দিনাজপুর থেকে খানপুর পর্যন্ত রাস্তার পার্শে সড়ক বিভাগের উচ্ছেদ অভিযান না করতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ব্যবসায়ীরা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সড়ক বিভাগের এই উচ্ছেদ অভিযানের জন্য জারী করা গণবিজ্ঞপ্তির আইনানুগ বৈধতা নেই। উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা হলে এক হাজার জমির মালিক ক্ষতিগ্রস্থ হবেন, দুই হাজার মানুষের দোকান-পাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙ্গা পড়বে এবং ৫ হাজার পরিবার হুমকীর মুখে পড়বে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় দিনাজপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্স এÐ ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি আলহাজ্ব আবু বকর সিদ্দিক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্স এÐ ইন্ডাষ্ট্রির সাবেক সভাপতি মোসাদ্দেক হুসেন, নুরুল মঈন মিনু, ভুক্তভোগী জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও চালকল মালিক মাহবুব আহমেদ, জাহাঙ্গীর আলম, স্থানীয় ফরহাদুল ইসলাম, ফজলুর রহমান প্রমুখ।
এর আগে স্থানীয়রা দিনাজপুর পুলহাট এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন। পরে তারা দিনাজপুর জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দিনাজপুর থেকে খানপুর পর্যন্ত (জেড-৫৮০২) মহাসড়কের উপর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার উদ্দেশ্যে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন এবং উচ্ছেদ অভিযানের পক্ষে সকলের অবগতির জন্য মাইকিং করে চলেছেন।
এর আগে দিনাজপুর সড়ক বিভাগ কর্তৃক সার্ভে চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, শিল্প ও অগনিত ছোট ছোট ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান ও বাড়ী উচ্ছেদের লক্ষ্যে লাল দাগ দিয়ে চিহ্নিত করেছেন। কিন্তু সড়ক বিভাগ কোন জরিপের আওতায় (সিএস, এসএ) কোন দাগে, কত পরিমান জমি উচ্ছেদ করবেন তার কোন পরিসংখ্যান আমাদেরকে অবহিত করেন নাই।
এদিকে,দিনাজপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আসাদুজ্জামান বলেন, ওই জমিগুলো ১৯৪২ সালে গেজেটভুক্ত হয়েছে। যেহেতু গেজেট হয়েছে সেহেতু এসব জমি মালিকানা দাবি থাকবে না। আগামী ২ ও ৩ নভেম্বর উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে এবং এটি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে করা হচ্ছে।


















