হাকিমপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি। দিনাজপুরের হিলিতে তীব্র লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। দিনে কিছু সময় বিদ্যুৎ থাকলেও রাতের বেলায় প্রায়ই অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে এলাকা। দিনে-রাতে মিলিয়ে গড়ে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে।
পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্যমতে, হাকিমপুর উপজেলায় প্রতিদিনের বিদ্যুৎ চাহিদা ৮ মেগাওয়াট হলেও সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে মাত্র আড়াই মেগাওয়াট। তবে তারা জানিয়েছেন, দ্রুতই এই সমস্যা নিরসনে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
টানা কয়েকদিনের তীব্র গরমের মধ্যে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন হিলির মানুষ। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিদ্যুতের আসা–যাওয়ার কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে রয়েছেন গ্রামের মানুষ। এতে শুধু সাধারণ জীবনযাপন নয়, ব্যবসা-বাণিজ্যও স্থবির হয়ে পড়েছে। গেল সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া এই লোডশেডিং পরিস্থিতি এখনও অপরিবর্তিত।
স্থানীয় ভুক্তভোগীরা জানান, বিদ্যুৎ না থাকায় ঘুম, কাজ, পড়াশোনা—সবকিছুই ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের অবস্থা নাজেহাল। পানির মোটর চালাতে না পারায় দৈনন্দিন কাজেও বিপত্তি দেখা দিয়েছে। গরমে দেখা দিচ্ছে শ্বাসকষ্ট ও নানা শারীরিক সমস্যা।
এ দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতি থাকা অবস্থায় নতুন করে গ্রাহকদের কাছ থেকে জামানত নেওয়ার নোটিশ দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। প্রতি মিটারে ৪৮০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত জামানত প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যা নিয়ে সাধারণ গ্রাহকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
হিলি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর এজিএম মো. সারওয়ার্দি বলেন, বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বর্তমানে দুটি ইউনিট থেকে ১৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে, যা জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা হচ্ছে। তবে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ উৎপাদন কম থাকায় কিছুটা চাপ তৈরি হয়েছে। হাকিমপুরে চাহিদা ৮ মেগাওয়াট হলেও সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ২ থেকে আড়াই মেগাওয়াট।