেন না।
দোকানে আসা রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকৌশলী সুমন রায় বলেন, আমি দিনাজপুরের মানুষ, ছুটিতে এলেই এক টাকার শিঙাড়া খেতে আসি। পরিবারের জন্যও নিয়ে যাই। এটা অনেক মুখরোচক। যে একবার খেয়েছে সে বারবার চলে আসবে। তারা এই দুর্মূল্যের বাজারে এখনও এক টাকায় শিঙাড়া বিক্রি করছে এটা অবাক করার মতো।
রোশনী নাকে এক কলেজছাত্রী বলেন, মানুষের মুখে শুনে প্রথমবার খেতে এসেছি। এক টাকায় এত সুন্দর শিঙাড়া পাওয়া যায় আমি ভাবতেই পারছি না। এটি সত্যি অনেক মুখরোচক একটি খাবার।
নীলফামারী সৈয়দপুর থেকে আসা কাপড়ের ব্যবসায়ী এবি চাঁন বলেন, আমি ব্যবসার কাজে এলেই এই মানিক শিঙাড়ার দোকানে আসি। তার শিঙাড়া ও নিমকি খাই। এটি অনেক সুস্বাদু খাবার। একবার খেলে বারবার খাওয়ার ইচ্ছে করে।
দোকানি মিলন জেসওয়াল জানান, তিনি প্রতিদিন ৪-৫ হাজার শিঙাড়া ও ২ হাজারের মতো নিমকি বিক্রি করেন। এসব তৈরিতে কারখানায় ৯ জন নারী শ্রমিক পালাক্রমে কাজ করেন। তারা প্রত্যেকে ২০০ টাকা করে মজুরি পান। তারা সংসারের কাজের ফাঁকে এই শিঙাড়া-নিমকি তৈরি করেন।
তিনি আরও জানান, দোকান থেকে মাসে ৩৫-৪০ হাজার টাকা আয় করেন তিনি। আগে জিনিসপত্রের দাম কম ছিল, এতে লাভ বেশি হত, তবে এত বেশি বিক্রি হতো না। এখন সবকিছুর দাম বেড়েছে, বিক্রিও বেড়েছে। তাই লাভ কম হলেও পুষিয়ে যায়।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

ঠাকুরগাঁওয়ে ইক্ষু ও সাথী ফসল উৎপাদনে আধুনিক প্রযুক্তি বিষয়ে খামার দিবস

খানসামায় গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগীতার পুরস্কার বিতরণ

ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের গোয়ালপাড়ায় “নাইট ফুটবল টুর্নামেন্টের” উদ্বোধন :-

বোচাগঞ্জে ইএসডিও প্রেমদীপ প্রকল্পের আয়োজনে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন বিবস পালিত ।

রাণীশংকৈলে আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন

দিনাজপুরে ভাংচুরের মামলায় দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমীর আনোয়ারুল ইসলামসহ ৫২ নেতাকর্মী খালাস

মরিচক্ষেতে পচন রোগ দিশেহারা কৃষকরা

প্রচেষ্টা ব্লাড ব্যাংক বীরগঞ্জ শাখার পক্ষ হতে নবাগত ইউএনও কে ফুলের শুভেচ্ছা

বিরলে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় মা-ছেলে আহত

বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির বোচাগঞ্জ উপজেলা শাখা কমিটি গঠন