নবাবগঞ্জ(দিনাজপুর) প্রতিনিধি :দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের বামনগড় গ্রামের পরিশ্রমী কৃষক মোখলেছুর রহমান টপলেডি জাতের পেঁপে চাষ করে বদলে দিয়েছেন নিজের ভাগ্য। সঠিক পরিকল্পনা, কৃষি অফিসের দিকনির্দেশনা ও নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে তিনি এখন এলাকায় সফল পেঁপে চাষি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
মোখলেছুর রহমান জানান বলেন, “রংপুর থেকে উন্নত জাতের টপলেডি পেঁপের চারা এনে ৫০ শতক জমিতে ১৮০টি গাছ রোপণ করি। এতে প্রায় ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। মাত্র ৫ মাসের মাথায় প্রায় ২ লক্ষ টাকার পেঁপে বিক্রি করেছি। বর্তমানে গাছে প্রচুর ফল আছে। আশা করছি, এক বছরে ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা লাভ হবে।”
তিনি আরও জানান, “আগে ধান ও ভুট্টা চাষ করতাম, কিন্তু খরচের তুলনায় লাভ ছিল কম। পরে উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে পেঁপে চাষ শুরু করি। এখন দেখছি, পরিশ্রম করলে এই ফসল থেকেও ভালো আয় করা সম্ভব। পরিবারের আর্থিক অবস্থাও অনেক উন্নত হয়েছে। স্থানীয় বাজারে এই টপলেডি জাতের পেঁপের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। তিনি বলেন, নবাবগঞ্জ ও রাজশাহীর পাইকারি বাজারে পেঁপে বিক্রি করছি। প্রতি মন পেঁপে ১৬০০ থেকে ১৭০০ টাকায় বিক্রি হয়। ক্রেতারাও বেশ সন্তুষ্ট।”
বাগান পরিদর্শনে আসা স্থানীয় যুবক ইয়ামিন সরকার বলেন, “মোখলেছুর ভাইয়ের বাগান দেখে অবাক হয়েছি। এত অল্প জায়গায় এত সুন্দর ফলন সম্ভব—ভাবতেই পারিনি। এখন আমিও টপলেডি জাতের পেঁপে চাষ করার কথা ভাবছি।”
আরেক দর্শনার্থী সুলতান আহমেদ বলেন, এই বাগান দেখে বোঝা যায়, গ্রামের মাটিতে পরিশ্রম করলে সফলতা আসবেই। মোখলেছুর ভাইয়ের এই বাগান শুধু ফলন নয়, তরুণ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, “টপলেডি জাতের পেঁপে একটি উন্নত মানের হাইব্রিড জাত। এটি রোগ প্রতিরোধী, দ্রুত বর্ধনশীল ও উচ্চফলনশীল। এই জাতের পেঁপে গাছ ৫ থেকে ৬ মাসের মধ্যেই ফল দিতে শুরু করে এবং একটানা দেড় থেকে দুই বছর পর্যন্ত ফল দেয়। আমরা নিয়মিত কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি যাতে আরও অনেকে এই জাতের পেঁপে চাষে আগ্রহী হন।